জ্যোতির্বিদ্যায় জ্যামতিক কোণের পরিমাপ বিভিন্ন কারণে খুব গুরুত্বপূর্ণ। ধ্রুবতারা দেখে কোনো স্থানের অক্ষাংশ জানা যায়। ধ্রুবতারা সব সময় উত্তর আকাশে থাকে। এটি উত্তর দিগন্ত থেকে যত ডিগ্রি ওপরে থাকবে, ঐ জায়গার অক্ষাংশ হবে ঠিক তত। হ্যাঁ, বিষুব রেখার দক্ষিণের এলাকায় এই কৌশল কাজে আসবে না। কারণ ধ্রুবতারা থাকবে দিগন্তেরও নীচে!
উত্তর আকাশে ধ্রুবতারা থাকে অক্ষাংশের সমান কৌণিক উচ্চতায় |
এখন, ধ্রুবতারা দেখে অক্ষাংশ নির্ণয়ের জন্যে কোণ ও কোণের পরিমাপ সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা থাকা দরকার। আরও নানা কারণে কোণের পরিমাপ বুঝতে হয়। যেমন এক তারা দিয়ে আরেক তারা খুঁজে পেতে তারাদের কৌণিক দূরত্ব বুঝতে হয়।
আরও পড়ুন
☛ খালি হাতে আকাশ মাপুন
☛ দিক নির্ণয়ে ধ্রুবতারা
দুটো সরলরেখার মিলনেই তৈরি হয় কোণ। যেমন নীচের OA এবং OB রেখাদ্বয় ৫৫ ডিগ্রি কোণ তৈরি করেছে। আবার OA এবং OC রেখা তৈরি করেছে ৯০ ডিগ্রি কোণ। ৯০ ডিগ্রি কোণের অপর নাম সমকোণ। সমকোণের দেখা আমরা পাই হরদম। ভূমি থেকে একটি গাছ খাড়া ওপরে উঠলে গাছ ও ভূমি তৈরি করে সমকোণ। ঘরের পূর্ব ও উত্তর দিকের দেয়ালের মিলন তৈরি করে সমকোণ। আপনি যদি পূর্ব দিকে তাকিয়ে থাকেন, তবে ৯০ ডিগ্রি ডানে ঘুরলে পাবেন দক্ষিণ। পশ্চিম থেকে ৯০ ডিগ্রি ডানে ঘুরলে পাবেন উত্তর।
দুই রেখার মিলনে হয় কোণ |
সূর্য দেখে দিক নির্ণয়
একটিমাত্র রেখার যেকোনো এক বিন্দুতে কোণ মাপ পরিমাপ করলে হবে দুই সমকোণ বা ১৮০ ডিগ্রি। পূর্ব ও পশ্চিম দিক বরাবর একটি রেখা কল্পনা করলে পাওয়া যাবে ১৮০ ডিগ্রি। বৃত্তাকার পথে ১৮০ ডিগ্রি পথ ঘুরলে একটি অর্ধবৃত্ত তৈরি হবে। যেমনটা হয়েছে নীচের ছবিতে। দুইজন মানুষ উল্টো দিকে হাঁটতে থাকলে বলা যায়, তারা ১৮০ ডিগ্রি কোণে হাঁটছে। কেউ আগের কথা থেকে সরে এসে বিপরীত কথা বললে আমরা বলি, "১৮০ ডিগ্রি উল্টো বলছেন এখন?"
১৮০ ডিগ্রি বা দুই সমকোণ |
বিভিন্ন রকম কোণ। ছবির সূত্রঃ ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া, সান্তা বারবারা |
কোণের পরিমাপ
কোণের আন্তার্জাতিক এককের নাম রেডিয়ান। তবে সাধারণ মানুষের কাছে এই হিসাব জনপ্রিয় নয়। আমরা চিনি ডিগ্রি। এক রেডিয়ান হলো ৫৭ দশমিক ৩ ডিগ্রির সমান। জ্যোতির্বিদ্যায় নানা সময় ডিগ্রিকে আরও ছোট করে পরিমাপের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। এটা দুইভাবে করা যায়। একটি হলো দশমিক পদ্ধতি। যেমন ৩০.৫ ডিগ্রি মানে ৩০ ডিগ্রি ও আরও এক কোণের অর্ধেক। তবে আরেকটি সুবিধাজনক উপায়ও আছে।
ডিগ্রির অপেক্ষাকৃত ছোট এককগুলোর নাম হলো মিনিট ও সেকেন্ড। না, এখানে সময়ের কথা বলছি না। এক ডিগ্রিকে ৬০ ভাগ করলে তার প্রতি অংশের নাম এক মিনিট। আবার এক মিনিটকে ৬০ ভাগ করলে প্রতি ভাগের নাম হয় এক সেকেন্ড। হ্যাঁ, সময়ের সাথে এখানটা মিলে গেছে! ভাগগুলোকে যথাক্রমে আর্কমিনিট (ডিগ্রির ৬০ ভাগের এক ভাগ) ও আর্কসেকেন্ডও (মিনিটের ৬০ ভাগের এক ভাগ) বলে।
যেমন ৪০.১৮৭৫ ডিগ্রি কোণকে এভাবেও লেখা যায়: ৪০ ডিগ্রি ১১ মিনিট ১৫ সেকেন্ড। একে এভাবেও লেখা হয়: ৪০° ১১′ ১৫″।
1 comments:
Write commentsTitanium Tent Spinning Tips for Improving Your Game
ReplyIn the same vein, we give you a titanium bike frame whole titanium strength host of tips to titanium quartz meaning help you find the best casino for hypoallergenic titanium earrings slot machines. They come with black titanium ring tips that can help