Advertisement

শনিবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৬

লিখেছেনঃ বাংলাদেশ সায়েন্স ক্লাব 

এতদিন যা জেনেছেন মাথা থেকে এক্ষুণি ঝেড়ে ফেলুন। বৃহস্পতি গ্রহ যেই বিন্দুকে কেন্দ্র করে ঘুরছে সেটা মহাকাশের একটা শুন্যস্থান! শুনে হয়ত অবিশ্বাসে চোখ কপালে ওঠে গেছে। তবে এটাই সত্য।
NASA থেকে পাওয়া সাম্প্রতিক তথ্য এটাই বলছে ।


আমি আজ এর বিস্তারিত আলোচনা করব।

শুরুতেই আমাদের যেটা জেনে নিতে হবে সেটা হচ্ছে  বেরিকেন্দ্র (The barycenter)।
বলবিদ্যায় " Two body problem " এ আমরা এই Barycenter এর ধারণা পেয়ে থাকি। বলবিদ্যা বলছে,
যখন দুইটা বস্তু একে অপরকে কেন্দ্র করে ঘুরতে চায় বা ঘুরে থাকে, তখন কম ভরের বস্তুটি বেশি ভরের বস্তুর চারপাশে ঘুরে না বরং দুটি বস্তুই একটা নির্দিষ্ট বিন্দুকে কেন্দ্র করে ঘুরে। 

যে বস্তুর ভর তুলনামূলক ভাবে বেশি হবে, বেরিকেন্দ্র ঠিক তার কেন্দ্রের কাছাকাছি অবস্থান করবে।
একটু পরিষ্কার করে বললে, পৃথিবীর চারপাশে চাঁদ ঘুরছে, তার মানে এই নয় যে চাঁদ পৃথিবীর কেন্দ্র বিন্দুকে কেন্দ্র করে ঘুরছে। বরং চাঁদ এবং পৃথিবী উভয়েই একটা নির্দিষ্ট বিন্দুকে কেন্দ্র করে ঘুরছে। চাঁদের ভর যদি পৃথিবীর তুলনায় অত্যন্ত নগন্য বা নেগলিজিবল হতো তাহলে এই বেরিসেন্টার এর অবস্থান হতো পৃথিবীর কেন্দ্রে বা কেন্দ্রের খুব কাছাকাছি ।

কিন্তু চাঁদ খানিকটা ভারি হবার দরুন এই বেরিকেন্দ্র পৃথিবীর কেন্দ্র থেকে খানিকটা উপরে ( কেন্দ্র থেকে ৪৬৭১ কিমি উপরে ) । তবুও পৃথিবীর ব্যাসার্ধ যেহেতু ৬৩৭৮ কিমি, সেহেতু এই বেরিকেন্দ্র পৃথিবীর ভেতরেই অবস্থান করছে। আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ কথা হচ্ছে, এই বেরিসেন্টারকে কেন্দ্রকরে পৃথিবীও তার নিজের কক্ষ পথে ঘুরছে ।

এবার ভেবে দেখুন...
যদি চাঁদের ভর দ্বিগুণ হতো তাহলে এই বেরিসেন্টার পৃথিবীর বুকে অবস্থান করতো ?
মোটেও না !

তখন এই বেরিসেন্টার থাকতো পৃথিবীর বাইরে খোলা আকাশের কোনো একটা স্থানে।
ঠিক অনুরূপ ঘটনাই ঘটছে সূর্য এবং বৃহস্পতির ক্ষেত্রে।

এদের বেরিসেন্টার এর অবস্থান সূর্যের পরিধির বাইরে খোলা আকাশের কোনো একটা বিন্দুতে !

