Advertisement

রবিবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৫

আজ বা আসন্ন কয়েক দিনের মধ্যে যে কোন মেঘ বা কুয়াশামুক্ত সন্ধ্যায় সূর্যাস্তের ঠিক পরপরই আপনি পশ্চিমাকাশে তিনটি উজ্জ্বল তারকা দেখতে পাবেন। এদেরকেই একত্রে বলা হয় সামার ট্রায়াঙ্গেল (Summer triangle) বা গ্রীষ্মের ত্রিভুজ। ত্রিভুজটি কোন তারামণ্ডলী নয়, একটি তারানকশা (Asterism) মাত্র।


শীতকালে গ্রীষ্মের ত্রিভুজ! কেমন অদ্ভুত বিষয়, তাই না? আসলে একে সামার ট্রায়াঙ্গেল বলার কারণ হচ্ছে, আমাদের উত্তর গোলার্ধে গ্রীষ্মকালে এই তারাচিত্রটি মাথার উপরে থাকে। তিনটি আলাদা তারামণ্ডলীর উজ্জলতম নক্ষত্র ত্রিভুজের তিন শীর্ষে বসে আছে। বীণামণ্ডলীর (Lyra) অভিজিৎ (Vega), বকমণ্ডলীর পুচ্ছ (Deneb) এবং ঈগলমণ্ডলীর শ্রবণা (Altair) হচ্ছে এই তিনটি তারকা।

শীঘ্রই এরা সূর্যের আভায় আবৃত হয়ে যাবে। বেশ কিছু দিন দেখা যাবে না। ২/৩ মাস পরে আবার হাজির হবে ভোরের আকাশে।

সূত্র: আর্থ স্কাই
Category: articles

বুধবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০১৫

বছরে দুই বার অয়ন ঘটে। নিরক্ষরেখার উত্তরে বা দক্ষিণে সূর্যের দূরতম অবস্থানকে অয়ন (Solstice) বলা হয়। বছরের অয়ন দুটি ঘটে জুন (সাধারণত ২১ তারিখ) ও ডিসেম্বর মাসে (সাধারণত ২২ তারিখ)। আমাদের উত্তর গোলার্ধে জুনের অয়নকে উত্তরায়ণ (Summer Solstice) এবং ডিসেম্বরের অয়নকে দক্ষিণায়ন (Winter Solstice) বলা হয়। উত্তর গোলার্ধে জুনের অয়নকে কেন্দ্র করে গ্রীষ্মকাল এবং ডিসেম্বরের অয়নকে কেন্দ্র করে শীতকাল আবর্তিত হয়। আসলে, এ কারণেই Summer Solstice কথাটিকে আমাদের বাংলায় উত্তরায়ণ বলা হচ্ছে। অন্য দিকে, দক্ষিণ গোলার্ধে এর উল্টো ঘটনা ঘটে। অর্থ্যাৎ, জুনের দিকে শীত এবং ডিসেম্বরের দিকে থাকে গরম আবহাওয়া।
দক্ষিণায়নের সময় সূর্য দক্ষিণ গোলার্ধের দিকে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকে থাকে। এই দিনটিই উত্তর গোলার্ধের ক্ষুদ্রতম দিন।

চলুন, দক্ষিণায়ন সম্পর্কে ১০টি কথা জেনে নিই।
১। একই সাথে শীত ও গ্রীষ্মের কেন্দ্রবিন্দুঃ
এই সময় আমাদের উত্তর গোলার্ধে শীতকাল থাকলেও দক্ষিণ গোলার্ধে থাকে উষ্ণ আবহাওয়া। ইংরেজরা উত্তর গোলার্ধের মানুষ হওয়ায় এবং ডিসেম্বরের অয়নের সময় এই অঞ্চলে শীত থাকায় তারা এই অয়নকে নাম দিয়েছে শীতের অয়ন (Winter Solstice)। অথচ, দক্ষিণ গোলার্ধের শীতের অয়ন কিন্তু জুন মাসে ঘটে। ফলে, ডিসেম্বরের অয়নকে দক্ষিণ গোলার্ধে ডাকা হয় গ্রীষ্মের অয়ন (Summer Solstice) নামে। এই দিক থেকে বাংলায় নামগুলো বেশ উৎকৃষ্ট। এগুলো পৃথিবীতে অবস্থানের ভিত্তিতে না করে সূর্যের অবস্থানের ভিত্তিতে করা হয়েছে। ফলে, একই শব্দ দক্ষিণায়ন দুই গোলার্ধেই প্রযোজ্য। শুধু জানতে হবে, বিপরীত গোলার্ধে একই অয়নের সময় বিপরীত ঋতু থাকে।
দক্ষিণ গোলার্ধে এই অয়নের সময় দীর্ঘতম এবং উত্তর গোলার্ধে ক্ষুদ্রতম দিন পাওয়া যায়।

