দিক নির্ণয়ের এই কৌশলটি আমার মতে সবচেয়ে সহজ। কারণ, বাস্তবে করতে গিয়ে কোন ঝামেলা ছাড়াই সুফল পেয়েছি।
প্রয়োজনীয় পরিবেশ: উন্মুক্ত সূর্যালোক
প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি
১। একটি খুঁটি, লাঠি বা ছড়ি (১ ফুট লম্বা হলেই যথেষ্ট)
২। (আবশ্যিক নয়) ৩-৪টি ছোট ছড়ির টুকরো (৬ ইঞ্চি উচ্চতার)
কার্যপ্রণালী
১। একটি মসৃণ ও সমতল স্থানে যান। ঐ স্থানে সূর্যের আলোর উপস্থিতি থাকতে হবে। এমন জায়গা বাছাই করতে হবে যেন অন্তত ২০-৩০ মিনিটের মধ্যে জায়গাটি ছায়ার দখলে না যায়
২। ভূমির সাথে খাড়াভাবে বড় খুঁটিখানা পুঁতে দিন।
৩। খুঁটির ছায়ার একেবারে প্রান্তে একটি দাগ দিয়ে রাখুন। অথবা, ছোট একখানা খুঁটি বসিয়ে দিন।
৪। ৫-১০ মিনিট অপেক্ষা করুন। দেখবেন, ছায়ার প্রান্তভাগ আগের জায়গা থেকে সরে গেছে।
৫। ৩ ও ৪ নং ধাপ অন্তত ৩-৪ বার করুন।
৬। এবারে খেয়াল করুন, সবগুলো খুঁটি বা দাগ একটি সরল রেখা তৈরি করেছে। এই রেখাটিই পূর্ব-পশ্চিম দিক নির্দেশ করছে। তাহলে, পশ্চিম দিক হচ্ছে যেদিকে প্রথম দাগ বা ছোট খুঁটিটি ছিল। আর, যেদিকে শেষ খুটি বসিয়েছেন সেদিকেই পূর্ব দিক।
এবার যদি আপনি পূর্ব দিকে মুখ কর দাঁড়ান, তার অর্থ হবে আপনার বাঁয়ে উত্তর দিক এবং ডানে দক্ষিণ।
এটা কীভাবে কাজ করে?
আমরা জানি পৃথিবী পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে নিজ অক্ষের উপর আবর্তিত হচ্ছে। এ কারণেই সূর্যকে পূর্ব থেকে পশ্চিমে যাচ্ছে বলে মনে হয়। এই জন্যে সূর্য যতই পশ্চিম দিকে যেতে থাকে তার ছায়া ততোই পূর্ব দিকে সরতে থাকে। এখানে এ তথ্যটিই কাজে লাগানো হচ্ছে। অবশ্য আমরা জানি, সূর্য সব সময় ঠিক পূর্ব দিক থেকে উদিত হয় না বা ঠিক পশ্চিম দিকে অস্তও যায় না। বছরজুড়ে নিরক্ষরেখা থেকে দক্ষিণে বা উত্তরে সূর্যাস্ত ও সূর্যোদয়ের ঘটনা ঘটে।
তবুও এ কৌশল কাজ করে, কারণ সূর্যের গতিপথ যেদিকেই থাকুক, ছায়া পূর্ব-পশ্চিম বরাবরই থাকে।