বৃহস্পতি ও সূর্য

এটা আমাদের সৌরজগতের গ্রহগুলির মাঝে ব্যতিক্রম এক ঘটনা। অন্যান্য গ্রহদের জন্য আলাদা আলাদা বেরিসেন্টার গুলির অবস্থান সূর্য্যের কেন্দ্রের খানিকটা কাছাকাছি থাকলেও গ্রহরাজা বৃহস্পতির বেলায় সেটা খাটে না, অর্থাৎ এই বেরিকেন্দ্র অনেক দূরে চলে যায় এমনকি সূর্য্যের পরিধিরও বাইরে মহাশুন্যের কোনো একটা স্থানে গিয়ে অবস্থান করে।

তাই এখন থেকে মনে রাখতে হবে বৃহস্পতি গ্রহটি সূর্যকে কেন্দ্র করে ঘুরছে না, বরং একটা খোলা বা শুন্য স্থানকে কেন্দ্র করে ঘুরছে মহাকাশে!
ব্যপারটা সত্যিই বড় অবাক করার মতোন।

আরও পড়ুনঃ
বৃহস্পতি কী দিয়ে তৈরি 
এক নজরে বৃহস্পতি 
দেখা হইল চক্ষু মেলিয়া 

লেখাটি বাংলাদেশ সায়েন্স ক্লাব এর ফেসবুক পেইজে প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল। অনুমতি নিয়ে এখানে পুনঃপ্রকাশিত হল। 

সূত্রঃ
১। বিজনেস ইনসাইডার
Category: articles

শুক্রবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

বৃহস্পতিকে আরেকটু হলেই গ্রহ না বলে নক্ষত্র বলা যেত। কেননা একটি নক্ষত্রের জীবন চক্রের অধিকাংশ সময় ধরেই মূল উপাদান হিসেবে থাকে হাইড্রোজেন ও হিলিয়াম। আমাদের সূর্যের  কথাই ধরুন। এতে হাইড্রোজেনের পরিমাণ ৭৫ ভাগ এবং হিলিয়াম আছে প্রায় ২৪ ভাগ। আর এদিকে সৌরজগতের সবচেয়ে বড়ো গ্রহ, গ্রহ রাজ বৃহস্পতিরও প্রধান উপাদান কিন্তু এই হাইড্রোজেন ও হিলিয়ামই।

এর ফলে একে কেউ ছোটখাটো নক্ষত্র বলে ভেবে ভুল করে বসলে মাফ করে দেওয়াই উচিত। তবে গ্রহদের মধ্যে এর ভর সবচেয়ে বেশি হলেও সেটা নক্ষত্রের মতো আচরণ করার মতো যথেষ্ট নয়। ফলে, এটি হাইড্রোজেন পুড়িয়ে হিলিয়াম বানিয়ে নিজস্ব আলো তৈরি করতে পারছে না।

আর পড়ুনঃ 
☛ নক্ষত্রের পরিচয়
☛ গ্রহ কাকে বলে? 


বৃহস্পতির পৃষ্ঠঃ
বৃহস্পতি (Jupiter) হল সৌরজগতের গ্রহদের মধ্যে অন্যতম গ্যাস জায়ান্ট। এটা বলে এতটুকু ভুলও করা হয় না আসলে। আপনি যদি প্যারাশ্যুটে ভর করে বৃহস্পতির পৃষ্ঠে অবতরণ করার ধান্দায় থাকেন, তবে সে আশা কোনো দিনই আলোর মুখ দেখবে না। গ্রহটিতে কোনো শক্ত পৃষ্ট নেই। বৃহস্পতির বায়ুমণ্ডলের মধ্যে ৯০ ভাগ হল হাইড্রোজেন। বাকি দশ ভাগের প্রায় পুরোটাই হিলিয়াম দিয়ে ভর্তি। পাশাপাশি অন্য কিছু গ্যাসও আছে এতে।