২। সূর্যের অবস্থানঃ
দক্ষিণায়নের সময় সূর্য মকরক্রান্তি রেখার উপর খাড়াভাবে আলো ফেলে। অন্য দিকে, উত্তরায়নে সূর্য একই কাজ করে কর্কটক্রান্তি রেখার উপর। উল্লেখ্য, দক্ষিণায়নের সময় বর্তমানে সূর্য খ-গোলকের মকরমণ্ডলী অঞ্চলে অবস্থান করে না, করে ধনুমণ্ডলীতে।
আরো পড়ুনঃ সূর্য কখন কোথায় থাকে

৩। নির্দিষ্ট সময়ঃ
আমরা দক্ষিণায়নের জন্যে পুরো একটি ধার্য করলেও আসলে এটি ঘটে একটি নির্দিষ্ট সময়ে- যখন মকরক্রান্তির রেখায় সূর্য বরাবর মাথার উপরে থাকে। ২০১৫ সালে এটি ঘটবে ডিসেম্বরের ২২ তারিখে বাংলাদেশ সময় সকাল ১০ টা ৪৯ মিনিটে।

৪। অয়নের তারিখ পরিবর্তনশীলঃ
উত্তরায়ণের মতই দক্ষিণায়নও তারিখ বদলাতে পারে। এটি হতে পারে ডিসেম্বরের ২০, ২১, ২২ বা ২৩ তারিখে। অবশ্য ২০ এবং ২৩ তারিখে এটি কমই হয়ে থাকে। ডিসেম্বরের ২৩ তারিখে অয়ন হবার সর্বশেষ সালটি ১৯০৩ এবং পরবর্তী সাল ২৩০৩!

৫। অয়নের শাব্দিক অর্থঃ
বাংলায় অয়ন শব্দের অর্থ পথ, ভূমি বা গৃহ। এর বিশেষ একটি অর্থ সূর্যের গতি বা গতিপথ। তাহলে দক্ষিণায়ন অর্থ দাঁড়ায় দক্ষিণে সূর্যের অবস্থান বা গতি। বাস্তবে অবশ্য এটি বলতে বোঝায় সূর্যের সর্বদক্ষিণে অবস্থানের দিন বা ঘটনা। এর ইংরেজি পরিভাষা Solstice, যার উদ্ভব ঘটেছে ল্যাটিন শব্দ solstitium থেকে। এর অর্থ 'সূর্য স্থির হল' (The sun stands still)।  ঐ দিন পৃথিবী থেকে দেখতে সূর্যকে মকরক্রান্তি বা কর্কটক্রান্তি রেখার উপর স্থির মনে হয় বলে এই নামের আবির্ভাব ঘটে থাকতে পারে।

৬। জ্যোতির্বিদ্যার হিসাবে শীতের শুরুঃ
যদিও এই তারিখের আগেই শীত শুরু হয়, এই তারিখটিকে বিজ্ঞানীরা এবং বিশেষ করে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা শীতের আগমণের তারিখ হিসেবে ব্যবহার করেন। জ্যোতির্বিদ্যার হিসাবে শীত শেষ হয় মার্চ মাসের মহাবিষুবের (Equinox) সময়। অন্য দিকে, আবহাওয়াবিদদের মতে ৩ সপ্তাহ আগে, ডিসেম্বরের ১ তারিখেই শীত শুরু হয়।

৭। পৃথিবী থেকে সূর্যের দূরত্বঃ
অনেকের মধ্যে ভুল ধারণা আছে, শীতকালে পৃথিবী সূর্য থেকে সবচেয়ে দূরে থাকে। বাস্তবতা এর উল্টো। পৃথিবী বরং শীতকালেই সূর্যের নিকটতম অবস্থানে থাকে। এই অবস্থানকে অনুসূর (Perihelion) বলে। ২০১৬ সালে পৃথিবী অনুসূরে থাকবে জানুয়ারির ৩ তারিখে, দক্ষিণায়নের ২ সপ্তাহের মধ্যেই!

