কিছুটা ভিন্নমত থাকলেও হ্যালির ধূমকেতুকেই (comet) সবচেয়ে বিখ্যাত ধূমকেতু মনে করা হয়। ৭৫ বছর পর পর এটি পৃথিবীর খুবই কাছে চলে আসে। সর্বশেষ ১৯৮৬ সালে এটি পৃথিবী ঘুরে গেছে। আবার পৃথিবীর আকাশে আসবে ২০৬১ সালে। অর্থ্যাৎ, এটি একটি পর্যাবৃত্ত (Periodic) ধূমকেতু, যা নির্দিষ্ট সময় পর পর ফিরে আসে।
ইংরেজ জ্যোতির্বিদ এডমান্ড হ্যালির (Edmond Halley) নামানুসারে ধূমকেতুটির এমন নামকরণ। তিনি ১৫৩১, ১৬০৭ ও ১৬৮১ সালে পৃথিবীর নিকট এলাকায় বিভিন্ন ধূমকেতু আসার প্রতিবেদন পরীক্ষা-নিরিক্ষা করেন। এরপর ১৭০৫ সালে তিনি সিদ্ধান্ত টানেন যে ঐ তিন ধূমকেতু আসলে একই ধূমকেতু। তিনি বলে যান যে ১৭৫৮ সালে একে আবার দেখা যাবে। তাঁর ধারণা সঠিক প্রমাণ করে ধূমকেতুটি আবারও পৃথিবীর আকাশে হাজিরা দেয়। কিন্তু তত দিনে তিনি পরপারে পাড়ি দিয়েছেন। তাঁর আয়ুষ্কাল ছিল ১৬৫৬-১৭৪২ সাল পর্যন্ত। কিন্তু নিজ চোখে দেখে না গেলেও তাঁর অনুমান সত্য হওয়ায় বস্তুটার নাম দেওয়া হয়ে গেল তাঁর নামে।
এটাই একমাত্র ধূমকেতু, যার ফিরে আসার ব্যাপারে পূর্বাভাস হয়েছিল। এর পর্যাবৃত্ত (Preiodic) প্রত্যাবর্তন থেকে জানা গেল এটি সূর্যকে প্রদক্ষিণও করছে। আরও জানা গেল সৌর পরিবারে বেশ কিছু ধূমকেতুও আছে।
সর্বশেষ দর্শনঃ
মহাকাশ বিজ্ঞানের অগ্রগতির যুগে প্রথম বস্তুটাকে দেখা যায় ১৯৮৬ সালে- মানে শেষবার। কয়েকটি মহাকাশযান এর কাছাকাছি গিয়ে নমুনা সংগ্রহের চেষ্টা চালায়। পৃথিবীকে অতিক্রম করে যাবার সময় উচ্চ-ক্ষমতা সম্পন্ন টেলিস্কোপ দ্বারা একে পর্যবেক্ষণ করা যায়।
ইতিহাসে হ্যালির ধূমকেতুঃ
ইউরোপিয়ান স্পেইস এজেন্সির (ESA) মতে সর্বপ্রথম একে দেখা যায় খৃষ্টপূর্ব ২৩৯ সালে। চীনের মহাকাশ গবেষকরা একে নথিভুক্ত করে। পরে এটি যথাক্রমে ১৬৪ ও ৮৭ খৃষ্টপূর্ব অব্দে আবার ফিরে আসে। ঐ সময় ব্যাবিলনীয়রা এর নথি রাখে।
উইলিয়াম দি কনকারার ১০৬৬ সালে ইংল্যান্ড আক্রমণ করার ঠিক কিছুক্ষণ আগে একে আবার দেখা যায়। এটাই এর সবচেয়ে বিখ্যাত হাজিরা। বলা হয়ে থাকে, উইলিয়াম মনে করেছিলেন ধূমকেতুটি তার বিজয়বার্তা নিয়ে এসেছে। আগে মনে করা হত ধূমকেতুটি কোনো সু বা দুঃসংবাদ নিয়ে এলো বুঝি! কিন্তু এখন আর কেউ তা মনে করে না।
