Advertisement

শনিবার, ১৬ জুলাই, ২০১৬

শুক্র গ্রহের সাথে আমাদের পৃথিবীর অনেক মিল রয়েছে সত্য। এর ভর, অভিকর্ষ, সাইজ- সবই পৃথিবীর কাছাকাছি। কিন্তু এতে বাস করার চিন্তা করা আদৌ ঠিক হবে না।
ছবিতে শুক্র গ্রহ 

এর প্রধান কারণ ৩টিঃ
১। এর পৃষ্ঠে তাপমাত্রা প্রায় ৪৫৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা ৮৫৪ ফারেনহাইট। এ তাপমাত্রায় টিন ও সিসার মতো বস্তুও গলে যায়।
২। এর পৃষ্ঠচাপ পৃথিবীর সমুদ্র লেভেলের চাপের ৯০ গুণ।
এই তীব্র তাপমাত্রায় একদিকে গলে যেতে হবে, আবার অন্য দিকে চাপের প্রভাবে হতে হবে ভর্তা। মহাকাশযান থেকে একবার নামলেই হল, আবার যানে ফিরতে ফিরতে চ্যাপ্টা না হয়ে উপায় নেই।
৩। এর বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাই অক্সাইড আছে ৯৬ পারসেন্ট।
শুক্রের বায়ুমণ্ডল 

সায়েন্স ফিকশনপ্রেমীসহ কেউ কেউ কল্পনা করেন চেষ্টা করলে শুক্রকে বাসযোগ্য গ্রহে রূপান্তর করা সম্ভব। ধাপে ধাপে অনেকগুলো কৌশল অবলম্বন করে বসবাসের জন্য অযোগ্য কোন গ্রহকে বাসযোগ্য করে তোলার পদ্ধতিকে ইদানিং টেরাফর্মিং বলা হয়। কারো কারো মতে, শুক্র গহের বায়ুমণ্ডলে ব্যাকটেরিয়া ফেলে এর কার্বন ডাই অক্সাইড ও সালফিউরিক এসিডকে অক্সিজেন ও অন্যান্য উপকারী উপজাতে পরিণত করা যেতে পারে। কিন্তু এই চিন্তাটা খুব বেশি যৌক্তিক নয়।
তবে শুক্র গ্রহে বসবাস করতে না পারলেও পৃথিবীতে বসে রাতের আকাশে শুক্র গ্রহের সৌন্দর্য উপভোগ করতে কোনো মানা নেই। চাঁদের পরে রাতের আকাশের সবচেয়ে উজ্জ্বল বস্তু কিন্তু শুক্রই।

আরো পড়ুনঃ
শুকতারার পরিচয়
দিক নির্ণয়ে শুক্র গ্রহ
অদ্ভুত এক গ্রহ 

সূত্রঃ
১। http://www.astronomycafe.net/qadir/q1002.html
২। http://www.space.com/28357-how-to-live-on-venus.html
Category: articles

সোমবার, ২৩ মে, ২০১৬

গত ১০ বছরের মধ্যে মঙ্গল গ্রহ এখন সেরা উজ্জ্বল। এটি এখন সন্ধ্যা নামলেই হাজির হয় পূবাকাশে। বৃহস্পতি তখন থাকে প্রায় মাথার উপরে। দুজনের উজ্জ্বলতায় টক্করও লেগেছে বেশ। অবশ্য বৃহস্পতি একটু এগিয়ে। লুব্ধক এখন সন্ধ্যার পরেই পশ্চিমে ডুবে যায়। তাই বৃহস্পতি সেদিক থেকে একজন প্রতিযোগী হারালেও মঙ্গল ময়দানের লড়াই চালিয়ে রেখেছে।
রাতের আকাশে মঙ্গল গ্রহ

মঙ্গলের সাথেই আছে আরেকটু গ্রহ শনি। শনি অবশ্য উজ্জ্বলতায় বেশ পিছিয়ে। তবে শনি সব সময় প্রায় একই রকম উজ্জ্বল থাকবে। মঙ্গল এখান সেরা উজ্জ্বল হলেও মাস্খানেক পর আবার অনুজ্জ্বল হতে থাকবে। 
Category: articles

বুধবার, ১৮ মে, ২০১৬

দূরত্বের দিক দিয়ে বৃহস্পতি সূর্যের পঞ্চম গ্রহ। এর ভর সৌরজগতের অন্য সব গ্রহের সম্মিলিত ভরের আড়াই গুণ। এর প্রধান উপাদান গ্যাস। তাই এর নাম গ্যাস জায়ান্ট।
টেলিস্কোপে দেখা বৃহস্পতি গ্রহ 
গ্রহটির প্রধান প্রধান বৈশিষ্ট্যঃ

