সূর্যের চেয়ে বহু গুণ ভারী একটি বিশাল নক্ষত্র বা তারকা যখন নিজস্ব অভিকর্ষের চাপে গুটিয়ে গিয়ে সিঙ্গুলারিটি গঠন করে, ফলে আলোও ঐ বস্তু থেকে বেরিয়ে আসতে পারে না, তখন তাকে ব্ল্যাক হোল বা কৃষ্ণগহবর বলে।
অন্তত, এটা আমরা এত দিন তাই মনে করতাম।
এখন, একজন বিজ্ঞানী দাবী করলেন, গণিতের হিসাব অনুযায়ী ব্ল্যক হোলদের বাস্তবে অস্তিত্ত্ব থাকা অসম্ভব। তাঁর মতে, তারকাদের পক্ষে গুটিয়ে গিয়ে সিঙ্গুলারিটি গঠন করা সম্ভব নয়। এই মত, অধ্যাপিকা লরা মারসিনি হাউটনের।
এই মত সত্যি হলে, মহাবিশ্ব সৃষ্টির আগের তত্ত্ব বাতিল হয়ে যাবে।
চ্যাপেল হিলের আর্টস অ্যান্ড সায়েন্টিস্টস কলেজে ইউনিভার্সিটি অব নর্থ ক্যারোলিনার এই অধ্যাপক গবেষণাটি পরিচালনা করেন।
তিনি বলেন, একটি তারকা মারা যাবার সময় (জীবনের সমাপ্তিতে পৌঁছায়) হকিং বিকিরণ নিঃসরণ করে যার পূর্বানুমান করেন ড. স্টিফেন হকিং। ড. মারসিনির মতে, এই সময় তারকাটি বিশাল পরিমাণ ভরও হারায়, আর তার পরিমাণ এতই বেশি যে এর পক্ষে ব্ল্যাক হোলে পরিণত হওয়া অসম্ভব। জীবনের শেষের দিকে তারকাটি ফুলে উঠে ও বিস্ফোরিত হয়।ফলে, কখোনই সিঙ্গুলারিটি তৈরি হওয়া সম্ভব নয়, আর না ঘটনা দিগন্ত (Event Horizon) যেখান থেকে কোন কিছুই, এমনকি আলোও বাইরে আসতে পারে না বলে মনে করা হয়।
তিনি বলেন, "আমি এখনও হতভম্ব হয়ে আছি। গত ৫০ বছর ধরে আমরা সমস্যাটি পর্যালোচনা করছি। আমার মনে হয় এই সমাধান আমাদের অনেক কিছু চিন্তা করার খোরাক যোগাবে।"
ব্ল্যাক হোল আছে কি নেই- এ ব্যাপারে পরীক্ষামূলক প্রমাণ হয়তো এক সময় বাস্তব প্রমাণ পেশ করবে। কিন্তু আপাতত গণিতে কোন ভুল নেই, মত এই অধ্যাপিকার।
আরও বড় ব্যাপার হল, এই গবেষণা বিগ ব্যাং তত্ত্বকেও হুমকির মুখে ফেলতে পারে। অধিকাংশ বিজ্ঞানীর ধারণা, প্রায় ১৪ বিলিয়ন বছর আগে একটি অতি নিবিড়, অতি উষ্ণ ক্ষুদ্র কণিকা থেকে মহাবিশ্বের উৎপত্তি যা উৎপত্তির পর থেকে সম্প্রসারিত হয়ে আসছে।
মহাবিশ্বের দুটি অন্যতম মৌলিক নীতিকে একে অপরের বিপরীতে দাঁড় করিয়ে দেওয়ায় ব্ল্যাক হোলদেরকে খুবই অদ্ভুত মনে করা হয়।
উদাহরণস্বরূপ, আইন্সটাইনের অভিকর্ষ তত্ত্ব ব্ল্যাক হোলের ভবিষ্যদ্বাণী করে, অন্য দিকে কোয়ান্টাম তত্ত্বের কথা হচ্ছে কখোনই মহাবিশ্ব থেকে তথ্য হারিয়ে যেতে পারে না। অথচ ব্ল্যাক হোলের ইভেন্ট হরাইজন বা ঘটনা দিগন্ত সে কাজটিই করে।
এই দুই তত্ত্বের মীমাংসা এখনও হয়নি। ফলে এটা একটি প্যারাডক্সে রূপ নিয়েছে যাকে নাম দেওয়া হয়েছে ব্ল্যাক হোল ইনফরমেশন প্যারাডক্স অর্থাৎ কিভাবে কোন তথ্য বা বস্তু ব্ল্যাক হোলে হারিয়ে যেতে পারে?