এই গ্যাসগুলো ক্রমানুসারে একটির উপর একটি স্তর স্তরে সজ্জিত আছে। গ্রহটিতে শক্ত পৃষ্ঠ নেই বলে এর যেখানে বায়ুমণ্ডলীয় চাপ পৃথিবীর চাপের সমান সেই অঞ্চলকে পৃষ্ঠ হিসেবে ধরে নেওয়া হয়। এই বিন্দুতে গ্রহটির অভিকর্ষ পৃথিবীর প্রায় আড়াই গুণ।

এই পৃষ্ঠে দাঁড়ানোর কথা চিন্তা করা একেবারেই অবাস্তব। কেননা এই অঞ্চলও আসলে গ্যাসেরই আরেকটি স্তর। কোনো যান বা নভোচারী এতে অবতরণের চেষ্টা চালিয়ে যেতে থাকলে গ্যাসের মেঘ পাড়ি দিয়ে শেষ পরিণতি হবে গ্রহটির একেবারে কেন্দ্রমণ্ডলে।

বৃহস্পতির কেন্দ্রেঃ
বৃহস্পতির কেন্দ্র সম্পর্কে সঠিক তথ্য পাওয়া এখনো একটি চ্যালেঞ্জ। বিজ্ঞানীদের ধারণা ঘন কেন্দ্রমণ্ডলের চারপাশে হয়তবা ধাতব হাইড্রোজেন থাকতে পারে। এর উপরের থাকতে পারে আণবিক হাইড্রোজেনের আরেকটি স্তর। গ্রহটির কেন্দ্রমণ্ডল কতটা শক্ত সে ব্যাপারে বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত নন। কেন্দ্রভাগের আনুমানিক তাপমাত্রা ৩৫ হাজার ডিগ্রি সেলসিয়াস।

১৯৯০ এর দশকের আগে বৃহস্পতির কেন্দ্রমণ্ডল নিয়ে আলোচনাই শুরু হয়নি। সেই সময় মহাকর্ষীয় চলাচল থেকে দেখা যায় গ্রহটির কেন্দ্রের ভর পৃথিবীর ভরের ১২ থেকে ৪৫ গুণ হতে পারে। তবে আবার অতীতে এর শক্ত কেন্দ্রমণ্ডল ছিল- এ কথা থেকে কিন্তু প্রমাণ হয় না যে এখনো তা টিকে আছে। সম্প্রতি প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে যে এর কেন্দ্রমণ্ডল খুব সম্ভব গলে যাচ্ছে।

বৃহস্পতির উপাদান 

নক্ষত্রের মতো হলেও ঠিক নক্ষত্র নয়ঃ
সূর্যের মতোই বৃহস্পতিরও প্রধান উপাদান হল হাইড্রোজেন ও হিলিয়াম। কিন্তু এতে এই উপাদানগুলোর ঘাটতি থাকায় সূর্যের মতো ফিউশান বিক্রিয়া শুরু হতে পারেনি। তা হতে হলে একে বর্তমানের তুলনায় আরো ৭৫ থেকে ৮০ গুণ বেশি ভারী হতে হত। সৌরজগতের বাকি সবগুলোর ভরও যদি একে দিয়ে দেওয়া হয়, তবু এর ঘাটতি পূরণ হবে না। কিন্তু তবু বাকি সবগুলো গ্রহের ভর যোগ করলেও বৃহস্পতির একার ভর হবে তার আড়াই গুণ।

আরো পড়ুনঃ
এক নজরে সূর্য 
এক নজরে বৃহস্পতি

সূত্রঃ
১। http://www.space.com/18388-what-is-jupiter-made-of.html
২। https://en.wikipedia.org/wiki/Sun#Composition
Category: articles

সোমবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৬


জুনো মহাকাশযানের ক্যামেরায় ধরা পড়া বৃহস্পতি গ্রহের দক্ষিণ মেরুর ছবি 

২০০০ সালের দিকে ক্যাসিনি মিশনের সময় মহাকাশযান ক্যাসিনিও যেটা পারেনি, ২০১৬ সালের ২৭ শে আগস্টে এসে মহাকাশযান জুনো সেটাই করে দেখাল!

