চাঁদ। পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহ। পুরো সৌরজগতের পঞ্চম বৃহৎ উপগ্রহ। পৃথিবীর রাতের আকাশে সবচেয়ে উজ্জ্বল বস্তু। দিনের আকাশে সূর্যকে আমরা যতটা বড় দেখি, রাতের বেলায় পূর্ণ চাঁদকেও প্রায় ততটাই বড় দেখি। দুজনের সাইজের মধ্যে আকাশ-পাতাল তফাৎ থাকলেও দূরত্বের কারণেই এটা সম্ভব হয়েছে। অথচ সূর্য যেখানে পৃথিবী থেকে গড়ে প্রায় ১৫ কোটি কিলোমিটার দূরে আছে, সেখানে চাঁদের দূরত্ব মাত্র ৩ লক্ষ ৮৪ হাজার ৪ শ কিলোমিটার।
আরও পড়ুন:
☛ পৃথিবী থেকে সূর্যের দূরত্ব কত?
☛ চাঁদ কীভাবে আলো দেয়?
☛ অপসূর বনাম অনুসূর
তাহলে চাঁদ আসলে ঠিক কত বড়?
জ্যোতির্বিদ্যায় বড়ত্বের হিসাব হয় অনেকভাবে। ভর, আয়তন, ব্যাসার্ধ বা ব্যাস। তবে আমাদের আজকের আলোচনার সাথে সবচেয়ে প্রাসংগিক হলো সাইজ। এটা আয়তন, ব্যাসার্ধ বা ব্যাস যেকোনোটা দিয়েই চিন্তা করা যায়।
চাঁদের আকার পৃথিবীর চার ভাগের এক ভাগ থেকে সামান্য বেশি মাত্র। ২৭ ভাগ। মূল কথায় আসি। গোল চাঁদের গড় ব্যাসার্ধ হলো ১০৮০ মাইল। মানে ১৭৩৮ কিলোমিটার। তার মানে এটি এর দুই গুণ মানে ২১৬০ মাইল (৩৪৭৫ কিমি.) চওড়া। পৃথিবীর এর তিন গুণের চেয়ে বেশি চওড়া। বিষুব অঞ্চলে চাঁদের পরিধি হলো ৬৮৮৪ মাইল বা ১০৯১৭ কিমি.।
চাঁদ ও পৃথিবীর তুলনামূলক সাইজ নিয়ে নাসা সুন্দর একটি উপমা দিয়েছে।
আরও কিছু বিষয় নিয়ে তুলনাটা হয়েই যাক না। চাঁদের ঘনত্ব ও ভর দুটোই পৃথিবীর চেয়ে কম। ভর পৃথিবীর মাত্র ১.২ ভাগ। মানে পৃথিবীর ভর চাঁদের ৮১ গুণ। চাঁদের প্রতি ঘন সেন্টিমিটার আয়তন জায়গার গড় ভর ৩.৩৪ গ্রাম। পৃথিবীর ক্ষেত্রে যেটা গড়ে ৫.৫১৪ গ্রাম।
চাঁদের মহাকর্ষ পৃথিবীর মাত্র ১৬.৬ ভাগ। কেউ পৃথিবীতে লাফ দিয়ে ১০ ফুট উঠতে পারলে চাঁদে গিয়ে এক লাফে উঠতে পারবেন ৬০ ফুট। বাহ! কী মজার ব্যাপার।
আরও পড়ুন:
☛ অন্য গ্রহে লাফালাফি
সূত্র:
১। নাসা: স্পেসপ্লেস
২। নাসা: মুন পোর্টাল
৩। উইকিপিডিয়া: Moon
৪। স্পেস ডট কম: How big is moon?
পৃথিবী ও কক্ষপথে চাঁদ |
আরও পড়ুন:
☛ পৃথিবী থেকে সূর্যের দূরত্ব কত?
☛ চাঁদ কীভাবে আলো দেয়?
☛ অপসূর বনাম অনুসূর
তাহলে চাঁদ আসলে ঠিক কত বড়?
জ্যোতির্বিদ্যায় বড়ত্বের হিসাব হয় অনেকভাবে। ভর, আয়তন, ব্যাসার্ধ বা ব্যাস। তবে আমাদের আজকের আলোচনার সাথে সবচেয়ে প্রাসংগিক হলো সাইজ। এটা আয়তন, ব্যাসার্ধ বা ব্যাস যেকোনোটা দিয়েই চিন্তা করা যায়।
চাঁদের আকার পৃথিবীর চার ভাগের এক ভাগ থেকে সামান্য বেশি মাত্র। ২৭ ভাগ। মূল কথায় আসি। গোল চাঁদের গড় ব্যাসার্ধ হলো ১০৮০ মাইল। মানে ১৭৩৮ কিলোমিটার। তার মানে এটি এর দুই গুণ মানে ২১৬০ মাইল (৩৪৭৫ কিমি.) চওড়া। পৃথিবীর এর তিন গুণের চেয়ে বেশি চওড়া। বিষুব অঞ্চলে চাঁদের পরিধি হলো ৬৮৮৪ মাইল বা ১০৯১৭ কিমি.।
পৃথিবী ও অন্যান্য বস্তুর তুলনায় চাঁদের আকার |
চাঁদ ও পৃথিবীর তুলনামূলক সাইজ নিয়ে নাসা সুন্দর একটি উপমা দিয়েছে।
পৃথিবী যদি একটি পয়সার মতো হয়, তবে চাঁদের আকার হবে কফির দানার সমান।চাঁদের পৃষ্ঠতলের ক্ষেত্রফল ১ কোটি ৪৬ লক্ষ বর্গ মাইল বা ৩ কোটি ৮০ লক্ষ বর্গ কিমি.। এটা আমাদের এশিয়া মহাদেশের ক্ষেত্রফলের চেয়েও অল্প। জেনে রাখলে ক্ষতি কী, এশিয়ার ক্ষেত্রফল হলো ১ কোটি ৭২ লক্ষ বর্গ মাইল বা ৪ কোটি ৪৫ লক্ষ বর্গ কিমি.।
আরও কিছু বিষয় নিয়ে তুলনাটা হয়েই যাক না। চাঁদের ঘনত্ব ও ভর দুটোই পৃথিবীর চেয়ে কম। ভর পৃথিবীর মাত্র ১.২ ভাগ। মানে পৃথিবীর ভর চাঁদের ৮১ গুণ। চাঁদের প্রতি ঘন সেন্টিমিটার আয়তন জায়গার গড় ভর ৩.৩৪ গ্রাম। পৃথিবীর ক্ষেত্রে যেটা গড়ে ৫.৫১৪ গ্রাম।
চাঁদের মহাকর্ষ পৃথিবীর মাত্র ১৬.৬ ভাগ। কেউ পৃথিবীতে লাফ দিয়ে ১০ ফুট উঠতে পারলে চাঁদে গিয়ে এক লাফে উঠতে পারবেন ৬০ ফুট। বাহ! কী মজার ব্যাপার।
আরও পড়ুন:
☛ অন্য গ্রহে লাফালাফি
সূত্র:
১। নাসা: স্পেসপ্লেস
২। নাসা: মুন পোর্টাল
৩। উইকিপিডিয়া: Moon
৪। স্পেস ডট কম: How big is moon?