⏩ বৃহস্পতি সৌরজগতের চতুর্থ উজ্জ্বল বস্তু
এটি রাতের আকাশের ৩য় উজ্জ্বল বস্তু। কারণ, রাতেতো আর সূর্য থাকে না। শুধু সূর্য, চাঁদ এবং শুক্র গ্রহই এর চেয়ে বেশি উজ্জ্বল। অন্য গ্রহদের চেয়ে একেই সবচেয়ে বেশি ভালোভাবে চোখে পড়ে। গ্রহদের মধ্যে শুক্র সবচেয়ে উজ্জ্বল হলেও একে কোন সময় সন্ধ্যার পরে আবার কখনো ভোরের আকাশে দেখা যায়। বেশ কিছু সময় এটি সূর্যের এত কাছে থাকে যে একে খালি চোখে দেখা কষ্টকর হয়ে পড়ে, বিশেষ করে শহর থেকে।

⏩ প্রাচীন ব্যাবীলনীয়রা প্রথম বৃহস্পতির পর্যবেক্ষণের রেকর্ড রাখে
এটা খৃষ্টপূর্ব ৭ম বা ৮ম শতকের কথা। রোমদের দেবতার রাজা ছিল জুপিটার। গ্রিকদের কাছে এটি ছিল বজ্র দেবতা জিউস।

⏩ বৃহস্পতির দিনের দৈর্ঘ্য সবচেয়ে ছোট
বৃহস্পতি নিজের অক্ষের উপর একবার পাক খেতে মাত্র ৯ ঘণ্টা ৫৫ মিনিট সময় নেয়। ফলে এতে দিনের দৈর্ঘ্য ৯ ঘণ্টা ৫৫ মিনিট হয়। এই দৈর্ঘ্য গ্রহদের মধ্যে স্বল্পতম। এর অর্থ হচ্ছে গ্রহটির আবর্তন বেগ খুব তীব্র। সত্যি বলতে এই বেগ হচ্ছে সেকেন্ডে ১২.৬ কিমি.। এই তীব্র বেগের কারণে গ্রহটির মেরু অঞ্চল বেশ অনেকটা চেপে গিয়ে চ্যাপ্টা হয়ে গেছে। পৃথিবীও একই কারণে মেরু অঞ্চলে একটু চ্যাপ্টা, অবশ্য তা পরিমাণে বৃহস্পতির চেয়ে কম।

⏩ বৃহস্পতি সূর্যকে প্রদক্ষিণ করতে ১১.৮ বছর লাগে
পৃথিবী থেকে দেখতে আকাশে বৃহস্পতির বেগ খুব ধীর। ফলে এটি এক তারামণ্ডলী থেকে আরেকটিতে যেতে অনেক সময় লাগে। এখানে বেগ বলতে আমরা পৃথিবীর আবর্তনের জন্যে আকাশের বস্তুদের পূর্ব থেকে পশ্চিমমুখী বেগকে বোঝাচ্ছি। বলছি রাতের আকাশের তারকাদের তুলনায় আপেক্ষিক বেগের কথা। তারকাদের তুলনায় বেগের গতির তারতম্যের কারণেই গ্রহদেরকে তারকাদের থেকে আলাদা করে চেনা যায়।

⏩ বৃহস্পতির ঝড়ের চিহ্ন
টেলিস্কোপে বৃহস্পতির গায়ে একটি বড় লাল দাগ দেখা যায়। এর নাম গ্রেট রেড স্পট। ৩৫০ বছর ধরে এর প্রকোপ খুব তীব্র। এই লাল দাগটি এত বড় যে এর মধ্যে ৩টা পৃথিবীকে বসিয়ে দেওয়া যাবে। 

⏩ বৃহস্পতির অভ্যন্তরভাগে পাথর, ধাতু ও হাইড্রোজেন দিয়ে গঠিত
বৃহস্পতির বায়ুমণ্ডল প্রধানত হাইড্রোজেন দিয়ে গঠিত হলেও বায়ুমণ্ডল ছাড়িয়ে ভেতরে গেলে পাওয়া যাবে সঙ্কুচিত হাইড্রোজেন গ্যাস এবং তরল ধাতব হাইড্রোজেন। আর এর কোর বরফ, পাথর ও ধাতুতে তৈরি।

সৌরজগতের সবচেয়ে বড় উপগ্রহের মালিক বৃহস্পতি
সৌরজগতের সবচেয়ে বড় উপগ্রহ গ্যানিমিড। এর পরেই অবস্থান ক্যালিস্টোর। এর চারটি উপগ্রহ প্রথম গ্যালিলিও আবিষ্কার করেন। এই চারটি হল আয়ো, গ্যানিমিড, ইউরোপা ও ক্যালিস্টো।
সূত্রঃ

[১] http://space-facts.com/jupiter/
[২] https://en.wikipedia.org/wiki/Jupiter
Category: articles

