Advertisement

রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

এলিয়েনের হাতে হিল দম্পতির অপহরণের কিসসা-২

এলিয়েনের হাতে অপহরণের কিসসাঃ ১ম পর্ব 

মনুষ্যসদৃশ (humanoid ) প্রাণিটির পরনে ছিল দামী ইউনিফর্ম ও কালো টুপি। যানটির নিচ থেকে বেরিয়ে এল বিশাল এক আকৃতি। যানটি আরো কাছে এগিয়ে এল, প্রায় ৫০-৮০ ফুট ওপরে ও ৩০০ ফুট সামনে। পরবর্তীতে ১৯৬১ সালের অক্টোবরের ২১ তারিখে (ঘটনার এক মাস পর) বার্নে নিকাপের (NICAP=National Investigations Committee On Aerial Phenomena*) গোয়েন্দা ওয়াল্টন ওয়েবকে বলেন, "যেভাবেই হোক, প্রাণিগুলো মানুষ ছিল না।"
চোখ থেকে বাইনোকুলার সরিয়ে বার্নে গাড়ির দিকে ছুটে গেলেন।  উত্তেজিত হয়ে বেটিকে বললেন, "ওরা আমাদের ধরতে আসছে!"
বস্তুটা আবারও অবস্থান পাল্টিয়ে সরাসরি  গাড়ির ওপরে চলে এল। বস্তুটার দিকে বেটিকে চোখ রাখতে বলে বার্নে দ্রুত গতিতে গাড়ি ছুটিয়ে দিলেন। উজ্জ্বল, তারকাখচিত রাত হলেও বেটি জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে ইন্ধকার ছাড়া কিছুই দেখলেন না।
একটু পরই হিল দম্পতি ছন্দোময় বিপ বিপ বা গুঞ্জনধ্বনি শুনলেন।মনে হচ্ছিল শব্দটা গাড়ির ট্রাঙ্কে বাড়ি খেয়ে ফিরে যাচ্ছিল। গাড়ি একটু কেঁপে উঠল আর তাদের গা বেয়ে শির শির অনুভূতি বয়ে গেল। তারা বলেন, ঐ সময় তাদের চেতনা পরিবর্তিত রূপ ধারণ করল আর তাদের চিন্তাশক্তি নিষ্প্রভ হয়ে গেল। একটু পর আবার কোডের মত বিপ বিপ বা গুঞ্জনধ্বনি তাদের চিন্তাশক্তি সম্পুর্ণরূপে ফিরিয়ে দিল। তারা দেখলেন, ততক্ষণে ৩৫ মাইল (৫৬কি.মি) দক্ষিণে চলে এসেছেন। কিন্তু এই পথটুকু পাড়ি দেবার স্পষ্ট বা পূর্ণাংগ কোন স্মৃতি তাদের মনে নেই।  তাদের হঠাৎ করে অপরিকল্পিতভাবে সামনে রাস্তা বন্ধ ও একটি আগুণের গোলক দেখে বাঁক নেবার কথা মনে আছে।
প্রতিক্রিয়াঃ
ভোরের দিকে বাড়িতে ফিরে তাদের অদ্ভূত চাঞ্চল্যকর অনুভূতি হল যা তাদের ভাষায় বোঝানো যাচ্ছিল না। বার্নে বাইনোকুলারের চামড়ার ফিতা ছেঁড়া দেখতে পেলেন, কিন্তু মনে করতে পারলেন না এটা কখন ও রকম হল। আরো দেখলেন, তার প্রিয় পোশাকের কিনার ব্যাখ্যাতীতভাবে চাঁছা।
গোসল সেরে সতেজ হয়ে দু'জনেই যা দেখলেন তা আঁকার চেষ্টা করলেন। দেখা গেল, দু' জনের আকাঁয় দারুণ মিল। অবাক হয়ে তারা ইউএফও দেখা ও গাড়িতে করে বাড়ি ফিরে আসার মধ্যবর্তী সব ঘটনা মনে করার চেষ্টা করলেন। কিন্তু গুঞ্জনধ্বনিটা শোনার পর থেকে তাদের স্মৃতি অসম্পূর্ণ ও খণ্ডিত হয়ে গেল। তাদের অস্পষ্ট স্মৃতিত চাঁদের মত উজ্জ্বল একটি বস্তুকে রাস্তার উপর বসে থাকতে দেখল। বেটির মতে ঐ মুহূর্তে তার স্বামী আচমকা মোড় নিয়েছিলেন।

