Advertisement

মঙ্গলবার, ১৯ এপ্রিল, ২০১৬

এক বছর কাকে বলে? অনেক সহজ প্রশ্ন। এ কারণেই প্রশ্নের পেছনে আরেকটি উদ্দেশ্য আছে। উত্তর হিসেবে সাধারণত সবাই বলবে ৩৬৫ দিনকে এক বছর বলা হয়। এটাকে সংজ্ঞা হিসেবে মেনে নিলে অসুবিধায় পড়তে হবে। কারণ, তাহলে সেই হিসেবে দিন হচ্ছে বছরের উপাদান। অন্য কথায়, বছর হচ্ছে দিনের সমষ্টি। তাহলে দিন কখনোই বছরের চেয়ে বড় হতে পারে না, তাই না? কিন্তু না। হতে পারে। তবে সেটা আমাদের পৃথিবীতে নয়। তবে, খুব বেশি দূরেও না। আমরা যাকে শুকতারা বলি, সেই শুক্র গ্রহেই (Venus) ঘটে এর ব্যতিক্রম। এখানে বছরের চেয়ে দিনের দৈর্ঘ্য বড়। অর্থ্যাৎ, এক দিন হতে যে সময়ের প্রয়োজন হয়, ততোক্ষণে এক বছর পেরিয়ে যায়।


কীভাবে? 
যদিও আমরা জানি, তবু আবার একটু জাবর কেটে জেনে নেই দিন এবং বছর আসলে কাকে বলে? কোন একটি গ্রহ নিজের অক্ষের সাপেক্ষে এক বার পূর্ণ ঘূর্ণন (আবর্তন বা Rotation) সম্পন্ন করতে যে সময় লাগে তাকে দিন বলে। একে আবার আবর্তন কালও (rotational period) বলা হয় আমাদের পৃথিবীর এই কাজটি করতে লাগে প্রায় ২৪ ঘণ্টা। অন্য গ্রহে কিন্তু এই সময় ভিন্ন। তবে সেটা মাপা হয় পৃথিবীর দিনের দৈর্ঘ্যকে আদর্শ (Standard) ধরে।
 
অন্য দিকে কোন গ্রহ তার নক্ষত্রকে প্রদক্ষিণ (Revolution) করে আসতে যে সময় লাগে তাকে তার এক বছর বলে। এক্ষেত্রে পৃথিবী সূর্যকে এক বার ঘুরে আসতে ৩৬৫.২৫ দিন সময় লাগে বলে এই সময়টাকে আমরা এক বছর বলি। আবার, বুধে এক বছর মানে ৮৮ দিন ইত্যাদি। এই ৮৮ দিন কিন্তু বুধের ৮৮ দিন নয়, আমাদের পৃথিবীর হিসাবে ৮৮ দিন। অর্থ্যাৎ ৮৮ × ২৪ ঘণ্টা (প্রায়)। গ্রহদের ক্ষেত্রে এই সময়টাকে আবার পর্যায়কালও বলা হয়।

এবার নিশ্চয় ব্যাপারটা খুব সহজ মনে হচ্ছে। কারণ,কোন গ্রহের আবর্তনকাল যদি এর পর্যায়কালের চেয়ে বড় হয়, তাহলেইতো এর দিন এর বছরের চেয়েও দীর্ঘ হবে। আর, ঠিক এ ঘটনাই ঘটে শুক্র গ্রহে।
সূর্যের ২য় গ্রহ শুক্রের (Venus) আবর্তন কাল ২৪৩ দিন। অন্য দিকে এই গ্রহটি সূর্যকে এক বার ঘুরে আসতে সময় নেয় প্রায় ২২৫ দিন! কী দাঁড়াল? বছর পেরিয়ে গেল, কিন্তু দিন শেষ হবার নামটি নেই। বছরের চেয়ে দিনের দৈর্ঘ্য প্রায় ২২ দিন বেশি। উল্লেখ্য, এখানে দিন বলতে পৃথিবীর দিন তথা প্রায় ২৪ ঘণ্টা বোঝানো হচ্ছে। ]
তুলনার সুবিধার্থে সবগুলো গ্রহের দিনের দৈর্ঘ্য দেখে নেই।

বুধঃ ৫৮ দিন ১৫ ঘন্টা
শুক্রঃ ২৪৩ দিন
মঙ্গলঃ ২৪ ঘণ্টা, ৩৯ মিনিট, ৩৫ সেকেন্ড
বৃহস্পতিঃ ৯.৯ ঘণ্টা
শনিঃ ১০ ঘণ্টা, ৪৫ মিনিট, ৪৫ সেকেন্ড
ইউরেনাসঃ ১৭ ঘণ্টা, ১৪ মিনিট, ২৪ সেকেন্ড
নেপচুনঃ ১৬ ঘণ্টা, ৬ মিনিট, ৩৬ সেকেন্ড
বিভিন্ন গ্রহে এক বছর 

অন্য গ্রহের ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে দিনের দৈর্ঘ্য পৃথিবীর কাছাকাছি। শুক্র কেন আলাদা? কেন একটা দিন এত দীর্ঘ?  শুক্রের অবস্থান সূর্যের খুবই নিকটে। ফলে সূর্যকে এক বার প্রদক্ষিণ করতে এর সময় খুবই কম লাগে, মাত্র ২২৫ দিনের মত। তাহলে প্রশ্ন আসা উচিত, বুধতো সূর্যের আরো কাছে। তার তো এমন উদ্ভট অভ্যাস নেই। আসলে সমস্যা বাঁধিয়েছে শুক্রের ধীর আবর্তন গতি। এর কারণেই দিন পেরোতে বছর গড়িয়ে যায়। বুধের আবর্তন গতি স্বাভাবিক থাকায় ওর ক্ষেত্রে এই সমস্যা হয় না।

সূর্য ওঠে পশ্চিমে!