শুক্রবার, ৬ মে, ২০১৬

বলছি শনির উপগ্রহ টাইটানের কথা। এতে আছে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ তরল পদার্থ। চমকে গেলেন নিশ্চয়ই? পানি নাকি!
নাহ! পানি নয়। সমুদ্র ঠিকই আছে বটে, তবে সেটা পানির নয়, হাইড্রোকার্বন দিয়ে গড়া। হাইড্রোজেন ও কার্বন সমৃদ্ধ জৈব যৌগকে হাইড্রোকার্বন বলে। টাইটানে মিথেন ও ইথেন (অ্যালকেন পরিবারের) দুটোই থাকলেও বিশুদ্ধ ইথেন এর উল্লেখযোগ্য অংশ দখল করে আছে। সব মিলিয়ে টাইটানের পৃষ্ঠে তরলের পরিমাণ ২ পারসেন্ট। 
প্রায় অবলোহিত আলোতে তোলা টাইটানের পৃষ্ঠে সূর্যের আলোর ঝলক। ছবি নাসার ক্যাসিনি যানের তোলা। 

২০০৭ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে ক্যাসিনি মহাকাশযানের পাঠানো ছবি যাচাই করে সম্প্রতি মিথেন সম্পর্কে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া সম্ভব হয়েছে। 
শনির বৃহত্তম এই উপগ্রহটিতে মোট তিনটি সমুদ্র আছে। এর সবগুলোই উত্তর মেরুর কাছাকাছি অঞ্চলে অবস্থিত। পাশাপাশি, এতে আছে অনেকগুলো ছোট ছোট লেক বা হ্রদ। 
শনির উপগ্র টাইটানে তরলের স্রোত 
সূত্রঃ
আর্থ স্কাই
Category: articles

বৃহস্পতিবার, ৫ মে, ২০১৬

৭৬ বছর পরপর হ্যালির ধূমকেতু পৃথিবীর আকাশে দেখা দেয়। এ সময় একে খালি চোখেই দেখা যায়। এটা খুব সম্ভব একমাত্র ধূমকেতু যাকে কেউ কেউ জীবনে একবারের বেশি দেখতে পারেন। এটি সর্বশেষ পৃথিবীর আকাশে দেখা যায় ১৯৮৬ সালে। আবার দেখা যাবে ২০৬১ সালে।
সৌরজগতের অন্য গ্রহদের তুলনায় হ্যালির ধূমকেতুর অবস্থান, মে ২০১৬ 
একে সর্বশেষ দেখার পর ৩০ বছর পেরিয়েছে। সময়টি এর পুনরাবির্ভাবের অর্ধেকের চেয়ে একটু কম। ফলে, এটি এখনও দূরে সরছে কিন্তু সর্বাধিক দূরত্বের কাছাকাছি অবস্থানে পৌঁছেছে।
প্রতি বছর দুই বার পৃথিবীতে উল্কাপাতের পেছনে হ্যালির ধূমকেতু ভূমিকা রাখে। এর জন্যে একে পৃথিবীর কাছে আসতে হয় না। এর জন্যে দুজনের কক্ষপথ ছেদ করাই যথেষ্ট। ছবিতে দেখুন পৃথিবী সূর্যের চারদিকে একবার  ঘুরে আসতে এর কক্ষপথকে দুবার ছেদ করে।
ধূমকেতুটির কক্ষপথের নতি গ্রহদের তুলনায় অনেকটা বেশি 

ধূমকেতুটির অপসূর অবস্থান অনুসূরের চেয়ে ৬০ গুণ দূরে। বর্তমানে (মে, ২০১৬) এটি নেপচুনের কক্ষপথের বাইরে আছে। এর অপসূরের দূরত্ব ৩৫.৩ এইউ। অর্থ্যাৎ, এটি পৃথিবী থেকে সূর্যের গড় দূরত্বের ৩৫.৩ গুণ দূর পর্যন্ত সফর করে।
১৯১০ সালের মে মাসে তোলা হ্যালির ধূমকেতুর ছবি 
Category: articles

সোমবার, ২ মে, ২০১৬

গ্রহ দেখার আরেকটি দারুণ মাস ২০১৬ সালের মে। এ মাসে সবচেয়ে দারুণ দেখাবে বৃহস্পতি, মঙ্গল ও শনিকে। দেখা যাক, কে কখন, কোথায় থাকবে।
বৃহস্পতিঃ
সন্ধ্যার পরপরই এটি পূর্ব আকাশ থেকে হাজির মাথার উপর। মাসের যে সময়টুকু চাঁদ থাকবে না তাতে বৃহস্পতিই রাতের আকাশের সেরা উজ্জ্বল বস্তু। আগামী মাসগুলোতেও এটি এর পারফরম্যান্স ধরে রাখবে। গত মাসের মতই লুব্ধকের সাথে এর উজ্জ্বলতার প্রতিযোগিতা হবে। অনেকে ভুল করে একে লুব্ধকও মনে করতে পারেন। তবে লুব্ধক এর চেয়েও বেশি পশ্চিমে (এবং মূলত কিছুটা দক্ষিণ-পশ্চিমে) থাকায় বিভ্রান্তি কাটানো সহজ। লুব্ধক আকাশের সেরা উজ্জ্বল নক্ষত্র হলেও সময় সময় গ্রহদের কাছে একে হার মানতে হয়।
মাস গড়াতে গড়াতে আরেকটি গ্রহ মঙ্গলও বৃহস্পতির সাথে টক্কর লাগাবে। তবে এর লাল রঙ এর কারণে একে চিনতে অসুবিধা হবে না।