শীতের আবির্ভাবের উপর তাই দূরত্বের প্রভাব খুবই সামান্য। তাহলে শীতকাল আসে কিভাবে? পৃথিবী এর কক্ষতলের সাথে ২৩.৫ ডিগ্রি হেলে আছে। দক্ষিণায়নের সময় দক্ষিণ গোলার্ধ ঝুঁকে থাকে সূর্যের দিকে। ফলে, সেখানে গ্রীষ্ম আর আমাদের এখানে শীতকাল থাকে। উত্তরায়ণের সময় ঘটে উল্টো ঘটনা।

৮। দ্রুততম সূর্যাস্ত এই দিনে নয়ঃ
উত্তর গোলার্ধের অধিকাংশ স্থানেই এই অয়নের আগেই দ্রুততম সূর্যাস্ত হয়ে যায়। আর দীর্ঘায়িত সূর্যোদয় হয় অয়নের কিছু দিন পরে অর্থ্যাৎ, সূর্য কিন্তু অয়নের দিনে অন্য দিনের চেয়ে আগেভাগে অস্ত যায় না।

৯। উত্তর গোলার্ধের দিনের দৈর্ঘ্যের দ্রুত বৃদ্ধিঃ
উত্তর গোলার্ধে এই সময়ের পরে দ্রুত দিন বড় হতে থাকে। যে স্থান যত বেশি উত্তরে, সেটিতে এই বৃদ্ধির পরিমানও তত বেশি।

১০। উৎসবঃ
অনেক দেশেই উৎসব করে দিনটি পালন করা হয়। অনেক জায়গায় আবার এই দিনে ছুটিও থাকে।

সূত্রঃ
১। Time and Date
২। টাইম অ্যান্ড ডেইটঃ অপসূর, অনুসূর
Category: articles

মঙ্গলবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০১৫

সূর্য পৃথিবীর নকটতম নক্ষত্র। পৃথিবী থেকে এর গড় দূরত্ব প্রায় ১৫ কোটি কিলোমিটার বা ৯ কোটি ৩০ লক্ষ মাইল। এই দূরত্বকে বলা হয় অ্যাস্ট্রোনোমিক্যাল একক যা সৌরজগতের অন্যান্য বস্তুর দূরত্বের একক হিসেবে ব্যবহৃত হয়। সূর্যের প্রধান উপাদান আয়নিত গ্যাস। এর মধ্যে তিন চতুর্থাংশ হাইড্রোজেন। বাকি অংশে প্রধানত হিলিয়াম ছাড়াও সামান্য পরিমাণ ভারী মৌল যেমন অক্সিজেন, কার্বন, নিয়ন এবং আয়রন রয়েছে।

সূর্য: সৌরজগতের ৯৯ ভাগের উপরে ভর যার দখলে 

 পৃথিবী থেকে সূর্যের দূরত্ব কত?

এই সূর্যের মাধ্যমেই পৃথিবীতে প্রাণের উদ্ভব ও বিকাশকে সম্ভব হয়েছে। সূর্যের কারণেই পৃথিবীতে ঋতু, আবহাওয়া, জলবায়ু এবং সামুদ্রিক স্রোতের পরিবর্তন ঘটে।  নিউক্লিও বিক্রিয়ার মাধ্যমে হাইড্রোজেন ক্রমাগত হিলিয়ামে পরিণত হয়ে সূর্যে আলো ও তাপ আকারে শক্তি উৎপন্ন করে।

প্রায় ১০ লাখ পৃথিবীকে সূর্যের মধ্যে বসিয়ে দেওয়া যাবে। অন্য দিকে ব্যাস বরাবর বসালে জায়গা হবে ১০৯টি পৃথিবীর। সৌরজগতের ৯৯.৮৬ ভাগ ভর সূর্য একাই ধারণ করে। সূর্যের মধ্যে ছয়টি অঞ্চল আছে- কেন্দ্রীয় অন্তর্বস্তু, বিকিরণ অঞ্চল, পরিচলন অঞ্চল, দৃশ্যমান পৃষ্ঠ বা ফটোস্ফিয়ার, ক্রোমোস্ফিয়ার এবং সর্ববহিস্থ স্তর করোনা (মুকুট)। পৃথিবীর মত সূর্যে কোন কঠিন পৃষ্ঠ নেই, নক্ষত্রদের কারোই থাকে না।