এখন আমি যদি জিজ্ঞেস করি সূর্য কোন দিকে উদিত হয়, হয়তো সন্দেহ তৈরি হবে- আমার মাথা ঠিক আছে কিনা। আমি ঠিকই আছে। এই অদ্ভুত কাণ্ডেরও মালিকানা সেই শুক্র গ্রহেরই। আমরা জানি পৃথিবী পশ্চিম থেকে পূবে আবর্তন করে। আর তাই সকাল বেলায় আমরা সূর্য মামাকে পূর্ব দিগন্তে উঁকি মারতে দেখি। সৌরজগতের দুটি গ্রহের ক্ষেত্রে এটা উল্টো। একটি হল এই শুক্র, আরেকটি হল ইউরেনাস ( Uranus)। এরা দু'জনেই ঘোরে পূর্ব থেকে পশ্চিমে। তাই এদের সূর্যোদয় ঘটে পশ্চিমে আর সূর্যাস্ত পূবে।

শুক্র গ্রহ ঘোরে পৃথিবীর উলটো দিকে, পূর্ব থেকে পশ্চিমে 

অন্য গ্রহের সাথে এই বড় অমিল থাকলেও পৃথিবীর সাথে কিন্তু শুক্রের ভালো মিল রয়েছে। এজন্য অনেকে একে পৃথিবীর যমজও বলে থাকেন। এর আকার পৃথিবীর চেয়ে অল্প কিছু ছোট, মাত্র ৬৫০ কিলোমিটার কম। কক্ষপথের গঠনেও রয়েছে সাদৃশ্য।  ভরও কাছাকাছি, পৃথিবীর ৮১.৫ শতাংশ। কিন্তু যমজ বলতে হলে একে দুষ্ট যমজ বলতে হবে।

কারণ, এর বায়ুমণ্ডল ৯৬.৫ % কার্বন ডাই অক্সাইডে ভরা! পৃষ্ঠের তাপমাত্রা ৪৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শুক্রের বায়ুমণ্ডল পৃথিবীর চেয়ে ৯৩ গুণ ভারী। ফলে, এর বায়ুমণ্ডলীয় চাপ পৃথিবীর ৯২ গুণ। ছলে বলে কৌশলে ওখানে গিয়ে যদি কার্বন ডাই অক্সাইড ও তীব্র তাপমাত্রা সহ্য করতেও পারেন, তবু এর তীব্র বায়ুমণ্ডলীয় চাপ আপনাকে এখানে টিকতে দিবে না। কারণ এই পরিমাণ বায়ুমণ্ডলীয় চাপ কয়েক কিলোমিটার সাগরের নিচের চাপের সমান, যা ভর্তা হয়ে যাবার জন্য যথেষ্ট।

উপগ্রহবিহীন এই গ্রহটিতে অনুসন্ধান চালানোর জন্য ৪০টির বেশি যান পাঠানো হয়। ৯০ এর দশকে নাসার পাঠানো ম্যাজেলান মিশন এর ৯৮ শতাংশ মানচিত্র তুলে আনে। এর ময়না তদন্ত করার জন্য ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি ২০০৫ সালে ভেনাস এক্সপ্রেস নামক যান প্রেরণ করে। ঝুলিতে বেশ কিছু সাফল্য পুরে ২০১৪ সালে এটি কার্যক্রম শেষ করে।

[লেখাটি এর আগে ব্যাপন ম্যাগাজিনের ফেব্রুয়ারি মার্চ- ২০১৬ সংখ্যায় প্রকাশিত]
Category: articles

রবিবার, ১৭ এপ্রিল, ২০১৬

সৌরজগতের গ্রহদের মধ্যে একমাত্র শুক্র ও বুধের কোনো উপগ্রহ নেই।

সৌরজগতে সব মিলিয়ে ১৮১টি উপগ্রহ রয়েছে। এতে অবশ্য বামন গ্রহদের উপগ্রহদেরকে রাখা হয়েছে। এর মধ্যে ১৯টি উপগ্রহ দেখতে গোলাকার। এর ফলে এরা যদি অন্য কোন গ্রহ বা বামন গ্রহের উপগ্রহ না হত, তবে সরাসরি গ্রহের খেতাব পেয়ে যেত। কিন্তু সৌরজগতের এত উপগ্রহ থাকতেও বুধ ও শুক্র গ্রহের কোন উপগ্রহ নেই।