কারণ, বৃহস্পতি নামক গ্যাস দৈত্যখানার (gas giant) দক্ষিণ মেরু দেখিতে পারে নাই কেহ এযাবতকাল পর্যন্ত এতখানি চক্ষু মেলিয়া! (গুরু-চণ্ডালী দোষ মাফ করবেন, আবেগ ধরে রাখতে পারিনি)

অবশেষে মহাকাশযান জুনো এতদিনের এই অসাধ্য সাধন করে দেখাল এবং বৃহস্পতির দক্ষিণ মেরুর খুব পরিষ্কার একটি ছবি আমাদেরকে উপহার দিল।

এ সময় মহাকাশযান জুনো বৃহস্পতির মেরু অঞ্চল থেকে মাত্র ৫৮ হাজার ৭০০ মাইল উপরে ছিল।

এরই মাধ্যমে এই প্রথম বৃহস্পতির দক্ষিণ মেরু অঞ্চল সম্পর্কে এত স্বচ্ছ ধারণা পাওয়া গেল! বৃহস্পতির বিষুবীয় অঞ্চলে যেমন পরিচিত "বেল্ট" বা "জোন" এর অস্তিত্ব পাওয়া যায়, মেরু অঞ্চলে ঠিক তেমনটা থাকে না। এখানে বরং বিভিন্ন আকারের ছোটখাটো ঝড়ের দাগ খুঁজে পাওয়া যায়। এই ঝড়গুলোর কোনটা ঘড়ির কাঁটার দিকে আবার কোনটা ঘড়ির কাঁটার বিপরীত দিকে ঘোরে! এগুলো দেখতে অনেকটা পৃথিবীর "হ্যারিকেন" এর মত হয়।

২০০০ সালে মহাকাশযান ক্যাসিনি শনি গ্রহে যাবার পথে বৃহস্পতির মেরু অঞ্চলের উল্লেখযোগ্য অংশের ছবি তুলেছিলে। কিন্তু এতটা উপযুক্ত দৃষ্টিভঙ্গী থেকে সেটি করা যায়নি।

সূত্রঃ
১। http://www.nasa.gov/image-feature/jpl/pia21032/jupiter-down-under
Category: articles

রবিবার, ২৮ আগস্ট, ২০১৬

জুনো মহাকাশযান বৃহস্পতির ঘূর্ণায়মান মেঘের মাত্র ২৫০০ মাইলের এর মধ্যে পৌঁছে গেল। এর আগে অন্য কোনো মহাকাশযানই গ্রহটির এত কাছে যেতে পারেনি।
বৃহস্পতির উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া মহকাশযান 'জুনো'। 

নাসার বক্তব্য অনুসারে,
সবচেয়ে কাছে অবস্থানের সময় জুনো বৃহস্পতির ঘূর্ণায়মান মেঘের ২৫০০ মাইল (বা ৪২০০ কিমি.) উপরে ছিল। এ অবস্থায় এর বেগ ছিল গ্রহটির সাপেক্ষে ঘন্টায় ১৩০ হাজার মাইল। 

জুনোর সবগুলো যন্ত্রপাতি কার্যকর হবার পর গ্রহটির কাছ ঘেঁষে এটাই প্রথম ফ্লাইবাই। এই ফ্লাইবাইটি ছিল বৃহস্পতির উত্তর গোলার্ধের পাশ দিয়ে। যানটির গ্রহটিকে মোট ৩৬ বার ফ্লাইবাই করার কথা রয়েছে।বৃহস্পতির সম্পূর্ণ একটা ইমেজের জন্য প্রতিবার ফ্লাইবাই এর সময় এটি বৃহস্পতির আলাদা আলাদা এক একটি অঞ্চলের কাছ দিয়ে যাবে, যাত ওই সময় জুনো ওই এলাকার একটা পরিষ্কার ইমেজ তৈরি করতে পারে।