মঙ্গলঃ
এ মাসের ২য় সেরা উজ্জ্বল গ্রহ এটি। মাসের শুরুতে উজ্জ্বলতার দৌড়ে বৃহস্পতির চেয়ে পিছিয়ে থাকলেও দিন গড়াবার সাথে সাথে এর উজ্জ্বলতা বেড়ে বৃহস্পতির খুব কাছাকাছি হয়ে যাবে। গত ২ বছরের মধ্যে এটি আমাদের জন্যে মঙ্গল গ্রহ দেখার সেরা সময়। মাসের শেষের দিকে এটি এপ্রিল মাসের তুলনায় ৪ গুণ উজ্জ্বল হবে। বুধ ছাড়া অন্য যে কোন গ্রহের চেয়ে মঙ্গল সবচেয়ে বেশি উজ্জ্বলতার পরিবর্তন ঘটায়। এটি এর উজ্জ্বলতম অবস্থায় অনুজ্জ্বল অবস্থা থেকে ৮০ গুণ পর্যন্ত উজ্জ্বল হয়ে ওঠে!
রাতের আকাশে মঙ্গল গ্রহ 


ইদানিং মঙ্গল উজ্জ্বল হচ্ছে কেন?
মঙ্গল গ্রহের কক্ষপথ পৃথিবীর ঠিক বাইরে। সূর্যের চারদিকে পৃথিবী তাই মঙ্গলের চেয়ে দ্রুত ঘোরে। গত দুই বছর ধরে আমরা মঙ্গলের আগে আগে সূর্যের চারদিকে ছুটছি। এ মাসের শেষ দিকে আমরা চলে যাচ্ছি মঙ্গল ও সূর্যের মাঝে। এই ঘটনাকে বলা হয় প্রতিযোগ (Opposition)। এ সময় সূর্য পশ্চিমে অস্ত যাবার পরেই পূব আকাশে দেখা মিলবে মঙ্গলের। মাসের শুরুতে অবশ্য মঙ্গল উদিত হবে রাত ৯টার দিকে।

রাতের আকাশে গ্রহদের এলোমেলো ছোটাছুটি এদেরকে নক্ষত্রদের থেকে আলাদা করে চিনতে ভূমিকা রেখেছে। নক্ষত্রদের সাপেক্ষে এরা কখনো পূর্ব দিকে, আবার কখনো পশ্চিমে ছোটে। 


 ভিডিওঃ ২০১৬ সালের বিভিন্ন মাসে মঙ্গলের ছোটাছুটি 

লাল গ্রহটি নিজে একাই রাতের আকাশকে উজ্জ্বল করছে না। এর পাশেই আছে আরেকটি সুন্দর গ্রহ শনি। আপাতত দুজনের দূরত্ব অবশ্য বাড়ছে, কিন্তু আছে বৃশ্চিক মণ্ডলীতেই।

শনিঃ
মঙ্গল ও শনি দুই গ্রহই আরেকটি উজ্জ্বল বস্তুর কাছে আছে। এটি হচ্ছে আকাশের আকাশের ১৬শ উজ্জ্বল নক্ষত্র জ্যেষ্ঠা (Antares)। এত উজ্জ্বল হয়েও বেচারা দুই গ্রহের কাছে ফেল! আপাতত রাত ৯ থেকে ১০টার মধ্যে এটি শনি উদিত হলেও মঙ্গলের মতই আস্তে আস্তে এই সময় কাছে আসছে। জুনের ৩ তারিখে এটিও প্রতিযোগ অবস্থানে আসবে। এই সময় এও সূর্যাস্তের পরে পূর্ব আকাশে হাজিরা দেবে। আগস্টের ২৪ তারিখে মঙ্গল ও শনি খুবই কাছাকাছি থাকবে।

বুধঃ
মে মাসের ৯ তারিখে বুধ সন্ধ্যার আকাশ থেকে ভোরের আকাশে চলে যাচ্ছে। ফলে, এই সময় এটি সূর্যের খুব নিকটে থাকে বলে একে দেখা প্রায় অসম্ভব। বুধ অন্তঃগ্রহ এবং সূর্যের নিকটতম গ্রহ হওয়ায় খুব দ্রুত ভোরের আকাশ ও সন্ধ্যার আকাশে আসতে যেতে থাকে।