অধ্যাপক মারসিনির এই সমাধান হয়তো দুই মৌলিক তত্ত্বকে সন্ধি করিয়ে দেবে।
বছরের শুরুর দিকে প্রফেসর স্টিফেন হকিংও বলেছিলেন, "ব্ল্যাক হোল বলতে কিছু নেই, আছে গ্রে হোল বা ধূসর গহবর"।
সূত্রঃ ডেইলিমেইল
অন্তত, এটা আমরা এত দিন তাই মনে করতাম।
এখন, একজন বিজ্ঞানী দাবী করলেন, গণিতের হিসাব অনুযায়ী ব্ল্যক হোলদের বাস্তবে অস্তিত্ত্ব থাকা অসম্ভব। তাঁর মতে, তারকাদের পক্ষে গুটিয়ে গিয়ে সিঙ্গুলারিটি গঠন করা সম্ভব নয়। এই মত, অধ্যাপিকা লরা মারসিনি হাউটনের।
এই মত সত্যি হলে, মহাবিশ্ব সৃষ্টির আগের তত্ত্ব বাতিল হয়ে যাবে।
চ্যাপেল হিলের আর্টস অ্যান্ড সায়েন্টিস্টস কলেজে ইউনিভার্সিটি অব নর্থ ক্যারোলিনার এই অধ্যাপক গবেষণাটি পরিচালনা করেন।
তিনি বলেন, একটি তারকা মারা যাবার সময় (জীবনের সমাপ্তিতে পৌঁছায়) হকিং বিকিরণ নিঃসরণ করে যার পূর্বানুমান করেন ড. স্টিফেন হকিং। ড. মারসিনির মতে, এই সময় তারকাটি বিশাল পরিমাণ ভরও হারায়, আর তার পরিমাণ এতই বেশি যে এর পক্ষে ব্ল্যাক হোলে পরিণত হওয়া অসম্ভব। জীবনের শেষের দিকে তারকাটি ফুলে উঠে ও বিস্ফোরিত হয়।ফলে, কখোনই সিঙ্গুলারিটি তৈরি হওয়া সম্ভব নয়, আর না ঘটনা দিগন্ত (Event Horizon) যেখান থেকে কোন কিছুই, এমনকি আলোও বাইরে আসতে পারে না বলে মনে করা হয়।
তিনি বলেন, "আমি এখনও হতভম্ব হয়ে আছি। গত ৫০ বছর ধরে আমরা সমস্যাটি পর্যালোচনা করছি। আমার মনে হয় এই সমাধান আমাদের অনেক কিছু চিন্তা করার খোরাক যোগাবে।"
ব্ল্যাক হোল আছে কি নেই- এ ব্যাপারে পরীক্ষামূলক প্রমাণ হয়তো এক সময় বাস্তব প্রমাণ পেশ করবে। কিন্তু আপাতত গণিতে কোন ভুল নেই, মত এই অধ্যাপিকার।
আরও বড় ব্যাপার হল, এই গবেষণা বিগ ব্যাং তত্ত্বকেও হুমকির মুখে ফেলতে পারে। অধিকাংশ বিজ্ঞানীর ধারণা, প্রায় ১৪ বিলিয়ন বছর আগে একটি অতি নিবিড়, অতি উষ্ণ ক্ষুদ্র কণিকা থেকে মহাবিশ্বের উৎপত্তি যা উৎপত্তির পর থেকে সম্প্রসারিত হয়ে আসছে।
মহাবিশ্বের দুটি অন্যতম মৌলিক নীতিকে একে অপরের বিপরীতে দাঁড় করিয়ে দেওয়ায় ব্ল্যাক হোলদেরকে খুবই অদ্ভুত মনে করা হয়।
হকিং বিকিরণ |
উদাহরণস্বরূপ, আইন্সটাইনের অভিকর্ষ তত্ত্ব ব্ল্যাক হোলের ভবিষ্যদ্বাণী করে, অন্য দিকে কোয়ান্টাম তত্ত্বের কথা হচ্ছে কখোনই মহাবিশ্ব থেকে তথ্য হারিয়ে যেতে পারে না। অথচ ব্ল্যাক হোলের ইভেন্ট হরাইজন বা ঘটনা দিগন্ত সে কাজটিই করে।
এই দুই তত্ত্বের মীমাংসা এখনও হয়নি। ফলে এটা একটি প্যারাডক্সে রূপ নিয়েছে যাকে নাম দেওয়া হয়েছে ব্ল্যাক হোল ইনফরমেশন প্যারাডক্স অর্থাৎ কিভাবে কোন তথ্য বা বস্তু ব্ল্যাক হোলে হারিয়ে যেতে পারে?
অধ্যাপক মারসিনির এই সমাধান হয়তো দুই মৌলিক তত্ত্বকে সন্ধি করিয়ে দেবে।
বছরের শুরুর দিকে প্রফেসর স্টিফেন হকিংও বলেছিলেন, "ব্ল্যাক হোল বলতে কিছু নেই, আছে গ্রে হোল বা ধূসর গহবর"।
সূত্রঃ ডেইলিমেইল