কেন্দ্রে এর তাপমাত্রা দেড় কোটি ডিগ্রি সেলসিয়াস। কেন্দ্রে উৎপন্ন শক্তিই সূর্যের চালিকাশক্তি যা থেকে সূর্য পৃথিবীতেও তাপ ও আলো বিতরণ করে। পরিচলন অঞ্চলে তাপমাত্রা নেমে যায় ২০ লাখ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।
সূর্যের পৃষ্ঠ তথা ফটোস্ফিয়ারের পুরুত্ব ৫০০ কিলোমিটার (৩০০ মাইল)। এখান থেকেই সৌর বিকিরণ মুক্ত হয়ে বাইরে বেরিয়ে পড়ে এবং ৮ মিনিট পর চলে আসে পৃথিবীতে। এই অঞ্চলের তাপমাত্রা সাড়ে পাঁচ হাজার ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর বাইরের  অনুজ্জ্বল করোনা চোখে পড়ে শুধু পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণের সময়, যখন চাঁদের আড়ালে ফটোস্ফিয়ার ঢাকা পড়ে যায়। ফটোস্ফিয়ারের পরে তাপমাত্রা আবার বেড়ে গিয়ে ২০ লাখ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত পৌঁছায়। এর সঠিক ও পূর্ণাংগ কারণ এখনও অজানা।

প্রায় সাড়ে ৪ শো কোটি বছর আগে সূর্যের জন্ম। বেঁচে থাকবে আরো প্রায় সমপরিমাণ সময়। কেন্দ্রে হাইড্রোজেন ফিউশান বন্ধ হলে আরো বেশ কিছু পরিবর্তনের পরে এটি লোহিত দানবে (Red Giant) পরিণত হবে। তখন এর ব্যাসার্ধ বেড়ে গিয়ে শুক্র গ্রহ পর্যন্ত পৌঁছবে, এবং সম্ভবত পৃথিবীকেও স্পর্শ করবে।
নোট-১ঃ প্রকৃত গড় দূরত্ব ১৪.৯৬ কোটি কিলোমিটার বা ৯.২৯৬ কোটি মাইল।

সূর্য সম্পর্কিত সকল নিবন্ধ পাবেন এখানে। অন্যান্য সকল পরিভাষার তালিকা এখানে

সূত্র
১। নাসাঃ সৌরজগৎ
২। উইকিপিডিয়াঃ সূর্য 
Category: articles
আপনি কি জানেন যে- 
# নাসার ভয়েজার মহকাশযান যদি এর বর্তমান বেগ নিয়ে সূর্যের নিকটতম নক্ষত্র প্রক্সিমা সেন্টোরির দিকে ছুট দেয় তবে এর পৃথিবীতে দিরে আসতে সময় লাগবে ৮০ হাজার বছর!
# অন্যতম বৃহত্তম নক্ষত্র ভিওয়াই ক্যানিস ম্যাজোরিস সূর্যের চেয়ে ১৮০০ গুণ বড়!
#আমাদের মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সিতেই নক্ষত্রের সংখ্যা প্রায় ২০০ থেকে ৪০০ বিলিয়ন যা সকল যুগের সব মানুষের মোট সংখ্যার চেয়েও বেশি!
# নক্ষত্রের সবচেয়ে বেশি উজ্জ্বলতা প্রদর্শনের ঘটনা ঘটে ১০০৬ সালে যখন এসএন ১০০৬ (SN 1006) নামক সুপারনোভা পৃথিবীর আকাশে তিন মাস ধরে শুক্রের চেয়েও বেশি উজ্জ্বলতা ছড়িয়েছিল!
#বুধ গ্রহের তাপমাত্রা এতটা উঠানামা করে যে দিনে এর তাপমাত্রা ৪৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে উঠে যায় এবং রাতে নেমে যায় মাইনাস ১৪০ ডিগ্রি পর্যন্ত!
সুপারনোভা এস এন ১০০৬ 

সূত্রঃ
১। উকিপিডিয়াঃ স্টার পোর্টাল
২। উকিপিডিয়াঃ এস এন ১০০৬ 
Category: articles