শুক্রঃ
রাতের আকাশের উজ্জ্বলতম গ্রহটি এ মাসেও নিস্তেজ। ফলে রাতের আকাশের রাজত্ব বৃহস্পতির হাতে। এটি এ মাসে (পৃথিবীর আকাশে) সূর্যের নিকটতর হতে হতে সূর্যের আভায় হারিয়ে যাবে। জুনের ৬ তারিখে এটি সূর্যের ঠিক পেছনে চলে যাবে। কারণ, এ সময় কক্ষপথে এটি অবস্থান নেবে পৃথিবীর উল্টো পাশে। এ সময় এটি ধীরে ধীরে ভোরের পূবাকাশ থেকে সন্ধ্যার পশ্চিমাকাশের দিকে আসবে।
শুক্র গ্রহের সূর্যকে অতিক্রমের মুহূর্ত 

Category: articles

মঙ্গলবার, ২৬ এপ্রিল, ২০১৬

সহজ কথায় বললে, সূর্যের চারদিকে কোন গ্রহের কক্ষপথের নিকটতম বিন্দুকে অনুসূর (Perihelion) এবং দূরতম বিন্দুকে অপসূর (Aphelion) বলে। অনুসূর অবস্থান পাড়ি দেবার সময় গ্রহরা জোরে এবং উল্টোভাবে অপসূর দিয়ে যাবার সময় ধীরে চলে।

আমাদের সৌরজগতের গ্রহরা সূর্যকে প্রদক্ষিণ করছে। কিছু গ্রহের কক্ষপথ প্রায় বৃত্তাকার। অধিকাংশেরই কক্ষপথ ছড়ানো, অনেকটা ডিম্বাকৃতির। আরো সঠিক করে বললে উপবৃত্তাকার। আর এই উপবৃত্তাকার হবার কারণেই সূর্য থেকে গ্রহদের দূরত্ব নির্দিষ্ট থাকে না।

উপবৃত্তাকার কক্ষপথে সূর্য থেকে বুধ গ্রহের দূরত্বের পরিবর্তন

সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে আসার সময় পৃথিবী প্রতি বছর এক বার করে অপসূর ও অনুসূর অবস্থান পাড়ি দেয়। অন্য গ্রহরাও সূর্যকে একবার ঘুরে আসতে একবার করে বিন্দু দুটিকে অতিক্রম করে। সাধারণত জানুয়ারি মাসে পৃথিবী সূর্যের সবচেয়ে নিকটে ও জুলাই মাসে সবচেয়ে দূরে থাকে। একে সহজাত বুদ্ধির বিপরীত মনে হয়। কারণ আমরা জানি, জানুয়ারি মাসে শীতকাল থাকে (বাংলাদেশসহ অনেকগুলো দেশে)।তাহলে শীতকালে সূর্য আমাদের সবচেয়ে কাছে থাকে- এটাকি বিশ্বাসযোগ্য? বিশ্বাসযোগ্য না হলেও এটাই বাস্তবতা।

আসলে শীত বা গরম পৃথিবী থেকে সূর্যের দূরত্বের উপর নির্ভর করে না বললেই চলে। এটা নির্ভর করে পৃথিবীর কক্ষীয় নতীর উপর। পৃথিবী এর কক্ষীয় তলের সাথে সাড়ে তেইশ ডিগ্রি পরিমাণ হেলে আছে। ফলে, যে অঞ্চল যখন সূর্যের দিকে হেলে থাকে তখন তাতে গরম অনুভূত হয় এবং উল্টো পাশে বজায় থাকে শীত। এ জন্যেই জানুয়ারি মাসে উত্তর গোলার্ধে শীত থাকলেও দক্ষিণ গোলার্ধে কিন্তু ঠিকই গরম থাকে।

২০১০ সালে পৃথিবীর অপসূর ও অনুসূর 

সূর্যের নিকটতম অবস্থানে থাকার সময় পৃথিবী থেকে এর দূরত্ব থাকে ৯ কোটি ১০ লক্ষ মাইল বা ১৪ কোটি ৭০ লক্ষ কিমি.। অন্য দিকে অপসূর অবস্থানে এই দূরত্ব হচ্ছে ৯ কোটি ৫০ লক্ষ মাইল বা ১৫ কোটি ২০ লক্ষ কিমি.। একেই আমরা গড় করে সাধারণত বলি ৯ কোটি ৩০ লক্ষ মাইল বা ১৫ কোটি কিমি.। পৃথিবী থেকে সূর্যের এই গড় দূরত্বকে বলা হয় অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল ইউনিট।

আরো পড়ুনঃ জ্যোতির্বিদ্যায় দূরত্বের এককেরা

অনুসূর ও অপসূর কথাগুলো গ্রহদের পাশাপাশি ধূমকেতু ও গ্রহাণুদের জন্যেও প্রযোজ্য। ইংরেজি perihelion শব্দটি peri এবং helios গ্রিক শব্দদ্বয় থেকে আগত। peri শব্দের অর্থ নিকটে এবং helios অর্থ সূর্য। ফলে perihelion এর অর্থ দাঁড়াচ্ছে সূর্যের নিকট বিন্দু। একইভাবে গ্রিক apo শব্দের অর্থ দূরে। ফলে aphelion এর দাঁড়াচ্ছে সূর্যের দূরতম বিন্দু। বাংলায় ভেঙ্গে অর্থ করলেও প্রায় একই রকম ব্যাখ্যা পাওয়া যাবে। কারণ সূর কথাটা এসেছে সূর্য থেকেই।