কয়েক ঘণ্টা ঘুমিয়ে বেটি ঘটনার সময়ের জুতা ও জামা ক্লজিটে রাখলেন। দেখা গেল কাপড়ের আঁচল ও জিপার ছেঁড়া। ক্লজিট থেকে পরে বের করে দেখলেন যে কাপড়ের ওপর গোলাপি পাউডার লেগে আছে। দড়িতে ঝোলানো হলে গোলাপী পাউডার মিলিয়ে গেল। কিন্তু কাপড়টা চিরতরে নষ্ট হয়ে গেল। পরবর্তীতে পাঁচটি ল্যাবে ঐ কাপড়ের ফরেনসিক টেস্ট চালানো হয়।
গাড়ির পেছনের তোড়ং-এ চকচকে, এককেন্দ্রিক কিছু বৃত্ত দেখা গেল যা আগে ছিল না। বৃত্তগুলোর কাছে কম্পাস নিলে এর কাঁটা জোরে ঘুরতে লাগল, আবার কয়েক ইঞ্চি দূরে সরাতেই কাঁটা স্বাভাবিক হয়ে গেল।
সময়টা কোথায় গেলঃ
১৯৬১ সালের নভেম্বরে আবার নিকাপ তাদের ইন্টারভিউ নিল। একটা প্রশ্ন ছিল তাদের ভ্রমণের সময় নিয়ে। যদিও তাদের বাড়ি ফেরার কথা ৪ ঘণ্টায় সেখানে সময় লেগেছিল ৭ ঘণ্টা। অন্যান্য ইউএফও কেসেও এমন সময় হারানোর ঘটনা ঘটে। একে নাম দেওয়া হয়েছে মিসিং টাইম।
১৯৬২ সালের ফেব্রুয়ারিতে তারা কয়েকবার ঐ রাস্তায় ঘুরতে গেলেন। যেখানে রাস্তার উপর উজ্জ্বল গোলকটি দেখেছিলেন সেটা চিহ্নিত করা গেল না।
নিউ হ্যাম্পাশায়ারে সরকারী ফলক
মিসিং সময়ের ঘটনা জানার জন্যে তাদেরকে সম্মোহিত করার চেষ্টা করা হল। ১৯৬৪ সালে ডক্টর সাইমন আবারো এ রকম একটি চেষ্টা চালালেন। সম্মোহন থেকে কোন তথ্য পাওয়া না গেলেও এর পর বেটি ও বার্নে কিছুটা চিন্তামুক্ত হন।
নোটঃ
*নিকাপের কাজ হচ্ছে ইউএফও বিষয়ক ঘটনা নিয়ে অনুসন্ধান চালানো।
সূত্রঃ
১. উইকিপিডিয়া
২. অ্যাবাউট ডট কম 


Advertisement 02

আব্দুল্যাহ আদিল মাহমুদ

লেখকের পরিচয়

আব্দুল্যাহ আদিল মাহমুদ। প্রভাষক, পরিসংখ্যান বিভাগ, সিলেট ক্যাডেট কলেজ। পড়াশোনা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। প্রকাশিত বই পাঁচটি | সব লেখা | ফেসবুক | পারসোনাল ওয়েবসাইট

জ্যোতির্বিজ্ঞান পরিভাষা: জেনে নিন কোন শব্দের কী মানে

এখানে সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যাসহ জ্যোতির্বিদ্যায় প্রয়োজনীয় পরিভাষাগুলোর তালিকা দেওয়া হলো। সাজানো হয়েছে অক্ষরের ক্রমানুসারে। এই তালিকা নিয়মিত আপডেট...