বুধবার, ২ ডিসেম্বর, ২০১৫


আপনি যদি গ্রহদের ভক্ত হন, তবে এ মাসেও আপনাকে ভোরের আগে আগে বিছানা ছাড়তে হবে। পুরো ডিসেম্বর জুড়ে সবচেয়ে চমৎকার গ্রহ শুক্র এবং বৃহস্পতি। এরা যথাক্রমে রাতের আকাশের প্রথম ও দ্বিতীয় উজ্জ্বল বস্তু। মেঘহীন ভোরের পূবাকাশে এদেরকে খুঁজে না পাওয়া অসম্ভব। অন্য দিকে একটু অনুজ্জ্বল মঙ্গল থাকবে এদের মাঝখানে। মাসের মাঝামাঝিতে শনি এসে ভোরের মিছিলে যোগ দেবে। আরেকটি দৃশ্যমান গ্রহ বুধ। এটি এ মাসে সন্ধ্যার আকাশে থাকলেও সূর্যের খুবই কাছাকাছি থাকায় মাসের প্রথম দুই তৃতীয়াংশ সময়ই দেখা যাবে না।
উল্লেখযোগ্য দৃশ্যঃ
মাসের ৪ তারিখে চাঁদ থাকবে বৃহস্পতির নিচে
মাসের ৭ তারিখে চাঁদ ও শুক্রের ঘনিষ্ঠ দৃশ্য।
মাসের মাঝামাঝিতে শনি হাজির হবে শুক্রের নিচের দিকে।

সূত্রঃ
১। Earth Sky
Category: articles

মঙ্গলবার, ১ ডিসেম্বর, ২০১৫

আজকের ছবিঃ এনজিসি ৩৫২১ (NGC 3521) নামক সর্পিল গ্যালাক্সির কেন্দ্র
বিবরণঃ চিত্রে প্রদর্শিত বিপুল পরিমাণ তারকা, গ্যাস ও ধূলিকণার বাস একটি প্রতিবেশী গ্যালাক্সিতে। গ্যালাক্সিটির অবস্থান সিংহ তারামণ্ডলীতে এবং দূরত্ব সাড়ে তিন কোটি আলোকবর্ষ। ৫০ হাজার আলোকবর্ষ অঞ্চল জুড়ে অবস্থান করা গ্যালাক্সিটির কেন্দ্রীয় অংশই শুধু চিত্রে দেখা যাচ্ছে। পৃথিবীর আকাশে অপেক্ষাকৃত উজ্জ্বল এই গ্যালাক্সিটি ছোটখাট টেলিস্কোপের লেন্সেও ধরা পড়ে।
সূত্রঃ
১। নাসা
Category: articles
৩০ নভেম্বর, ২০১৫! প্রচলিত রাশিচক্রের কফিনে আরেকটি পেরেক ঠুকে দিয়ে সূর্য প্রবেশ করল রাশিচক্রের ত্রয়োদশ সদস্য সর্পধারী নামক তারামণ্ডলীতে। দিনের বেলায় যদি তারা দেখা যেত, তবে আপনি এই তারিখে দেখতেন যে সূর্য বৃশ্চিক ও সর্পধারীর সীমানায় বসে আলো ছিটাচ্ছে। প্রায় প্রতি বছর এই তারিখে সূর্য বৃশ্চিক থেকে সর্পধারীতে পাড়ি জমায়। প্রচলিত রাশিচক্রে উল্লেখ না থাকলেও, এটিও রাশিচক্রেরই একটি তারামণ্ডলী। ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত সূর্য সর্পধারীর সীমানার ভেতরে অবস্থান করবে। 

১৯৩০ সালে আন্তর্জাতিক জ্যোতির্বিজ্ঞান সমিতির আঁকা খ-মানচিত্র অনুযায়ী এই সময়টিতে সূর্যের অবস্থান এই তারামণ্ডলীর সীমানায় পড়েছে। 
Category: articles
রাশিচক্র! শব্দটা শুনলে প্রথমেই খবরের কাগজে দেখা রাশিফলের কথা মনে পড়ে হয়ত। রাশিফলের কোন বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই, কিন্তু জ্যোতির্বিজ্ঞানে রাশিচক্রের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। সূর্য বছরজুড়ে যে যে তারামণ্ডলীতে অবস্থান করে তাদেরকে রাশিচক্র বলে। বিস্তারিত জানা যাক।

