একটি বস্তুতে মোট পদার্থের পরিমাণকে ভর বলে। একে আমরা সাধারণত ওজোন বলি। প্রকৃতপক্ষে ওজোন হচ্ছে বস্তুর উপর প্রযুক্ত বলের পরিমাপ। সৌরজগতে বর্তমানে গ্রহের সংখ্যা ৮টি। আগে ৯টি থাকলেও প্লুটোর পদবী এখন বামন গ্রহ হওয়াও সংখ্যা এক কম।
আমরা গ্রহদের ভরের প্রকৃত মান দেখার পাশাপাশি পৃথিবীর সাথে তুলনা করব। এখানে ভর উল্লেখ করার ক্ষেত্রে বৈজ্ঞানিক সংখ্যা উল্লেখ করব। যেমন বুধ গ্রহের ভর 3.30×1023 kg। এর অর্থ হচ্ছে ৩.৩ এর পরে ২৩ টি শুন্য দিলে যা হবে। আগেই জেনে রাখা ভাল, পৃথিবীর ভর হচ্ছে 6×1024 kg।
সৌরজগতের মোট ভরের ৯৯.৮৬ ভাগই সূর্যের একার দখলে। আবার বৃহস্পতির একার ভর অন্য ৭ গ্রহের আড়াই গুণ।
বুধঃ
উপরে উল্লেখিত বুধের এই ভরটিই সৌরজগতের কোন গ্রহের সবচেয়ে ছোট ভর। বুধ গ্রহের ভর কম হওয়ায় এটি নিজে যেমন খুব হালকা তেমনি এতে গেলে আমাদের ওজোনও প্রায় তিন ভাগের এক ভাগ হয়ে যাবে। একটু আগেই বলেছি, ওজোন হচ্ছে প্রযুক্ত বলের পরিমাণ। ফলে, ভর কম হওয়ায় অভিকর্ষজ ত্বরণ কমে যাবে, এবং সেই সাথে ওজোনও। কারণ বস্তুর ওজোন নির্ভর করে এর অভিকর্ষজ ত্বরণের উপর। পৃথিবীতে আপনার ওজোন (ভর) ৬৮ কেজি হলে বুধে তা হবে ২৫.৭ কেজি। পৃথিবীর তুলনায় বুধের ভর ০.০৫৫ গুণ। উল্টোভাবে বললে ১৮টি বুধ একত্র করলে পৃথিবীর ভরের সমান হবে।
শুক্রঃ
একে আমরা শুকতারাও বলি। অধিকাংশ গ্রহের তুলনায় এটিও খুব হালকা। এর ভর ভর ও আয়তনে অবশ্য পৃথিবীর কাছাকাছি, তবে অবস্থান একটু নিচে। ভর 4.87×1024 kg এবং অভিকর্ষজ ত্বরণ পৃথিবীর ৯০ পারসেন্ট। এর মানে হল, কেউ পৃথিবীতে ১০০ কেজি হলে শুক্র গ্রহে তার ভর হবে ৯০ কেজি। পৃথিবীর ভর ১০০ কেজি ধরে নিলে শুক্রের ভর হবে ৮১.৫ কেজি। শুক্রের অভিকর্ষ আমাদেরকে মেরে ফেলার মত প্রাণঘাতী না হলেও এর বিষাক্ত গ্যাস ও উচ্চ তাপমাত্রা সেই কাজ সম্পন্ন করবে।
মঙ্গলঃ
কম ভরের দিক দিয়ে সৌরজগতে মঙ্গলের অবস্থান ২য়। পৃথিবীর চেয়ে এর ভর ১০ গুণ কম। প্রকৃত ভর 6.42×1023 kg কেজি। এর ভর এত কম যে,এতে কোন বায়ুমণ্ডল তৈরি হতে পারেনি। বায়ুমণ্ডল না থাকার কারণেই আমরা এর লাল পৃষ্ট অবলীলায় দেখতে সক্ষম হই।
আরো দেখুনঃ মঙ্গল গ্রহ লাল কেন?