অন্য দিকে, পৃথিবীর একটিমাত্র উপগ্রহ আছে- চাঁদ। মঙ্গলের আছে ডেমোস ও ফোবোস নামে দুটি উপগ্রহ। বৃহস্পতির উপগ্রহ সবচেয়ে বেশি-  অন্তত ৬৭টি। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল আয়ো , ইউরোপা, গ্যানিমিড ও ক্যালিস্টো। শনিও পিছিয়ে নেই। এর দখলে আছে ৬২ খানা চাঁদ (উপগ্রহকে অনেক সময় চাঁদও বলা হয়)। ইউরেনাস ও নেপচুনের যথাক্রমে ২৭ ও ১৪টি করে চাঁদ আছে।
প্লুটো এখন আর গ্রহ নয়, কিন্তু তারও উপগ্রহ আছে। তাও একটি দুটি নয়, পাঁচ-পাঁচটি। বামন গ্রহদের মধ্যে সেরেস ও মাকিমাকির কোন চাঁদ নেই। কিন্তু প্লুটো ছাড়াও অপর দুই বামন গ্রহ হোমিয়া ও ইরিসের যথাক্রমে ২টি ও ১টি করে চাঁদ আছে।
কিন্তু বুধ ও শুক্রের কোন উপগ্রহ বা চাঁদ নেই কেন?
এর প্রধান সম্ভাব্য কারণ হচ্ছে, এরা সূর্যের খুব নিকটে অবস্থান করছে। গ্রহদ্বয় থেকে বেশ দূরে অবস্থানকারী কোন উপগ্রহ স্থিতিশীল কক্ষপথের মালিক হতে ব্যর্থ হয়। এর ফলে এটি গ্রহের আকর্ষণে থাকার পরিবর্তে সূর্যের টানে সাড়া দেয়। আর যদি গ্রহের খুব কাছে থাকে, তাহলে আবার গ্রহের শক্তিশালী আকর্ষণে গ্রহের সাথে একীভূত হয়ে যায়। এই গ্রহদের চারপাশের যে অঞ্চলে উপগ্রহদের জন্যে নিরাপদ কক্ষপথ হতে পারত সম্ভবত সে অঞ্চলটি খুব সংকীর্ণ যার ফলে কেউ তা হাসিল করতে পারেনি।
আরেকটি ব্যাখা এ রকম। সৌরজগতের অধিকাংশ উপগ্রহই তৈরি হয়েছে গ্রহদের দ্বারা বিভিন্ন গ্রহাণু ও বড় পাথরখণ্ড দখলের কারণে। কিন্তু বুধ সূর্যের খুব নিকটে থাকার কারণে কোন গ্রহাণু বা ধূমকেতু যখন এর কাছাকাছি আসে তখন এটি সূর্যের কবলে পড়ে যায়। এরা তখন হয় সূর্যে গিয়ে পতিত হয় অথবা ধূমকেতুতে পরিণত হয়। ধূমকেতুর কক্ষপথ ছিনতাই করে উপগ্রহ বানাবার মত শক্তি বুধের নেই বলেই এর কোন উপগ্রহ নেই।

সূত্রঃ
[১] উপগ্রহের তালিকা
[২] অ্যাস্ট্রোনমি ক্যাফে
[৩] টেক্সাস আরলিংটন ইউনিভার্সিটি
Category: articles

শনিবার, ১৬ এপ্রিল, ২০১৬

একটি বস্তুতে মোট পদার্থের পরিমাণকে ভর বলে। একে আমরা সাধারণত ওজোন বলি। প্রকৃতপক্ষে ওজোন হচ্ছে বস্তুর উপর প্রযুক্ত বলের পরিমাপ। সৌরজগতে বর্তমানে গ্রহের সংখ্যা ৮টি। আগে ৯টি থাকলেও প্লুটোর পদবী এখন বামন গ্রহ হওয়াও সংখ্যা এক কম।
আমরা গ্রহদের ভরের প্রকৃত মান দেখার পাশাপাশি পৃথিবীর সাথে তুলনা করব। এখানে ভর উল্লেখ করার ক্ষেত্রে বৈজ্ঞানিক সংখ্যা উল্লেখ করব। যেমন বুধ গ্রহের ভর 3.30×1023 kg। এর অর্থ হচ্ছে ৩.৩ এর পরে ২৩ টি শুন্য দিলে যা হবে। আগেই জেনে রাখা ভাল, পৃথিবীর ভর হচ্ছে 6×1024 kg। 
সৌরজগতের মোট ভরের ৯৯.৮৬ ভাগই সূর্যের একার দখলে। আবার বৃহস্পতির একার ভর অন্য ৭ গ্রহের আড়াই গুণ। 
সৌরজগতের গ্রহদের ভর নিয়ে পাই চার্ট