যানটির প্রথম ফ্লাইবাই এর সময় তোলা। এটি এখন পর্যন্ত বৃহস্পতির সবচেয়ে কাছ থেকে তোলা ছবি
যানটি জুলাই মাসের ৪ তারিখে বৃহস্পতির কক্ষপথে প্রবেশ করে।

আরো পড়ুনঃ 
☛ এক নজরে বৃহস্পতি

ভিডিওতে জুনো মহাকাশযানঃ

Category: articles

বুধবার, ১৮ মে, ২০১৬

দূরত্বের দিক দিয়ে বৃহস্পতি সূর্যের পঞ্চম গ্রহ। এর ভর সৌরজগতের অন্য সব গ্রহের সম্মিলিত ভরের আড়াই গুণ। এর প্রধান উপাদান গ্যাস। তাই এর নাম গ্যাস জায়ান্ট।
টেলিস্কোপে দেখা বৃহস্পতি গ্রহ 
গ্রহটির প্রধান প্রধান বৈশিষ্ট্যঃ

⏩ বৃহস্পতি সৌরজগতের চতুর্থ উজ্জ্বল বস্তু
এটি রাতের আকাশের ৩য় উজ্জ্বল বস্তু। কারণ, রাতেতো আর সূর্য থাকে না। শুধু সূর্য, চাঁদ এবং শুক্র গ্রহই এর চেয়ে বেশি উজ্জ্বল। অন্য গ্রহদের চেয়ে একেই সবচেয়ে বেশি ভালোভাবে চোখে পড়ে। গ্রহদের মধ্যে শুক্র সবচেয়ে উজ্জ্বল হলেও একে কোন সময় সন্ধ্যার পরে আবার কখনো ভোরের আকাশে দেখা যায়। বেশ কিছু সময় এটি সূর্যের এত কাছে থাকে যে একে খালি চোখে দেখা কষ্টকর হয়ে পড়ে, বিশেষ করে শহর থেকে।

⏩ প্রাচীন ব্যাবীলনীয়রা প্রথম বৃহস্পতির পর্যবেক্ষণের রেকর্ড রাখে
এটা খৃষ্টপূর্ব ৭ম বা ৮ম শতকের কথা। রোমদের দেবতার রাজা ছিল জুপিটার। গ্রিকদের কাছে এটি ছিল বজ্র দেবতা জিউস।

⏩ বৃহস্পতির দিনের দৈর্ঘ্য সবচেয়ে ছোট
বৃহস্পতি নিজের অক্ষের উপর একবার পাক খেতে মাত্র ৯ ঘণ্টা ৫৫ মিনিট সময় নেয়। ফলে এতে দিনের দৈর্ঘ্য ৯ ঘণ্টা ৫৫ মিনিট হয়। এই দৈর্ঘ্য গ্রহদের মধ্যে স্বল্পতম। এর অর্থ হচ্ছে গ্রহটির আবর্তন বেগ খুব তীব্র। সত্যি বলতে এই বেগ হচ্ছে সেকেন্ডে ১২.৬ কিমি.। এই তীব্র বেগের কারণে গ্রহটির মেরু অঞ্চল বেশ অনেকটা চেপে গিয়ে চ্যাপ্টা হয়ে গেছে। পৃথিবীও একই কারণে মেরু অঞ্চলে একটু চ্যাপ্টা, অবশ্য তা পরিমাণে বৃহস্পতির চেয়ে কম।

⏩ বৃহস্পতি সূর্যকে প্রদক্ষিণ করতে ১১.৮ বছর লাগে
পৃথিবী থেকে দেখতে আকাশে বৃহস্পতির বেগ খুব ধীর। ফলে এটি এক তারামণ্ডলী থেকে আরেকটিতে যেতে অনেক সময় লাগে। এখানে বেগ বলতে আমরা পৃথিবীর আবর্তনের জন্যে আকাশের বস্তুদের পূর্ব থেকে পশ্চিমমুখী বেগকে বোঝাচ্ছি। বলছি রাতের আকাশের তারকাদের তুলনায় আপেক্ষিক বেগের কথা। তারকাদের তুলনায় বেগের গতির তারতম্যের কারণেই গ্রহদেরকে তারকাদের থেকে আলাদা করে চেনা যায়।