বৃহস্পতিঃ
হ্যাঁ, গ্রহরাজ বৃহস্পতির ভর সৌরজগতের গ্রহদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। এর ভর 1.90×1027 kg। ৩১৮ টি পৃথিবীর ভর একত্র করলে তবেই তা বৃহস্পতির ভরের সমান হবে। বৃহস্পতির কোন কঠিন পৃষ্ঠ নেই বলে এতে দাঁড়ানো যাবে না। কিন্তু যদি যেতও এর শক্তিশালী অভিকর্ষ সাথে সাথে আমাদেরকে পিষে ফেলত। অভিকর্ষ বেশি হবার কারণে যে মানুষটির ভর পৃথিবীতে ৬৮ কেজি, এই গ্রহে তার ভর দেখা যাবে ১৬১ কেজি। প্রকৃতপক্ষে অবশ্য ভর বাড়বে না। পৃথিবীতে আমরা ভর মাপার জন্যে যে যন্ত্রগুলো ব্যবহার করি, তা ওখানে নিয়ে গেলে অভিকর্ষজ ত্বরণের পার্থক্যের কারণে ভিন্ন ভর দেখাবে। আসলে এটা ভরের পার্থক্য বোঝাচ্ছে না, বোঝাচ্ছে ত্বরণের পার্থক্য।
শনিঃ
শনির ভর 5.69×1026 kg। ভরের দিক দিয়ে এর অবস্থান ২য়। এর ভর ভর পৃথিবীর ৯৫ গুণ হলেও ঘনত্ব খুব কম হওয়ায় অভিকর্জষজ ত্বরণ পৃথিবীর চেয়েও কম- মাত্র ৯১%। অর্থ্যাৎ, শনিতে গেলে আমাদের ওজোন একটুখানি ক্মে যাবে।
ইউরেনাসঃ
সৌরজগতের সপ্তম গ্রহ ইউরেনাসের ভর 8.68×1025 kg। শনির মতই এর ভর পৃথিবীর চেয়ে বেশি হলেও অভিকর্ষ পৃথিবীর চেয়ে কম। আপনার ভর পৃথিবীতে ৬৮ কেজি হলে, ইউরেনাস গ্রহে গিয়ে মাপলে তা দেখা যাবে ৬০.৫ কেজি।
নেপচুনঃ
নেপচুন ভরের দিক দিয়ে তৃতীয় অবস্থানে আছে। এর ভর 1.02×1026 kg যা পৃথিবীর ১৭ গুণ। এর অভিকর্ষ ত্বরণও পৃথিবীর চেয়ে বেশি। আপনি পৃথিবীতে ৬৮ কেজি হলে নেপচুনে গিয়ে হবেন ৭৬.৫।
সূত্রঃ
[১] http://www.universetoday.com/34024/mass-of-the-planets/
[২] http://astronomy.nmsu.edu/tharriso/ast110/planetdensities.gif
আমরা গ্রহদের ভরের প্রকৃত মান দেখার পাশাপাশি পৃথিবীর সাথে তুলনা করব। এখানে ভর উল্লেখ করার ক্ষেত্রে বৈজ্ঞানিক সংখ্যা উল্লেখ করব। যেমন বুধ গ্রহের ভর 3.30×1023 kg। এর অর্থ হচ্ছে ৩.৩ এর পরে ২৩ টি শুন্য দিলে যা হবে। আগেই জেনে রাখা ভাল, পৃথিবীর ভর হচ্ছে 6×1024 kg।
সৌরজগতের মোট ভরের ৯৯.৮৬ ভাগই সূর্যের একার দখলে। আবার বৃহস্পতির একার ভর অন্য ৭ গ্রহের আড়াই গুণ।
সৌরজগতের গ্রহদের ভর নিয়ে পাই চার্ট |
বুধঃ
উপরে উল্লেখিত বুধের এই ভরটিই সৌরজগতের কোন গ্রহের সবচেয়ে ছোট ভর। বুধ গ্রহের ভর কম হওয়ায় এটি নিজে যেমন খুব হালকা তেমনি এতে গেলে আমাদের ওজোনও প্রায় তিন ভাগের এক ভাগ হয়ে যাবে। একটু আগেই বলেছি, ওজোন হচ্ছে প্রযুক্ত বলের পরিমাণ। ফলে, ভর কম হওয়ায় অভিকর্ষজ ত্বরণ কমে যাবে, এবং সেই সাথে ওজোনও। কারণ বস্তুর ওজোন নির্ভর করে এর অভিকর্ষজ ত্বরণের উপর। পৃথিবীতে আপনার ওজোন (ভর) ৬৮ কেজি হলে বুধে তা হবে ২৫.৭ কেজি। পৃথিবীর তুলনায় বুধের ভর ০.০৫৫ গুণ। উল্টোভাবে বললে ১৮টি বুধ একত্র করলে পৃথিবীর ভরের সমান হবে।