বুধঃ 
উপরে উল্লেখিত বুধের এই ভরটিই সৌরজগতের কোন গ্রহের সবচেয়ে ছোট ভর। বুধ গ্রহের ভর কম হওয়ায় এটি নিজে যেমন খুব হালকা তেমনি এতে গেলে আমাদের ওজোনও প্রায় তিন ভাগের এক ভাগ হয়ে যাবে। একটু আগেই বলেছি, ওজোন হচ্ছে প্রযুক্ত বলের পরিমাণ। ফলে, ভর কম হওয়ায় অভিকর্ষজ ত্বরণ কমে যাবে, এবং সেই সাথে ওজোনও। কারণ বস্তুর ওজোন নির্ভর করে এর অভিকর্ষজ ত্বরণের উপর। পৃথিবীতে আপনার ওজোন (ভর) ৬৮ কেজি হলে বুধে তা হবে ২৫.৭ কেজি। পৃথিবীর তুলনায় বুধের ভর ০.০৫৫ গুণ। উল্টোভাবে বললে ১৮টি বুধ একত্র করলে পৃথিবীর ভরের সমান হবে। 
শুক্রঃ
একে আমরা শুকতারাও বলি। অধিকাংশ গ্রহের তুলনায় এটিও খুব হালকা। এর ভর ভর ও আয়তনে অবশ্য পৃথিবীর কাছাকাছি, তবে অবস্থান একটু নিচে। ভর 4.87×1024 kg এবং অভিকর্ষজ ত্বরণ পৃথিবীর ৯০ পারসেন্ট। এর মানে হল,  কেউ পৃথিবীতে ১০০ কেজি হলে শুক্র গ্রহে তার ভর হবে ৯০ কেজি। পৃথিবীর ভর ১০০ কেজি ধরে নিলে শুক্রের ভর হবে ৮১.৫ কেজি। শুক্রের অভিকর্ষ আমাদেরকে মেরে ফেলার মত প্রাণঘাতী না হলেও এর বিষাক্ত গ্যাস ও উচ্চ তাপমাত্রা সেই কাজ সম্পন্ন করবে।
মঙ্গলঃ
কম ভরের দিক দিয়ে সৌরজগতে মঙ্গলের অবস্থান ২য়। পৃথিবীর চেয়ে এর ভর ১০ গুণ কম। প্রকৃত ভর  6.42×1023 kg কেজি। এর ভর এত কম যে,এতে কোন বায়ুমণ্ডল তৈরি হতে পারেনি। বায়ুমণ্ডল না থাকার কারণেই আমরা এর লাল পৃষ্ট অবলীলায় দেখতে সক্ষম হই। 
আরো দেখুনঃ মঙ্গল গ্রহ লাল কেন? 
বৃহস্পতিঃ
হ্যাঁ, গ্রহরাজ বৃহস্পতির ভর সৌরজগতের গ্রহদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। এর ভর 1.90×1027 kg। ৩১৮ টি পৃথিবীর ভর একত্র করলে তবেই তা বৃহস্পতির ভরের সমান হবে। বৃহস্পতির কোন কঠিন পৃষ্ঠ নেই বলে এতে দাঁড়ানো যাবে না। কিন্তু যদি যেতও এর শক্তিশালী অভিকর্ষ সাথে সাথে আমাদেরকে পিষে ফেলত। অভিকর্ষ বেশি হবার কারণে যে মানুষটির ভর পৃথিবীতে ৬৮ কেজি, এই গ্রহে তার ভর দেখা যাবে ১৬১ কেজি। প্রকৃতপক্ষে অবশ্য ভর বাড়বে না। পৃথিবীতে আমরা ভর মাপার জন্যে যে যন্ত্রগুলো ব্যবহার করি, তা ওখানে নিয়ে গেলে অভিকর্ষজ ত্বরণের পার্থক্যের কারণে ভিন্ন ভর দেখাবে। আসলে এটা ভরের পার্থক্য বোঝাচ্ছে না, বোঝাচ্ছে ত্বরণের পার্থক্য। 
শনিঃ
শনির ভর 5.69×1026 kg। ভরের দিক দিয়ে এর অবস্থান ২য়। এর ভর ভর পৃথিবীর ৯৫ গুণ হলেও ঘনত্ব খুব কম হওয়ায় অভিকর্জষজ ত্বরণ পৃথিবীর চেয়েও কম- মাত্র ৯১%। অর্থ্যাৎ, শনিতে গেলে আমাদের ওজোন একটুখানি ক্মে যাবে।  
ইউরেনাসঃ 
সৌরজগতের সপ্তম গ্রহ ইউরেনাসের ভর 8.68×1025 kg। শনির মতই এর ভর পৃথিবীর চেয়ে বেশি হলেও অভিকর্ষ পৃথিবীর চেয়ে কম। আপনার ভর পৃথিবীতে ৬৮ কেজি হলে, ইউরেনাস গ্রহে গিয়ে মাপলে তা দেখা যাবে ৬০.৫ কেজি। 
নেপচুনঃ
নেপচুন ভরের দিক দিয়ে তৃতীয় অবস্থানে আছে। এর ভর 1.02×1026 kg যা পৃথিবীর ১৭ গুণ। এর অভিকর্ষ ত্বরণও পৃথিবীর চেয়ে বেশি। আপনি পৃথিবীতে ৬৮ কেজি হলে নেপচুনে গিয়ে হবেন ৭৬.৫।  
সূত্রঃ
[১] http://www.universetoday.com/34024/mass-of-the-planets/
[২] http://astronomy.nmsu.edu/tharriso/ast110/planetdensities.gif
Category: articles