এডমান্ড হ্যালি ধূমকেতুটিকে চিহ্নিত করার ১০৫ বছর আগে শেক্সপিয়ার তাঁর জুলিয়াস সিজার নাটকে লেখেন,
মার্কিন সাহিত্যিক মার্ক টোয়েনের জন্ম ১৮৩৫ সালে। ঐ বছরও হ্যালির ধূমকেতু পৃথিবীর আকাশে দেখা যায়। রসিক এই লেখক ১৯০৯ সালে বলেন,
হ্যালির ধুমকেতুর কক্ষপথঃ
সূত্রঃ
১. স্পেস ডট কম
২. উইকিপিডিয়াঃ Edmond Halley
৩. এনসাইক্লোপেডিয়া ব্রিটানিকা
হ্যালির ধূমকেতু |
এটাই একমাত্র ধূমকেতু, যার ফিরে আসার ব্যাপারে পূর্বাভাস হয়েছিল। এর পর্যাবৃত্ত (Preiodic) প্রত্যাবর্তন থেকে জানা গেল এটি সূর্যকে প্রদক্ষিণও করছে। আরও জানা গেল সৌর পরিবারে বেশ কিছু ধূমকেতুও আছে।
সর্বশেষ দর্শনঃ
মহাকাশ বিজ্ঞানের অগ্রগতির যুগে প্রথম বস্তুটাকে দেখা যায় ১৯৮৬ সালে- মানে শেষবার। কয়েকটি মহাকাশযান এর কাছাকাছি গিয়ে নমুনা সংগ্রহের চেষ্টা চালায়। পৃথিবীকে অতিক্রম করে যাবার সময় উচ্চ-ক্ষমতা সম্পন্ন টেলিস্কোপ দ্বারা একে পর্যবেক্ষণ করা যায়।
ইতিহাসে হ্যালির ধূমকেতুঃ
ইউরোপিয়ান স্পেইস এজেন্সির (ESA) মতে সর্বপ্রথম একে দেখা যায় খৃষ্টপূর্ব ২৩৯ সালে। চীনের মহাকাশ গবেষকরা একে নথিভুক্ত করে। পরে এটি যথাক্রমে ১৬৪ ও ৮৭ খৃষ্টপূর্ব অব্দে আবার ফিরে আসে। ঐ সময় ব্যাবিলনীয়রা এর নথি রাখে।
হ্যালির ধুমকেতুর কক্ষপথ |
এডমান্ড হ্যালি ধূমকেতুটিকে চিহ্নিত করার ১০৫ বছর আগে শেক্সপিয়ার তাঁর জুলিয়াস সিজার নাটকে লেখেন,
ভিক্ষুকদের মৃত্যুতে ধূমকেতু আসে না, আকাশ ঝলকে উঠে রাজপুত্রের মৃত্যুতে ।১৯১০ সালে একে সবচেয়ে স্পষ্ট করে দেখা গেল। ঐ বছর এটি পৃথিবীর মাত্র সোয়া দুই কোটি কিলোমিটার দূরত্ব দিয়ে অতিক্রম করে। এই দূরত্ব পৃথিবী থেকে সূর্যের দূরত্বের ১৫ ভাগের মাত্র ১ ভাগ।
মার্কিন সাহিত্যিক মার্ক টোয়েনের জন্ম ১৮৩৫ সালে। ঐ বছরও হ্যালির ধূমকেতু পৃথিবীর আকাশে দেখা যায়। রসিক এই লেখক ১৯০৯ সালে বলেন,
আমি এসেছিলাম ধূমকেতুর সাথে। আগামী বছর আবার ধূমকেতুটি পৃথিবী ঘুরে যাবে, সাথে আমিও হয়ত চলে যাব।টোয়েন ১৯১০ সালের ২১ এপ্রিল মারা গেলেন, যার এক দিন আগেই দেখে নিলেন তাঁর জীবনকালে ধূমকেতুটির ২য় ভ্রমণ।
হ্যালির ধুমকেতুর কক্ষপথঃ
সূত্রঃ
১. স্পেস ডট কম
২. উইকিপিডিয়াঃ Edmond Halley
৩. এনসাইক্লোপেডিয়া ব্রিটানিকা