Advertisement

মঙ্গলবার, ২ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

এলিয়েনের হাতে হিল দম্পতির অপহরণের কিসসা

আমেরিকার নিউ হ্যাম্পাশায়ার অঙ্গরাজ্যের একটি গ্রাম্য এলাকা। এখানেই বেটি ও বার্নে হিল দম্পতি ১৯৬১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে মুখোমুখি হন ভিনগ্রহবাসী এলিয়েনের।  হিল দম্পতি বাস করতেন নিউ হ্যাম্পাশায়ারের পোস্টমাউথে। বার্নে ( ১৯২২-১৯৬৯) চাকুরী করতেন আমেরিকান ডাক বিভাগে আর বেটি ছিলেন সমাজকর্মী। বার্নে ছিলেন আফ্রিকান বংশোদ্ভূত কৃষ্ণাঙ্গ, অন্য দিকে বেটি ছিলেন ইউরোপিয়ান শ্বেতাঙ্গ।
ঘটনাটিকে নাম দেওয়া হয়েছে হিল অপহরণ ( Hill Abduction)। আসুন দেখি কী ঘটেছিল সে দিন আসলে।
মূল ঘটনাঃ


হিলদের বর্নণা মতে, ঘটনাটি ঘটে ১৯ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে দশটায়। কানাডায় ছুটি কাটিয়ে তারা পোর্টসমাউথে ফিরে যাচ্ছিলেন। নিউ হ্যাপমাশায়ারের সাগরতীর দিয়ে যাবার সময় রাস্তায় গাড়ির সংখ্যা অল্পই ছিল। ল্যাংকাস্টারের ঠিক দক্ষিণে থাকতে বেটি আকাশে একটি উজ্জ্বল বিন্দু দেখতে পেলেন। এটা চাঁদ এবং বৃহস্পতি গ্রহের নিচ থেকে চাঁদের পশ্চিম দিক দিয়ে উপরের দিকে উঠছিলো। বার্নে রুট-৩ এ গাড়ি চালানোর সময় বেটি বললেন যে তিনি একটা উল্কা দেখতে পেয়েছেন। তবে, এটি বিমান বা কৃত্রিম উপগ্রহের মত উপরের দিকে যাচ্ছিল।
এর ক্রমেই উজ্জ্বল থেকে উজ্জ্বলতর হয়ে ওঠা ও অস্বাভাবিক চলাচলের কারণে কৌতুহলী হয়ে ওটাকে আরো কাছ থেকে দেখার জন্য বেটি বার্নেকে থামতে বলেন। টুইন মাউন্টেইনের দক্ষিণে গাড়ি থামানো হল। ভালুক থাকতে পারে ভেবে বার্নে গাড়ির ভেতর থেকে তার পিস্তলটি নিয়ে বের হলেন।
বেটি তার বাইনোকুলার দিয়ে অস্বাভাবিক আকৃতির একটি যান দেখলেন। ওটা থেকে একাধিক রঙের আলোর ঝলক চাঁদের গায়ে ঝিলিক দিচ্ছিল। কয়েক বছর আগে বেটির বোন তাকে ফ্লাইং সসার দেখার কথা বিশ্বাস করিয়ে ছেড়েছিলে। বেটি ভাবলেন, এটাই তাহলে সেটা। কিন্তু  বাইনোকুলারে দেখে বার্নে বললেন এটা মন্ট্রিল থেকে ভার্মন্টগামী বাণিজ্যিক এয়ারলাইনার। মত পাল্টালেন একটু পরই। কারণ, মুহূর্তের মধ্যে ওটা তার দিকে ঘুরে গেল। তিনি বুঝলেন, তিনি যাকে প্লেন ভেবেছেন, তা প্লেন নয়। তাড়াতাড়ি গাড়িতে উঠে তিনি ফ্র্যাংকোনিয়া গিরিপথের সড়কে পড়লেন।
হিউম্যানয়েড

হিল দম্পতি বলেন, তারা গিরিপথের সড়ক ধরে ধীরে ধীরে এগোচ্ছিলেন যাতে বস্তুটাকে ভালোমত দেখা যায় যা আরো কাছ ঘনিয়ে আসছিল। এক সময় বস্তুটা একটা রেস্টুরেন্ট ও ক্যানন মাউনটেইনের সিগনাল টাওয়ার পেরিয়ে গেল। পাহাড় পেরিয়ে এটি 'ওল্ড ম্যান অব দি মাউনটেইন' এর কাছে বের হয়ে এল। উল্লেখ্য 'ওল্ড ম্যান অব দি মাউনটেইন' হল পাহাড়ের কিনারে একটি নকশা যাকে দেখতে মানবমুখের মত লাগে।
বেটির মতে বস্তুটি পাহাড়ের মানবমুখের চেয়ে দেড়গুণ বড় ছিল। মানবমুখটির দৈর্ঘ্য ৪০ ফুট বা ১২ মিটার। বস্তুটা ঘুরপাক খাচ্ছিল। নিরব ও জ্বলজ্বলে যানটি রাতের আকাশে অস্বাভাবিকভাবে উপর-নিচ করছিল। গিরিপথের ৩ নং রুট দিয়ে যাবার সময় ওটা যেন তাদের সাথে ইঁদুর-বিড়াল খেলছিল।
গিরিপথের প্রায় ১ মাইল দক্ষিণে ওটা তাদের দিকে নেমে আসল। বার্নেকে রাস্তার মাঝখানে গাড়ি থামাতে হল।গাড়ির পুরো উইন্ডশিল্ড ঢেকে দিয়ে যানটা তাদের মাথার ৮০ থেকে ১০০ ফুট ওপরে ভেসে থাকল। ওটাকে দেখতে তখন প্যানকেকের মত লাগছিল।
পিস্তল পকেটে নিয়ে বার্নে গাড়ি থেকে বেরিয়ে ওটার আরো কাছে গেলেন। বাইনোকুলার দিয়ে বার্নে আট দশজন মনুষ্য-সদৃশ আকৃতিকে তার দিকে তাকিয়ে থাকতে দেখলেন। একজন ছাড়া সবাই যানটির সামনের অংশকে বেষ্টনকারী হলওয়ের পেছনের দেয়ালের প্যানেলের দিকে সরে গেল। বাকি আকৃতিটি তাকে স্বস্থানে দাঁড়িয়ে থেকে তাকিয়ে থাকার জন্য একটি বার্তা চালান করল।
পরবর্তী অংশ পড়ুন এখানে......
সূত্রঃ
১. http://en.wikipedia.org/wiki/Betty_and_Barney_Hill_abduction
২. http://www.ufocasebook.com/Hill.html
৩. http://ufos.about.com/od/aliensalienabduction/p/hill.htm


Advertisement 02

আব্দুল্যাহ আদিল মাহমুদ

লেখকের পরিচয়

আব্দুল্যাহ আদিল মাহমুদ। প্রভাষক, পরিসংখ্যান বিভাগ, সিলেট ক্যাডেট কলেজ। পড়াশোনা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। প্রকাশিত বই পাঁচটি | সব লেখা | ফেসবুক | পারসোনাল ওয়েবসাইট

জ্যোতির্বিজ্ঞান পরিভাষা: জেনে নিন কোন শব্দের কী মানে

এখানে সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যাসহ জ্যোতির্বিদ্যায় প্রয়োজনীয় পরিভাষাগুলোর তালিকা দেওয়া হলো। সাজানো হয়েছে অক্ষরের ক্রমানুসারে। এই তালিকা নিয়মিত আপডেট...