শনিবার, ২ এপ্রিল, ২০১৬

এই এপ্রিলের আকাশের সবেচেয়ে দর্শনীয় বস্তু গ্রহ রাজ বৃহস্পতি। ইদানিং এটি সন্ধ্যার পরপর এটি আকাশে হাজির হয়। অন্য গ্রহদের অবস্থাও এ মাসে বেশ ভালো। কিন্তু উজ্জ্বলতম গ্রহ শুক্রই এ মাসে দেখা যাবে না। তবু সামগ্রিক বিচারে গ্রহ দেখার জন্য এ মাসটি বছরের অন্যতম সেরা মাস। 
বৃহস্পতিঃ
এ মাসে উজ্জ্বলতায় সবার শীর্ষে বৃহস্পতি। সন্ধ্যার পরেই এটি আকাশের উজ্জ্বলতম নক্ষত্র লুব্ধকের সাথে উজ্জ্বলতার টক্কর লাগায়। টক্করে বিজয়ী বৃহস্পতিই। পরাজয় মেনে নিয়ে লুব্ধক অবশ্য কয়েক ঘণ্টা পরেই হারিয়ে যায় পশ্চিম দিগন্তে। কিন্তু বৃহস্পতি প্রায় সারা রাত রাতের আকাশে রাজত্ব করে পশ্চিম দিগন্তে ডুব দেবে ভোরের দিকে। আগামী মাসগুলোতেও এটি নিজের পারফরম্যান্স অব্যাহত রাখবে।
লুব্ধক ও বৃহস্পতিকে কি করে চেনা যাবে? 
লুব্ধক বছরের এ সময় থাকে দক্ষিণ-পশ্চিম আকাশে। অন্য দিকে বৃহস্পতি সন্ধ্যার পরে পূর্ব দিকে ভেসে ওঠে। আদম সুরতের মাধ্যমে লুব্ধককে চিনে নেওয়া যেতে পারে।
আদম সুরতের মাঝের তিনটি তারা যোগ করে বাম দিকে বাড়িয়ে দিলেও পাওয়া যায় লুব্ধক
বর্তমানে বৃহস্পতির অবস্থান রাশিচক্রের সিংহ মণ্ডলীর কাছে
মঙ্গল গ্রহঃ
এ মাসে মঙ্গল বৃহস্পতির মত এতটা উজ্জ্বল নয়। তবে, আগামী দিনগুলোতে মঙ্গল ক্রমশ উজ্জ্বল হতে থাকবে, আর বৃহস্পতি ধীরে ধীরে অনুজ্জ্বল হবে। এমনকি এ মাসেই মঙ্গল স্বাভাবিকের চেয়ে দ্বিগুণ উজ্জ্বল হবে। কেন? কারণ কোন গ্রহ যখন সূর্যাস্তের কাছাকাছি সময় পূর্ব দিকে উদিত হয়, তখন এটি এর সেরা ঔজ্জ্বল্য প্রদর্শন করে। এ কারণেই বৃহস্পতি এখন উজ্জ্বল এবং সেই কারণেই মঙ্গল দ্রুত উজ্জ্বলতা বাড়াচ্ছে। 
মে মাসের শেষের দিকে এটি উজ্জ্বলতায় চারগুণ হয়ে যাবে। ঐ সময় সূর্য পশ্চিমে হারিয়ে গেলে এটি পূর্ব দিগন্তে দেখা দেবে। এ মাসে অবশ্য এটি দক্ষিণ-পূর্ব আকাশে হাজির হয় ১১টার দিকে। মাসের শেষের দিকে উঠবে ৯ টার দিকে। এর পাশেই আছে আরেকটি গ্রহ শনি। 
দক্ষিণ-পূর্ব আকাশে মঙ্গল ও শনি গ্রহ
শনি গ্রহঃ
এ মাসের আরেকটি উজ্জ্বল বস্তু। অবশ্য বৃহস্পতি ও মঙ্গলের চেয়ে এটি মৃদু। মঙ্গলের মতই বৃশ্চিক মণ্ডলীর কাছাকাছিতে এর অবস্থান। মাসের শুরুতে রাত ১টা এবং মাসের শেষে ১০ টার দিকে পূর্ব দিগন্তে হাজির হবে। 

বুধ গ্রহঃ
বুধ সব সময় সূর্যের আশেপাশে থাকে। এ মাসে সব তারিখেই এটি সূর্যের পরে অস্ত যাবে। অবশ্য দিগন্তের কাছাকাছি থাকায় বিশেষত শহর অনগচল থেকে একে চিনে নেওয়া একটু কষ্টকর। তবে মাসের ৮ তারিখে চাঁদ একে চিনতে সাহায্য করবে। 

শুক্র (শুকতারা):
আমাদের অনেকেরই আকাশের সবচেয়ে প্রিয় বস্তু শুকতারা। কিন্তু দূর্ভাগ্যের কথা এটিও বুধের মত সূর্যের খুব কাছাকাছি থাকে। ফলে একে সন্ধ্যায় বা ভোরেই শুধু দেখা যায়। এই মাসে এটি সূর্যের এত কাছে যে একে দেখা দুঃসাধ্য ব্যাপার হয়ে দাঁড়াবে। আফসোস! 
ভোরের আকাশ থেকে সন্ধ্যার আকাশে পাড়ি দেবার প্রাক্কালে জুনের ৬ তারিখে এটি একেবারে সূর্যের পেছনে থাকবে। 

সূত্রঃ Earth Sky
Category: articles

সোমবার, ৮ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

বলয়সহ নীল ও সোনালী রঙে শনি গ্রহ 

বিবরণঃ
আপনি যদি বলয়ধারী গ্রহটির কাছাকাছি অবস্থানে ভেসে থাকতে পারতেন, তবে একে উপরের ছবির মত দেখবেন। ২০০৬ সালের মার্চে মহাকাশযান ক্যাসিনি ছবিটি সংগ্রহ করে। রোবটজাতীয় এই স্পেসশিপটির কার্যক্রম ২০১৬ এসেও চালু আছে। শনির রাজকীয় বলয়টি এখানে শুধুই একটি উলম্ব দাগের মত দেখাচ্ছে। বলয়ের সমতলেই দেখা যাচ্ছে শনির উপগ্রহ এনচেলাডাস। উপগ্রহটির ব্যাস মাত্র ৫০০ কিলোমিটার।
শনি গ্রহের উত্তর গোলার্ধ দেখতে আংশিক নীল। পৃথিবীর আকাশ যে কারণে নীল তার সাথে এই ঘটনার মিল আছে। দুই গ্রহের ক্ষেত্রেই মেঘহীন বায়ুমণ্ডলের অণু লাল আলোর চেয়ে নীল আলো সহজে বিক্ষেপণ করতে পারে- নীল আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য কম বলে।  তবে মেঘ এড়িয়ে গ্রহটির আরো গভীরে দৃষ্টিপাত এর সহজাত সোনালী রঙ গোচরে আসে। শনির দক্ষিণ গোলার্ধ কেন নীল রঙ প্রদর্শন করে না তা এখনো জানা সম্ভব হয়নি। গ্রহটিতে ভেসে থাকা মেঘেরা সোনালী দেখায়ো কেন তাও জানা যায়নি।
শনি গ্রহ দেখতে খানিকটা নীল কেন? 
Category: articles

