আমরা পৃথিবীতে বসে সূর্যের যে আলো ও উত্তাপ পাই, তা সূর্যের কেন্দ্রে পরিচালিত ফিউশন বিক্রিয়ার ফলাফল। চলুন, জেনে নেওয়া যাক, কীভাবে ঘটে এই নিউক্লিয়ার বিক্রিয়া।
সূর্য প্রচন্ড গরম। সত্যি অনেক অনেক গরম। এর কেন্দ্রের তাপমাত্রা দেড় কোটি ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে। পৃষ্ঠের তাপমাত্রা সে তুলনায় কম। ৫৫০৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সূর্যের কোরের গভীর অভ্যন্তরে ফিউশন প্রক্রিয়ার ফলশ্রুতিতেই এই প্রচণ্ড তাপ ও আলো উৎপন্ন হয়। সূর্যের কোর এর কেন্দ্র থেকে ২০-২৫ শতাংশ অঞ্চল জুড়ে বিস্তৃত। কোরের ভেতরের চাপ পৃথিবী পৃষ্টের চাপের প্রায় ১০ লক্ষ গুণেরও বেশি। অন্য দিকে তাপমাত্রা প্রায় দেড় কোটি কেলভিনের ওপরে। এরকম একটি পরিবেশেই ফিউশন বিক্রিয়াটি ঘটে।
আরো পড়ুনঃ
সূর্যের তাপমাত্রা কত?
এখানে প্রতি সেকেন্ডে প্রায় ৬০ কোটি টন হাইড্রোজেন রূপান্তরিত হয়ে হিলিয়ামে পরিণত হচ্ছে। সেই সাথে তৈরী হচ্ছে বিপুল পরিমাণ তাপ ও শক্তি। সূর্যের ফিউশন বিক্রিয়া প্রোটন-প্রোটন (P-P) চেইন নামে পরিচিত। এই বিক্রিয়া প্রোটনের (H+) মাধ্যেমে শুরু হয় এবং পর্যায়ক্রমিক বিক্রিয়ার মাধ্যেমে হিলিয়ামে পরিণত হয়।
ফিউশন বিক্রিয়ার পর্যায় তিনটি ::১. দুই জোড়া প্রোটন একীভূত হয়ে একজোড়া ডিউটেরন তৈরী করে।
২. প্রত্যেক ডিউটেরন অপর একটি প্রোটনের সাথে একীভূত হয়ে হিলিয়াম-৩ তৈরী করে।
৩. দুটি হিলিয়াম-৩ এর নিউক্লিয়াস একত্রিত হয়ে অস্থায়ী মৌল বেরিলিয়াম-৬ তৈরী করে, যা পরবর্তিতে ভেঙে গিয়ে দুটি প্রোটন ও একটি হিলিয়াম-৪ তৈরী করে।
উপরিউক্ত প্রক্রিয়ার মাধ্যেমে ফিউশন বিক্রিয়ায় প্রচুর তাপ ও আলোর প্রবাহ উৎপন্ন হয়।
আরও পড়ুনঃ
ল্যাপটপ চলে সূর্যের আলোয়!
সূত্রঃ
এখানে প্রতি সেকেন্ডে প্রায় ৬০ কোটি টন হাইড্রোজেন রূপান্তরিত হয়ে হিলিয়ামে পরিণত হচ্ছে। সেই সাথে তৈরী হচ্ছে বিপুল পরিমাণ তাপ ও শক্তি। সূর্যের ফিউশন বিক্রিয়া প্রোটন-প্রোটন (P-P) চেইন নামে পরিচিত। এই বিক্রিয়া প্রোটনের (H+) মাধ্যেমে শুরু হয় এবং পর্যায়ক্রমিক বিক্রিয়ার মাধ্যেমে হিলিয়ামে পরিণত হয়।
ফিউশন বিক্রিয়ার পর্যায় তিনটি ::১. দুই জোড়া প্রোটন একীভূত হয়ে একজোড়া ডিউটেরন তৈরী করে।
২. প্রত্যেক ডিউটেরন অপর একটি প্রোটনের সাথে একীভূত হয়ে হিলিয়াম-৩ তৈরী করে।
৩. দুটি হিলিয়াম-৩ এর নিউক্লিয়াস একত্রিত হয়ে অস্থায়ী মৌল বেরিলিয়াম-৬ তৈরী করে, যা পরবর্তিতে ভেঙে গিয়ে দুটি প্রোটন ও একটি হিলিয়াম-৪ তৈরী করে।
৪. এই বিক্রিয়ায় একই সাথে দুটি নিউট্রিনো, দুটি পজিট্রন এবং গামা রশ্মি নির্গত হয়।
![]() |
সূর্যের কেন্দ্রে ফিউশন প্রক্রিয়া |
আরও পড়ুনঃ
ল্যাপটপ চলে সূর্যের আলোয়!
সূত্রঃ