অন্য দিকে, চাঁদও পৃথিবীর চারদিকে উপবৃত্তাকার পথে চলে। ফলে চাঁদের ক্ষেত্রেও পৃথিবীর নিকটতম ও দুরতম দুটি বিন্দু আছে। এদের  জন্যে আছে আলাদা নাম। নিকটতম বিন্দুর নাম অনুভূ এবং দূরতম বিন্দুর নাম অপভূ। বুঝতেই পারছেন, ভূ মানে পৃথিবী। আর অনুভূ মানে পৃথিবীর নিকটে।

সূত্র: উইন্ডোজ টু ইউনিভার্স
Category: articles

মঙ্গলবার, ১৯ এপ্রিল, ২০১৬

এক বছর কাকে বলে? অনেক সহজ প্রশ্ন। এ কারণেই প্রশ্নের পেছনে আরেকটি উদ্দেশ্য আছে। উত্তর হিসেবে সাধারণত সবাই বলবে ৩৬৫ দিনকে এক বছর বলা হয়। এটাকে সংজ্ঞা হিসেবে মেনে নিলে অসুবিধায় পড়তে হবে। কারণ, তাহলে সেই হিসেবে দিন হচ্ছে বছরের উপাদান। অন্য কথায়, বছর হচ্ছে দিনের সমষ্টি। তাহলে দিন কখনোই বছরের চেয়ে বড় হতে পারে না, তাই না? কিন্তু না। হতে পারে। তবে সেটা আমাদের পৃথিবীতে নয়। তবে, খুব বেশি দূরেও না। আমরা যাকে শুকতারা বলি, সেই শুক্র গ্রহেই (Venus) ঘটে এর ব্যতিক্রম। এখানে বছরের চেয়ে দিনের দৈর্ঘ্য বড়। অর্থ্যাৎ, এক দিন হতে যে সময়ের প্রয়োজন হয়, ততোক্ষণে এক বছর পেরিয়ে যায়।


কীভাবে? 
যদিও আমরা জানি, তবু আবার একটু জাবর কেটে জেনে নেই দিন এবং বছর আসলে কাকে বলে? কোন একটি গ্রহ নিজের অক্ষের সাপেক্ষে এক বার পূর্ণ ঘূর্ণন (আবর্তন বা Rotation) সম্পন্ন করতে যে সময় লাগে তাকে দিন বলে। একে আবার আবর্তন কালও (rotational period) বলা হয় আমাদের পৃথিবীর এই কাজটি করতে লাগে প্রায় ২৪ ঘণ্টা। অন্য গ্রহে কিন্তু এই সময় ভিন্ন। তবে সেটা মাপা হয় পৃথিবীর দিনের দৈর্ঘ্যকে আদর্শ (Standard) ধরে।
 
অন্য দিকে কোন গ্রহ তার নক্ষত্রকে প্রদক্ষিণ (Revolution) করে আসতে যে সময় লাগে তাকে তার এক বছর বলে। এক্ষেত্রে পৃথিবী সূর্যকে এক বার ঘুরে আসতে ৩৬৫.২৫ দিন সময় লাগে বলে এই সময়টাকে আমরা এক বছর বলি। আবার, বুধে এক বছর মানে ৮৮ দিন ইত্যাদি। এই ৮৮ দিন কিন্তু বুধের ৮৮ দিন নয়, আমাদের পৃথিবীর হিসাবে ৮৮ দিন। অর্থ্যাৎ ৮৮ × ২৪ ঘণ্টা (প্রায়)। গ্রহদের ক্ষেত্রে এই সময়টাকে আবার পর্যায়কালও বলা হয়।

এবার নিশ্চয় ব্যাপারটা খুব সহজ মনে হচ্ছে। কারণ,কোন গ্রহের আবর্তনকাল যদি এর পর্যায়কালের চেয়ে বড় হয়, তাহলেইতো এর দিন এর বছরের চেয়েও দীর্ঘ হবে। আর, ঠিক এ ঘটনাই ঘটে শুক্র গ্রহে।
সূর্যের ২য় গ্রহ শুক্রের (Venus) আবর্তন কাল ২৪৩ দিন। অন্য দিকে এই গ্রহটি সূর্যকে এক বার ঘুরে আসতে সময় নেয় প্রায় ২২৫ দিন! কী দাঁড়াল? বছর পেরিয়ে গেল, কিন্তু দিন শেষ হবার নামটি নেই। বছরের চেয়ে দিনের দৈর্ঘ্য প্রায় ২২ দিন বেশি। উল্লেখ্য, এখানে দিন বলতে পৃথিবীর দিন তথা প্রায় ২৪ ঘণ্টা বোঝানো হচ্ছে। ]
তুলনার সুবিধার্থে সবগুলো গ্রহের দিনের দৈর্ঘ্য দেখে নেই।