সোমবার, ১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

শুক্র গ্রহের একটি অন্যতম ডাক নাম শুকতারা। অন্য দিকে একে সন্ধ্যাতারাও বলা হয়। অথচ বেচারা মোটেই তারা বা নক্ষত্র নয়, সৌরজগতের একটি গ্রহ মাত্র। ইংরেজিতেও একে ভুল করে star বলা হয়- যথাক্রমে Morning star ও Evening star। কিন্তু নক্ষত্র বা তারা না হওয়া সত্ত্বেও একে কেন তারা বলা হয়? এর তো নিজস্ব আলো নেই। এটিও চাঁদের মতই সূর্যের আলোই প্রতিফলিত করে।
ভোরের আকাশে শুকতারার ছবি 

শুক্র গ্রহ পৃথিবীর চেয়ে সূর্যের নিকটে থাকায় এর কক্ষপথ পৃথিবীর চেয়েও ভেতরের দিকে। এ কারণে, বুধের মতই এটিও সব সময় সূর্যের কাছাকাছি অবস্থান করে। পৃথিবীর আকাশে এটি যখন সূর্যের পেছনে থাকে (সূর্যের পরে উদয়-অস্ত ঘটার কারণে), তখন সূর্যাস্তের পরেই পশ্চিমাকাশে এটি উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। সবচেয়ে বেশি উজ্জ্বল থাকার সময়গুলোতে এটি সূর্য ডোবার কয়েক মিনিট পরেই দৃশ্যমান হয়ে ওঠে। এ সময় একে আমরা সন্ধ্যাতারা বলি (Evening star)।
অন্য দিকে, এটি পৃথিবীর আকাশে সূর্যের চেয়ে এগিয়ে থাকলে এটি সূর্যের আগেই অস্ত যায়। এ সময় একে সন্ধ্যার আকাশে দেখা যায় না। কিন্তু সূর্যের আগে অস্ত গিয়েছে এ কারণেই যে এটি আসলে ভোরে উদিতও হয়েছিল সূর্যের আগে। ফলে, এই সময়গুলোতে একে ভোরের আগে পূবাকশে দেখা যায়। সূর্য উদিত হয়ে এর আলোতে মিলিয়ে যায় এর আলো। এ অবস্থায় একে আমরা বলি সন্ধ্যাতারা।

প্রাচীন গ্রিকরা শুকতারা ও সন্ধ্যাতারাকে দুটি আলাদা বস্তু মনে করত। তারা এদেরকে যথাক্রমে ফসফোরস (Phosphoros) ও হেসপেরোস (Hesperos) নাম দিয়েছিল। প্রথমটির অর্থ আলো আনয়নকারী ও সন্ধ্যার তারা। কয়েকশো বছর পরে তারা বুঝতে পারে যে, এরা দুজন আসলে একই বস্তু।
সূত্রঃ
১। ইউনিভার্স টুডে
Category: articles
আমরা জানি, গ্রহদের অন্তত দুটি গতি আছে- আবর্তন গতি ও সূর্যের চারদিকে প্রদক্ষিণ গতি। অবশ্য এরা সূর্যের সাথে সাথে আমাদের মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সিকে কেন্দ্র করেও ঘুরছে। সেটা আলাদা কথা। এখানে আমরা গ্রহদের আবর্তন নিয়ে কথা বলছি।

পৃথিবীর উত্তর মেরু থেকে পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যায়, শুক্র এবং ইউরেনাস ছাড়া সৌরজগতের সবগুলো গ্রহ ঘড়ির কাঁটার উল্টো দিকে ঘোরে। অন্য কথায়, গতিটি হচ্ছে পশ্চিম থেকে পূবে। এটা একই সাথে সূর্যের চারপাশে গ্রহদের প্রদক্ষিণেরও দিক। ধারণা করা হয়, একটি বড়সড় গ্রহাণুর আঘাতে ইউরেনাসের আবর্তন গতি খেই হারিয়ে ফেলে। ফলে, এর আবর্তনের দিক এর প্রদক্ষিণ দিকের সাথে প্রায় সমকোণে তথা ৯০ ডিগ্রি কোণে হেলে পড়ে। অন্য দিকে, অন্য গ্রহের তুলনায় শুকতারা নামে পরিচিত শুক্র গ্রহের গতি একেবারেই উল্টো দিকে। অর্থ্যাৎ, এর আবর্তন হয় পূর্ব থেকে পশ্চিমে। এ কারণে, এই গ্রহে সূর্যোদয় ঘটে পশ্চিমে!
ধারনা করা হয়, এরও উল্টো গতির পেছনে দায়ী কোন গ্রহাণু।

