১৯২৮ সালে প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে বিজ্ঞানী পল ডিরাক প্রথম বলেছিলেন, ইলেকট্রনের চার্জ ধনাত্মক-ঋণাত্মক দুটোই হতে পারে। আর ধনাত্মক চার্জধারী (e$^+$) এই ইলেকট্রনেরই নাম পজিট্রন। অন্য নাম অ্যান্টিইলেক্ট্রন। প্রথম আবিষ্কৃত হয় ১৯২৯ সালে।
ভর ইলেক্ট্রনের ভরের সমান। একে বিটা প্লাস ($\beta^+$) দ্বারা প্রকাশ করা হয়। নির্গত হয় তেজ্বস্ক্রিয় ক্ষয়ের ফলে । আবার কখনও কখনও ফোটন বা একক তরঙ্গের আলো কোন ধাতব পরমানুর সাথে সংঘর্ষ করলেও এটি নির্গত হতে পারে। একটি প্রোটন ভেঙ্গে সধারণত একটি পজিট্রন একটি নিউট্রন ও কিছু শক্তি নির্গত হয়। পজিট্রন এর সাথে সংঘর্ষে প্রায় ১০২৪ কিলোইলেকট্রনভোল্ট শক্তি উৎপন্ন হয়।
পজিট্রন প্রাকৃতিক ও কৃত্রিম দুভাবেই উৎপন্ন হয়। মজার ব্যপার হলো, এটি প্রত্যেক মানুষের শরীর থেকেও নির্গত হয়! প্রাকৃতিক উৎস হলো মানব শরীরের পটাসিয়াম-৪০ আইসোটোপ। এ আইসোটোপ মানব দেহের সবচেয়ে প্রাচীন। জেনে অবাক হবেন যে ৭০ কেজির একজন মানব শরীরে প্রতিদিন ৪০০০টি পজিট্রন পটাসিয়াম-৪০ আইসোটোপ থেকে উৎপন্ন হয়। এছাড়াও কলার থেকেও পাওয়া যায় কিছু পজিট্রন।
কৃত্রিমভাবে ফ্লোরিন-১৮, অক্সিজেন-১৮, কার্বন-১৪, নাইট্রজেন-১৬ ও আরও কিছু পরমাণু আইসোটোপ তৈরী করে তা থেকে প্রাপ্ত পজিট্রন মানব দেহের কিছু রোগ নির্ণয়ে ব্যবহার হয়। অতিরিক্ত পজিট্রন (প্রায়-১০০০০০টি বা এর বেশী) কিন্তু মানব শরীর ও বিভিন্ন জীবের জন্য হুমকি স্বরুপ। যা আমাদের শরীরে ক্যান্সার হওয়ার জন্য যথেষ্ট।
আরও পড়ুনঃ
☛ পারমাণবিক কণারা চার্জ ও ভর পেল কোথায়?
ইলেকট্রন ও তার প্রতিকণা পজিট্রন |
ভর ইলেক্ট্রনের ভরের সমান। একে বিটা প্লাস ($\beta^+$) দ্বারা প্রকাশ করা হয়। নির্গত হয় তেজ্বস্ক্রিয় ক্ষয়ের ফলে । আবার কখনও কখনও ফোটন বা একক তরঙ্গের আলো কোন ধাতব পরমানুর সাথে সংঘর্ষ করলেও এটি নির্গত হতে পারে। একটি প্রোটন ভেঙ্গে সধারণত একটি পজিট্রন একটি নিউট্রন ও কিছু শক্তি নির্গত হয়। পজিট্রন এর সাথে সংঘর্ষে প্রায় ১০২৪ কিলোইলেকট্রনভোল্ট শক্তি উৎপন্ন হয়।
পজিট্রন প্রাকৃতিক ও কৃত্রিম দুভাবেই উৎপন্ন হয়। মজার ব্যপার হলো, এটি প্রত্যেক মানুষের শরীর থেকেও নির্গত হয়! প্রাকৃতিক উৎস হলো মানব শরীরের পটাসিয়াম-৪০ আইসোটোপ। এ আইসোটোপ মানব দেহের সবচেয়ে প্রাচীন। জেনে অবাক হবেন যে ৭০ কেজির একজন মানব শরীরে প্রতিদিন ৪০০০টি পজিট্রন পটাসিয়াম-৪০ আইসোটোপ থেকে উৎপন্ন হয়। এছাড়াও কলার থেকেও পাওয়া যায় কিছু পজিট্রন।
পরমাণুর নিউক্লিয়াস ভেঙে ইলেকট্রন ও পজিট্রন তৈরি |
আরও পড়ুনঃ
☛ পারমাণবিক কণারা চার্জ ও ভর পেল কোথায়?
1 comments:
Write commentsThank you for this valueable information.
Reply