বুধঃ ৫৮ দিন ১৫ ঘন্টা
শুক্রঃ ২৪৩ দিন
মঙ্গলঃ ২৪ ঘণ্টা, ৩৯ মিনিট, ৩৫ সেকেন্ড
বৃহস্পতিঃ ৯.৯ ঘণ্টা
শনিঃ ১০ ঘণ্টা, ৪৫ মিনিট, ৪৫ সেকেন্ড
ইউরেনাসঃ ১৭ ঘণ্টা, ১৪ মিনিট, ২৪ সেকেন্ড
নেপচুনঃ ১৬ ঘণ্টা, ৬ মিনিট, ৩৬ সেকেন্ড
বিভিন্ন গ্রহে এক বছর 

অন্য গ্রহের ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে দিনের দৈর্ঘ্য পৃথিবীর কাছাকাছি। শুক্র কেন আলাদা? কেন একটা দিন এত দীর্ঘ?  শুক্রের অবস্থান সূর্যের খুবই নিকটে। ফলে সূর্যকে এক বার প্রদক্ষিণ করতে এর সময় খুবই কম লাগে, মাত্র ২২৫ দিনের মত। তাহলে প্রশ্ন আসা উচিত, বুধতো সূর্যের আরো কাছে। তার তো এমন উদ্ভট অভ্যাস নেই। আসলে সমস্যা বাঁধিয়েছে শুক্রের ধীর আবর্তন গতি। এর কারণেই দিন পেরোতে বছর গড়িয়ে যায়। বুধের আবর্তন গতি স্বাভাবিক থাকায় ওর ক্ষেত্রে এই সমস্যা হয় না।

সূর্য ওঠে পশ্চিমে!

এখন আমি যদি জিজ্ঞেস করি সূর্য কোন দিকে উদিত হয়, হয়তো সন্দেহ তৈরি হবে- আমার মাথা ঠিক আছে কিনা। আমি ঠিকই আছে। এই অদ্ভুত কাণ্ডেরও মালিকানা সেই শুক্র গ্রহেরই। আমরা জানি পৃথিবী পশ্চিম থেকে পূবে আবর্তন করে। আর তাই সকাল বেলায় আমরা সূর্য মামাকে পূর্ব দিগন্তে উঁকি মারতে দেখি। সৌরজগতের দুটি গ্রহের ক্ষেত্রে এটা উল্টো। একটি হল এই শুক্র, আরেকটি হল ইউরেনাস ( Uranus)। এরা দু'জনেই ঘোরে পূর্ব থেকে পশ্চিমে। তাই এদের সূর্যোদয় ঘটে পশ্চিমে আর সূর্যাস্ত পূবে।

শুক্র গ্রহ ঘোরে পৃথিবীর উলটো দিকে, পূর্ব থেকে পশ্চিমে 

অন্য গ্রহের সাথে এই বড় অমিল থাকলেও পৃথিবীর সাথে কিন্তু শুক্রের ভালো মিল রয়েছে। এজন্য অনেকে একে পৃথিবীর যমজও বলে থাকেন। এর আকার পৃথিবীর চেয়ে অল্প কিছু ছোট, মাত্র ৬৫০ কিলোমিটার কম। কক্ষপথের গঠনেও রয়েছে সাদৃশ্য।  ভরও কাছাকাছি, পৃথিবীর ৮১.৫ শতাংশ। কিন্তু যমজ বলতে হলে একে দুষ্ট যমজ বলতে হবে।

কারণ, এর বায়ুমণ্ডল ৯৬.৫ % কার্বন ডাই অক্সাইডে ভরা! পৃষ্ঠের তাপমাত্রা ৪৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শুক্রের বায়ুমণ্ডল পৃথিবীর চেয়ে ৯৩ গুণ ভারী। ফলে, এর বায়ুমণ্ডলীয় চাপ পৃথিবীর ৯২ গুণ। ছলে বলে কৌশলে ওখানে গিয়ে যদি কার্বন ডাই অক্সাইড ও তীব্র তাপমাত্রা সহ্য করতেও পারেন, তবু এর তীব্র বায়ুমণ্ডলীয় চাপ আপনাকে এখানে টিকতে দিবে না। কারণ এই পরিমাণ বায়ুমণ্ডলীয় চাপ কয়েক কিলোমিটার সাগরের নিচের চাপের সমান, যা ভর্তা হয়ে যাবার জন্য যথেষ্ট।

উপগ্রহবিহীন এই গ্রহটিতে অনুসন্ধান চালানোর জন্য ৪০টির বেশি যান পাঠানো হয়। ৯০ এর দশকে নাসার পাঠানো ম্যাজেলান মিশন এর ৯৮ শতাংশ মানচিত্র তুলে আনে। এর ময়না তদন্ত করার জন্য ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি ২০০৫ সালে ভেনাস এক্সপ্রেস নামক যান প্রেরণ করে। ঝুলিতে বেশ কিছু সাফল্য পুরে ২০১৪ সালে এটি কার্যক্রম শেষ করে।