সূত্রঃ 
১। কর্নেল ইউনিভার্সিটি
Category: articles

বৃহস্পতিবার, ২৮ জানুয়ারী, ২০১৬

সৌরজগতের গ্রহগুলোর মধ্যে রাতের আকাশে খালি চোখে দেখা যায় ৫টি- বুধ, শুক্র (শুকতারা), মঙ্গল, বৃহস্পতি ও শনি। এই বছর এক মাস যাবত (জানুয়ারির ২০ থেকে ফেব্রুয়ারির ২০) এদের সবাইকে একত্রে ভোরের আকাশে দেখা যাচ্ছে। এটা দারুণ একটি দৃশ্য। এর আগে সর্বশেষ এই সুন্দর দৃশ্যের অবতারণা হয়েছিল ২০০৪ সালের ডিসেম্বরে। সে এক যুগ আগের কথা।
দৃশ্যমান এই গ্রহদের মধ্যে সবার আগে রাতের আকাশে হাজির হচ্ছে বৃহস্পতি। মধ্য রাতের কাছাকাছি সময়। দিন গড়াবার সাথে সাথে আগের দিনের চেয়ে আগে। মধ্য রাতের পরে হাজির হবে মঙ্গল। এর পর একে একে হাজির হবে শনি, শুক্র ও বুধ। বুধ অবশ্যই সবার শেষে। কারণ, বেচারা সব সময় সূর্যের কাছাকাছি থাকে।
কখন আবার সব গ্রহকে এক সাথে দেখা যাবে?
খুশির খবর হচ্ছে এ বছরই! সাথে দুঃখের খবর হচ্ছে, অফারটা খুবই সংক্ষিপ্ত! আগস্টের ১৩ থেকে ১৯- তাও উত্তর গোলার্ধের আকাশ সেই দৃশ্য দেখার জন্য খুব একটা সুবিধার জায়গা নয়।



Category: articles

শনিবার, ২৩ জানুয়ারী, ২০১৬

অতীতে বিভিন্ন সময় গ্রহের (Planet) বিভিন্ন সংজ্ঞা প্রচলিত ছিল। এমনকি একই সময়েও একাধিক সংজ্ঞা বিদ্যমান ছিল। এটা নির্ভর করত কে কোথায় সংজ্ঞায়িত করছে তার উপর। বিশ্বাস করা কঠিন হলেও এখন যে সূর্যকে ভিত্তি করে আমরা গ্রহকে সংজ্ঞায়িত করি, এক সময় মানুষ সেই সূর্যকেও গ্রহ নাম দিয়েছিল। চাঁদের সাথেও করা হয়েছিল একই আচরণ। ১৮০১ সালে আবিষ্কৃত বামন গ্রহ সেরেসকেও প্রথমে গ্রহ ভাবা হয়েছিল। বিখ্যাত জ্যোতির্বিদ উইলিয়াম হার্শেল একে গ্রহাণু নাম দেবার প্রস্তাব সেটা সবার মনে ধরে।
যাই হোক, নানা বিতর্কের পরেও আমরা বহু দিন পাঠ্যে বইয়ে পড়ে আসছিলাম, সৌরজগতে নয়টি গ্রহ সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে। এর মধ্যে সর্বশেষ ও নবম গ্রহ ছিল প্লুটো। কিন্তু ২০০৩, ২০০৪ ও ২০০৫ সালে যথাক্রমে আবিষ্ক্রৃত হল বর্তমানে বামন গ্রহ নামে পরিচিত ইরিস, হোমিয়া ও মাকিমাকি। এর মধ্যে ইরিস আবার প্লুটোর চেয়েও বড়। প্লুটোর ভর আমাদের চাঁদের চেয়েও কম! এত অযোগ্যতা মাথায় বয়ে প্লুটোর পক্ষে আর গ্রহ হিসেবে জীনব ধারণ করা সম্ভব হলো না। আন্তর্জাতিক জ্যোতির্বিজ্ঞান সমিতি ঘোষণা দিল- প্লুটো এখন থেকে ইরিস, হোমিয়া, মাকিমাকি ও সেরেসের সাথে সাথে ৫টি বামন গ্রহের একটি।
আরো পড়ুনঃ প্লুটো যেভাবে গ্রহত্ব হারালো

তাহলে গ্রহ বলা হয় কাকে? শর্ত হলো তিনটি।
১।  সূর্যের চারদিকে কক্ষপথে থেকে প্রদক্ষিণ করে চলছে।
২। নিজের অভিকর্ষ এতটা শক্তিশালী যে এতে করে এর আকৃতি গোলাকার হতে পেরেছে।
৩। এর কক্ষপথ  অন্য কোন বস্তুর হস্তক্ষেপ থেকে মুক্ত।
আচ্ছা, তাহলে সৌরজগতের বাইরে গ্রহ থাকবে কিভাবে যদি এখানে প্রথম শর্ত পূরণ করতেই হয়? আসলে সূর্য যেহেতু নিজেই একটি নক্ষত্র তাই অন্য যেকোন নক্ষত্রও গ্রহের মালিক হতে পারে- অসুবিধা নেই। অবশ্য তাদেরকে আমরা গ্রহ না বলে বহির্গ্রহ (Exoplanet) বলি।

পৃথিবীর রাতের আকাশে খালি চোখে ৫টি গ্রহ দেখা যায়- বুধ, শুক্র, মঙ্গল, বৃহস্পতি ও শনি। এদের মধ্যে শুক্র (শুকতারা) ও বৃহস্পতি যথাক্রমে রাতের আকাশের ২য় ও ৩য় উজ্জ্বল বস্তু। প্রতি মাসে শখের জ্যোতির্বিদ ফেসবুক গ্রুপে ও মহাবিশ্ব সাইটে গ্রহদের নিয়মিত আপডেট দেওয়া হয়। নিয়মিত খোঁজ রাখতে হলে আপনি এই লিংক বা এই লিংক অনুসরন করতে পারেন।
সূত্রঃ
১। ইউনিভার্স টুডে
২। ইংরেজি উইকিপিডিয়াঃ গ্রহের সংজ্ঞা
৩। আন্তর্জাতিক জ্যোতির্বিজ্ঞান সমিতি
৪। উইকিপিডিয়াঃ বহির্গ্রহ
Category: articles