⏩ বৃহস্পতির ঝড়ের চিহ্ন
টেলিস্কোপে বৃহস্পতির গায়ে একটি বড় লাল দাগ দেখা যায়। এর নাম গ্রেট রেড স্পট। ৩৫০ বছর ধরে এর প্রকোপ খুব তীব্র। এই লাল দাগটি এত বড় যে এর মধ্যে ৩টা পৃথিবীকে বসিয়ে দেওয়া যাবে। 

⏩ বৃহস্পতির অভ্যন্তরভাগে পাথর, ধাতু ও হাইড্রোজেন দিয়ে গঠিত
বৃহস্পতির বায়ুমণ্ডল প্রধানত হাইড্রোজেন দিয়ে গঠিত হলেও বায়ুমণ্ডল ছাড়িয়ে ভেতরে গেলে পাওয়া যাবে সঙ্কুচিত হাইড্রোজেন গ্যাস এবং তরল ধাতব হাইড্রোজেন। আর এর কোর বরফ, পাথর ও ধাতুতে তৈরি।

সৌরজগতের সবচেয়ে বড় উপগ্রহের মালিক বৃহস্পতি
সৌরজগতের সবচেয়ে বড় উপগ্রহ গ্যানিমিড। এর পরেই অবস্থান ক্যালিস্টোর। এর চারটি উপগ্রহ প্রথম গ্যালিলিও আবিষ্কার করেন। এই চারটি হল আয়ো, গ্যানিমিড, ইউরোপা ও ক্যালিস্টো।
সূত্রঃ

[১] http://space-facts.com/jupiter/
[২] https://en.wikipedia.org/wiki/Jupiter
Category: articles

শনিবার, ১৪ মে, ২০১৬

ইদানিং সন্ধ্যার পরেই মাথার উপর হাজির হয় বৃহস্পতি গ্রহ। আজকে তার সাথে যোগ দিচ্ছে পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহ চাঁদ।
চাঁদ ও বৃহস্পতি
অন্য দিকে, সন্ধ্যার কয়েক ঘণ্টা পরে আরো দুটি গ্রহ- মঙ্গল ও শনিকেও পূব দিক থেকে উঠতে দেখা যাবে। এরা থাকবে বৃশ্চিকের উজ্জ্বলতম নক্ষত্র জ্যোষ্ঠার কাছাকাছি।  
Category: articles

বৃহস্পতিবার, ২৪ মার্চ, ২০১৬


সৌর ঝড়ের প্রভাবে বৃহস্পতি গ্রহেও সৃষ্টি হয় অরোরা। নাসার চন্দ্র এক্স-রে অবজারভেটরি প্রথম বারের মত গ্রহটির অরোরা প্রত্যক্ষ করেছে।
সূর্য প্রতিনিয়ত এর চারপাশে ছড়িয়ে দিচ্ছে কণিকাগুচ্ছ। পৃথিবীর মতই বৃহিস্পতিরও ম্যাগনেটোস্ফিয়ার এই কণিকাদের সাথে প্রতিক্রিয়া করে তৈরি করে অরোরা।  
Category: articles

জ্যোতির্বিজ্ঞান পরিভাষা: জেনে নিন কোন শব্দের কী মানে

এখানে সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যাসহ জ্যোতির্বিদ্যায় প্রয়োজনীয় পরিভাষাগুলোর তালিকা দেওয়া হলো। সাজানো হয়েছে অক্ষরের ক্রমানুসারে। এই তালিকা নিয়মিত আপডেট...