[লেখাটি এর আগে ব্যাপন ম্যাগাজিনের ফেব্রুয়ারি মার্চ- ২০১৬ সংখ্যায় প্রকাশিত]
Category: articles

রবিবার, ১৭ এপ্রিল, ২০১৬

সৌরজগতের গ্রহদের মধ্যে একমাত্র শুক্র ও বুধের কোনো উপগ্রহ নেই।

সৌরজগতে সব মিলিয়ে ১৮১টি উপগ্রহ রয়েছে। এতে অবশ্য বামন গ্রহদের উপগ্রহদেরকে রাখা হয়েছে। এর মধ্যে ১৯টি উপগ্রহ দেখতে গোলাকার। এর ফলে এরা যদি অন্য কোন গ্রহ বা বামন গ্রহের উপগ্রহ না হত, তবে সরাসরি গ্রহের খেতাব পেয়ে যেত। কিন্তু সৌরজগতের এত উপগ্রহ থাকতেও বুধ ও শুক্র গ্রহের কোন উপগ্রহ নেই।

অন্য দিকে, পৃথিবীর একটিমাত্র উপগ্রহ আছে- চাঁদ। মঙ্গলের আছে ডেমোস ও ফোবোস নামে দুটি উপগ্রহ। বৃহস্পতির উপগ্রহ সবচেয়ে বেশি-  অন্তত ৬৭টি। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল আয়ো , ইউরোপা, গ্যানিমিড ও ক্যালিস্টো। শনিও পিছিয়ে নেই। এর দখলে আছে ৬২ খানা চাঁদ (উপগ্রহকে অনেক সময় চাঁদও বলা হয়)। ইউরেনাস ও নেপচুনের যথাক্রমে ২৭ ও ১৪টি করে চাঁদ আছে।
প্লুটো এখন আর গ্রহ নয়, কিন্তু তারও উপগ্রহ আছে। তাও একটি দুটি নয়, পাঁচ-পাঁচটি। বামন গ্রহদের মধ্যে সেরেস ও মাকিমাকির কোন চাঁদ নেই। কিন্তু প্লুটো ছাড়াও অপর দুই বামন গ্রহ হোমিয়া ও ইরিসের যথাক্রমে ২টি ও ১টি করে চাঁদ আছে।
কিন্তু বুধ ও শুক্রের কোন উপগ্রহ বা চাঁদ নেই কেন?
এর প্রধান সম্ভাব্য কারণ হচ্ছে, এরা সূর্যের খুব নিকটে অবস্থান করছে। গ্রহদ্বয় থেকে বেশ দূরে অবস্থানকারী কোন উপগ্রহ স্থিতিশীল কক্ষপথের মালিক হতে ব্যর্থ হয়। এর ফলে এটি গ্রহের আকর্ষণে থাকার পরিবর্তে সূর্যের টানে সাড়া দেয়। আর যদি গ্রহের খুব কাছে থাকে, তাহলে আবার গ্রহের শক্তিশালী আকর্ষণে গ্রহের সাথে একীভূত হয়ে যায়। এই গ্রহদের চারপাশের যে অঞ্চলে উপগ্রহদের জন্যে নিরাপদ কক্ষপথ হতে পারত সম্ভবত সে অঞ্চলটি খুব সংকীর্ণ যার ফলে কেউ তা হাসিল করতে পারেনি।
আরেকটি ব্যাখা এ রকম। সৌরজগতের অধিকাংশ উপগ্রহই তৈরি হয়েছে গ্রহদের দ্বারা বিভিন্ন গ্রহাণু ও বড় পাথরখণ্ড দখলের কারণে। কিন্তু বুধ সূর্যের খুব নিকটে থাকার কারণে কোন গ্রহাণু বা ধূমকেতু যখন এর কাছাকাছি আসে তখন এটি সূর্যের কবলে পড়ে যায়। এরা তখন হয় সূর্যে গিয়ে পতিত হয় অথবা ধূমকেতুতে পরিণত হয়। ধূমকেতুর কক্ষপথ ছিনতাই করে উপগ্রহ বানাবার মত শক্তি বুধের নেই বলেই এর কোন উপগ্রহ নেই।

সূত্রঃ
[১] উপগ্রহের তালিকা
[২] অ্যাস্ট্রোনমি ক্যাফে
[৩] টেক্সাস আরলিংটন ইউনিভার্সিটি
Category: articles

জ্যোতির্বিজ্ঞান পরিভাষা: জেনে নিন কোন শব্দের কী মানে

এখানে সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যাসহ জ্যোতির্বিদ্যায় প্রয়োজনীয় পরিভাষাগুলোর তালিকা দেওয়া হলো। সাজানো হয়েছে অক্ষরের ক্রমানুসারে। এই তালিকা নিয়মিত আপডেট...