মেঘমুক্ত রাতের আকাশে আমরা অসংখ্য তারা দেখি। তবে তারা কিন্তু দিনের আকাশেও থাকে, যদিও সূর্যের আলোর কারণে ওদেরকে আমরা  দেখি না। রাতে যেমন চাঁদের আশেপাশে আমরা তারা দেখি, তেমনি দিনেও সূর্যের আশেপাশেও তারা থাকে। কিন্তু একেক রাতে চাঁদের যেমন আকাশের একেক জায়গায় থাকার কারণে এর আশপাশের তারারা বদলে যায়, তেমনি ঘটনা ঘটে সূর্যের ক্ষেত্রেও।

পৃথিবী সূর্যের চারদিকে এক বার ঘুরে আসতে এক বছর সময় নেয়। বছরের বিভিন্ন সময়ে এটি কক্ষপথের বিভিন্ন অবস্থানে থাকে। কক্ষপথে পৃথিবীর এই অবস্থানভেদে আকাশে সূর্যের আপাত অবস্থানও পাল্টে যেতে থাকে। যেহতু পৃথিবী ৩৬৫ দিনে এক বার সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে, তাই প্রতি দিন সূর্যের এই আপাত অবস্থান একটু একটু করে সরে যেতে থাকে। এইভাবে ৩৬৫ দিনে ৩৬০ ডিগ্রি প্রদক্ষিণ সম্পূর্ণ হয়।

বছরের প্রত্যেকটি আলাদা দিনে আকাশে সূর্যের আপাত অবস্থানবিন্দুগুলো যোগ করে যে রেখা পাওয়া যায় তাকে বলা হয় সূর্যপথ। এই  সূর্যপথ ৮৮টি তারামণ্ডলীর ১৩টিকে ছেদ করে। এই ১৩টি তারামণ্ডলীই রাশিচক্র বলে পরিচিত।
বছরের বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন তারামণ্ডলীতে সূর্যের আপাত অবস্থান 
তাহলে রাশিচক্র হচ্ছে এমন একটি চক্র যে স্থানে বছরজুড়ে ঘুরে ফিরে সূর্য অবস্থান করে। অন্যভাবে বলা যায়, পৃথিবীর কক্ষপথ থেকে সূর্যের দিকে একটি রেখা টানলে সেটি খ-গোলকের যে যে অঞ্চলকে ছেদ করবে, সেই অঞ্চলগুলোই হলোই রাশিচক্র।

পৃথিবীর প্রদক্ষিণের জন্যেই বছরের একেক সময় আকাশে একেক তারার দেখা মেলে। এ কারনে, প্রতি দিন প্রায় ৪ মিনিট আগে কোন তারাকে আগের অবস্থানে দেখা যায়।

অন্য দিকে প্রচলিত রাশিচক্রে আছে ১২টি তারামণ্ডলী। রাশিফলতো এমনিতেই ভিত্তিহীন, উপরন্তু পৃথিবীর আবর্তনজনিত প্রিসেশনের (Precesion) কারণে বর্তমানে সূর্য ১৮ দিন অবস্থান করে সর্পধারীমণ্ডলীতে (Ophiuchus) যার উল্লেখ প্রচলিত রাশিচক্রে নেই। শুধু তাই নয়, প্রচলিত রাশিচক্রে বিভিন্ন মণ্ডলীতে সূর্যের অবস্থানের যে তারিখ দেওয়া আছে সেটাও এখন সেকেলে হয়ে গেছে। বাস্তবতার সাথে পার্থক্য হয়ে গেছে মাসখানেকের।

ফলে, তথাকথিত রাশিচক্রের ভিত্তি আরো বেশি নড়বড়ে হয়ে গেছে।

সূত্র
১। আর্থ স্কাইঃ সূর্য কখন কোথায় থাকে
২। আর্থ স্কাইঃ রাশিচক্র কী

Category: articles

জ্যোতির্বিজ্ঞান পরিভাষা: জেনে নিন কোন শব্দের কী মানে

এখানে সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যাসহ জ্যোতির্বিদ্যায় প্রয়োজনীয় পরিভাষাগুলোর তালিকা দেওয়া হলো। সাজানো হয়েছে অক্ষরের ক্রমানুসারে। এই তালিকা নিয়মিত আপডেট...