শনিবার, ১৪ নভেম্বর, ২০১৫

শুকতারা আসলে সৌরজগতের ২য় এবং পৃথিবীর নিকটতম গ্রহ শুক্র। আমরা একে 'তারা' বলে ডাকলেও আসলে এটি 'তারা' নয়, গ্রহ। যাই হোক, বছরের কিছু সময় এটা থাকে সন্ধ্যার আকাশে, কিছু সময় আবার ভোরের আকাশে। এই দুই সময় একে যথাক্রমে সন্ধ্যাতারা ও শুকতারা বলা হয়। সন্ধ্যাতারা থাকে সব সময় পশ্চিম দিকে, আর শুকতারা সব সময় পূর্ব দিকে। গত কয়েক মাস এবং আগামী কিছু দিন (আগস্ট-প্রায় ডিসেম্বর, ২০১৫) এটি ভোরের আকাশে আছে।

একে চেনার উপায়ঃ 
চাঁদের পরে রাতের আকাশে এটি সবচেয়ে উজ্জ্বল বস্তু। এমনকি, রাতের আকাশের উজ্জ্বলতম নক্ষত্র 'লুব্ধক'ও এর চেয়ে অনুজ্জ্বল। গ্রহটি এতই উজ্জ্বল ও বড় দেখায় যে মাঝে মাঝে একে দূরের কোন টাওয়ারের আলো বলে মনে হয়। দেখতেও প্রায় টেনিস বলের মত বড়। তাই এমন অস্বাভাবিক বড় কোন বস্তু দেখলেই একে শুক্র গ্রহ ধরে নিলে খুব একটা ভুল হবে না। আর যেহেতু এটা পশ্চিম বা পূবাকাশেই থাকে তাই সন্ধ্যায় এটা যেদিকে থাকবে সেটাই পশ্চিম, আর ভোরে যেদিকে থাকবে সেটাই পূর্ব দিক।
আরো পড়ুন,
১। ধ্রুবতারা দেখে দিক নির্ণয়
২। সূর্য দিয়ে দিক নির্ণয় 
Category: articles

রবিবার, ১ নভেম্বর, ২০১৫

এ মাসে সংক্ষেপে জানাচ্ছি। আমরা জানি, রাতের আকাশে ৫টি গ্রহ খালি চোখে দেখা যায়- শুক্র, বৃহস্পতি, শনি, মঙ্গল ও বুধ। চলুন দেখি, এ মাসে কাদেরকে কোথায় দেখা যাবে।
নভেম্বরের ১২ তারিখের দৃশ্য
এ মাসের সন্ধ্যার একমাত্র গ্রহ শনি।
দীর্ঘ প্রায় এক বছর ধরে রাতের আকাশ উজ্জ্বল করে শনি গ্রহ এই মাসে হারিয়ে যেতে বসেছে রাতের আকাশ থেকে। বিদায় শনি! এর কারণ এ মাসের মাঝামাঝিতে এটি পৃথিবী ও সূর্যের সাথে একই রেখা বরাবর অবস্থানে চলে আসবে। ফলে এটি অস্ত যাবে সূর্যের সাথে সাথেই, এবং ক্রমান্বয়ে আগেই। এরপরে ডিসেম্বরের শেষের দিকে হাজির হবে পূবাকাশে, ভোরে সূর্যের আগেই উদিত হয়ে। এখানে একটি সহজ বিষয় মাথায় রাখা দরকার- সন্ধ্যার পশ্চিমাকাশ থেকে কোন গ্রহ হারিয়ে যাবার কিছু দিন পরেই এটি ভোরের পূবাকাশে হাজির হয়। কারণ, সন্ধ্যার আকাশ থেকে হারায় তখনি যখন ভোরে এটি সূর্যের সাথে বা আগেই উদিত হয় এবং পরিণামে যুগপৎ বা আগেই অস্ত যায়।
তবে শনির উল্টো ঘটনা ঘটবে বুধের ক্ষেত্রে- এটি ১৭ তারিখে ভোরের আকাশ থেকে সন্ধ্যার আকাশে ফিরে আসবে। অবশ্য এটি খুবই অনুজ্জ্বল। অন্য দিকে শুক্র, বৃহস্পতি ও মঙ্গল থাকবে ভোরের আকাশেই।
মাসের শুরুর দিকে ভোরের ২/৩ ঘণ্টা আগে বৃহস্পতির উদয় ঘটলেও দিন গড়াতে গড়াতে মাসের শেষের দিকে এর উদয় ঘটবে মধ্য রাতের পরেই। আর এক্ষেত্রে অন্য সবার চেয়ে এই গ্রহটি এগিয়ে থাকবে।
সূত্রঃ
১। আর্থ স্কাই
Category: articles

জ্যোতির্বিজ্ঞান পরিভাষা: জেনে নিন কোন শব্দের কী মানে

এখানে সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যাসহ জ্যোতির্বিদ্যায় প্রয়োজনীয় পরিভাষাগুলোর তালিকা দেওয়া হলো। সাজানো হয়েছে অক্ষরের ক্রমানুসারে। এই তালিকা নিয়মিত আপডেট...