শুক্রঃ
একে আমরা শুকতারাও বলি। অধিকাংশ গ্রহের তুলনায় এটিও খুব হালকা। এর ভর ভর ও আয়তনে অবশ্য পৃথিবীর কাছাকাছি, তবে অবস্থান একটু নিচে। ভর 4.87×1024 kg এবং অভিকর্ষজ ত্বরণ পৃথিবীর ৯০ পারসেন্ট। এর মানে হল, কেউ পৃথিবীতে ১০০ কেজি হলে শুক্র গ্রহে তার ভর হবে ৯০ কেজি। পৃথিবীর ভর ১০০ কেজি ধরে নিলে শুক্রের ভর হবে ৮১.৫ কেজি। শুক্রের অভিকর্ষ আমাদেরকে মেরে ফেলার মত প্রাণঘাতী না হলেও এর বিষাক্ত গ্যাস ও উচ্চ তাপমাত্রা সেই কাজ সম্পন্ন করবে।
মঙ্গলঃ
কম ভরের দিক দিয়ে সৌরজগতে মঙ্গলের অবস্থান ২য়। পৃথিবীর চেয়ে এর ভর ১০ গুণ কম। প্রকৃত ভর 6.42×1023 kg কেজি। এর ভর এত কম যে,এতে কোন বায়ুমণ্ডল তৈরি হতে পারেনি। বায়ুমণ্ডল না থাকার কারণেই আমরা এর লাল পৃষ্ট অবলীলায় দেখতে সক্ষম হই।
আরো দেখুনঃ মঙ্গল গ্রহ লাল কেন?
বৃহস্পতিঃ
হ্যাঁ, গ্রহরাজ বৃহস্পতির ভর সৌরজগতের গ্রহদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। এর ভর 1.90×1027 kg। ৩১৮ টি পৃথিবীর ভর একত্র করলে তবেই তা বৃহস্পতির ভরের সমান হবে। বৃহস্পতির কোন কঠিন পৃষ্ঠ নেই বলে এতে দাঁড়ানো যাবে না। কিন্তু যদি যেতও এর শক্তিশালী অভিকর্ষ সাথে সাথে আমাদেরকে পিষে ফেলত। অভিকর্ষ বেশি হবার কারণে যে মানুষটির ভর পৃথিবীতে ৬৮ কেজি, এই গ্রহে তার ভর দেখা যাবে ১৬১ কেজি। প্রকৃতপক্ষে অবশ্য ভর বাড়বে না। পৃথিবীতে আমরা ভর মাপার জন্যে যে যন্ত্রগুলো ব্যবহার করি, তা ওখানে নিয়ে গেলে অভিকর্ষজ ত্বরণের পার্থক্যের কারণে ভিন্ন ভর দেখাবে। আসলে এটা ভরের পার্থক্য বোঝাচ্ছে না, বোঝাচ্ছে ত্বরণের পার্থক্য।
শনিঃ
শনির ভর 5.69×1026 kg। ভরের দিক দিয়ে এর অবস্থান ২য়। এর ভর ভর পৃথিবীর ৯৫ গুণ হলেও ঘনত্ব খুব কম হওয়ায় অভিকর্জষজ ত্বরণ পৃথিবীর চেয়েও কম- মাত্র ৯১%। অর্থ্যাৎ, শনিতে গেলে আমাদের ওজোন একটুখানি ক্মে যাবে।
ইউরেনাসঃ
সৌরজগতের সপ্তম গ্রহ ইউরেনাসের ভর 8.68×1025 kg। শনির মতই এর ভর পৃথিবীর চেয়ে বেশি হলেও অভিকর্ষ পৃথিবীর চেয়ে কম। আপনার ভর পৃথিবীতে ৬৮ কেজি হলে, ইউরেনাস গ্রহে গিয়ে মাপলে তা দেখা যাবে ৬০.৫ কেজি।
নেপচুনঃ
নেপচুন ভরের দিক দিয়ে তৃতীয় অবস্থানে আছে। এর ভর 1.02×1026 kg যা পৃথিবীর ১৭ গুণ। এর অভিকর্ষ ত্বরণও পৃথিবীর চেয়ে বেশি। আপনি পৃথিবীতে ৬৮ কেজি হলে নেপচুনে গিয়ে হবেন ৭৬.৫।
সূত্রঃ
[১] http://www.universetoday.com/34024/mass-of-the-planets/
[২] http://astronomy.nmsu.edu/tharriso/ast110/planetdensities.gif