Advertisement

শুক্রবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৩

আমরা জানি, শনি গ্রহের বলয় আছে। তা ঠিক আছে। তবে বলয় আছে অন্য গ্রহেরও। সব মিলিয়ে সৌরজগতের চারটি গ্রহের বলয় আছে। এরা হলো চার বিশাল গ্রহ বৃহস্পতি, শনি, ইউরেনাস ও নেপচুন। বলয় শুধু একটাই নয়। আছে অনেকগুলো৷

শনির বলয় থাকার কথা বহু আগে থেকেই জানা। বলয় সবচেয়ে বিশালও এই গ্রহটির। তবে অন্য গ্রহদের বলয় খুঁজে পাওয়া যেতে থাকে ১৯৭০ এর দশক থেকে। বৃহস্পতি, ইউরেনাস ও নেপচুনের বলয় অনেক হালকা, অন্ধকার ও ছোট।


বৃহস্পতি গ্রহের বলয়। ছবিসূত্র: স্পেস ডট কম 

বৃহস্পতির বলয় আবিষ্কৃত হয় ১৯৭৯ সালে। ভয়েজার ১ মহাকাশযান এর কাছ দিয়ে উড়ে যাওয়ার সময় ব্যাপারটা জানা যায়। নব্বইয়ের দশকে গ্যালিলিও অরবিটার আরও বিস্তারিত অনুসন্ধান চালায়। বলয়ের প্রধান উপাদান ধূলিকণা। হাবল স্পেস টেলিস্কোপ ও পৃথিবীর শক্তিশালী টেলিস্কোপে এ বলয় দেখা যায়।

শনির বলয় ১৬১০ সালেই গ্যালিলিও দেখতে পান। তবে শক্তিশালী টেলিস্কোপের অভাবে বলয় সম্পর্কে ধারণা নিতে পারেননি। ১৬৬৫ সালে ডাচ বিজ্ঞানী ক্রিশ্চিয়ান হাইগেন্স প্রথম জানান, জিনিসটা আসলে চাকতির মতো বলয়। ঊনবিংশ শতকের শেষ দিকে জানা যায়, বলয় আসলে ছোট ছোট অনেক অংশ নিয়ে গঠিত। সব মিলিয়ে বলয় আছে ১২টি।

ইউরেনাসের বলয় একটু নতুন। গ্রহটির আগের চাঁদদের সংঘর্ষের ফলে তৈরি হয়েছে বলয়গুলো। ১৯৭৭ সালে আবিষ্কৃত নয়টি বলয়। পরবর্তীতে ভয়েজার ২ মহাকাশযান ২টি বলয় আবিষ্কার করে। আরও ২টি খুঁজে পায় হাবল স্পেস টেলিস্কোপ। এ পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য মতে সব মিলিয়ে বলয় আছে অন্তত ১৩টি। উইলিয়াম হার্শেল ১৭৮৯ সালে এ বলয় দেখার কথা বলেছিলেন। তবে আসলেই দেখতে পেরেছিলেন সেটা নিয়ে মতভেদ আছে। কারণ বলয়গুলো খুব হালকা।


নেপচুনের বলয় আবিষ্কৃত হয় ১৯৮৯ সালে। ভয়েজার ২ যান কাছ দিয়ে উড়ে যাবার সময়। বলয় পাওয়া গেছে ৬টি। সবগুলোই হালকা। নেপচুনের চারটি চাঁদই বলয়ের ভেতর দিয়ে প্রদক্ষিণ করে।

☛ ভয়েজার মহাকাশযানের দুর্দান্ত অভিযাত্রা (লেখা আসছে...)
☛ সব্বচেয়ে দূরের মহাকাশযান (লেখা আসছে...)

শুধু গ্রহের নয়, বলয় আছে উপগ্রহেরও। ২০০৮ সালের এক রিপোর্টে শনির চাঁদ রিয়ায় বলয়ের অস্তিত্ব সম্পর্কে জানা যায়। আর কোনো উপগ্রহের বলয় থাকার কথা জানা যায়নি। বামন গ্রহ প্লুটোর বলয়ের কথা একবার প্রস্তাব করা হলেও নিউ হরাইজনস অভিযানের চিত্র সে সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছে। ২০১৭ সালে দেখা যায়, বামন গ্রহ হাউমেয়াও বলয়ের মালিক৷

বহির্গ্রহেদের অনেকের ক্ষেত্রেই বলয় থাকার কথা প্রস্তাব করা হয়েছে। অনেকক্ষেত্রেই সে প্রস্তাব বাতিল হয়েছে বিভিন্ন কারণে। তবে একটি বহির্গ্রহ এ রেকর্ড ধরে রেখেছে। নাম এইচআইপি ৭১৩৭৮ এফ।


সূত্র: ক্যালটেক, ইউনিভার্স টুডে

Category: articles
গত শতকে আমরা জানতে পারি, মহাবিশ্বের একটি নির্দিষ্ট অতীত আছে। তার আগে স্থির অবস্থা তত্ত্ব জনপ্রিয় ছিল। ধারণা করা হত, মহাবিশ্ব অনন্তকাল ধরে উপস্থিত আছে। বয়স অনন্ত হলে ভবিষ্যৎ পরিণতি নিয়ে প্রশ্ন আসে না। কিন্তু কবির কথা, “জন্মিলে মরিতে হবে।“ তাই ভবিষ্যতে কী হবে সেটা বড় এক প্রশ্ন। 


১৯২০ সাল থেকে ১৯৫০। এই বিশ বছর ধরে বিজ্ঞানী এডউইন হাবলের পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে পরিষ্কার বোঝা গেল, ছায়াপথরা একে অপর থেকে দূরে সরছে। এ থেকেই তৈরি হয় বিগ ব্যাং তত্ত্ব। ১৯২৭ সালে জর্জ লেমেইত্র বলেন, প্রসারণশীল মহাবিশ্ব থেকে বলা যায়, অতীতে মহাবিশ্ব ছিল নিবিড় এক বিন্দুর মতো। এর আগে আইনস্টাইনের সার্বিক আপেক্ষিক তত্ত্বের সমাধান করে আলেকজান্ডার ফ্রিডম্যানও একই কথা বলেছিলেন। আইনস্টাইনের সমীকরণের একটি সমাধান অনুসারে দেখা যায়, একটি প্রাথমিক সিংগুলারিটি থেকে জন্ম মহাবিশ্বের। ১৯৬৪ সালে আবিষ্কৃত হয় মহাজাগতিক পটভূমি বিকিরণ। বিগ ব্যাংয়ের পক্ষে একটি বড় প্রমাণ এটি। 

১৯৯৮ সাল থেকে শুরু করে বিভিন্ন পর্যবেক্ষণ থেকে দেখা যায়, মহাবিশ্বের প্রসারণের গতি ক্রমেই বাড়ছে। এর জন্য দায়ী শক্তিকে নাম দেওয়া হয় ডার্ক এনার্জি। আইনস্টাইনের সমীকরণ বলছিল, মহাবিশ্ব প্রসারিত হচ্ছে। কিন্তু আইনস্টাইন নিজেই সেটা বিশ্বাস করতেন না। সমীকরণ অসম্পূর্ণ মনে করে তিনি তাই বাড়তি একটি ধ্রুবক যোগ করেছিলেন। পরে স্বীকার করেন, এটা তার জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল। কিন্তু এখন আবার মনে হচ্ছে এই ধ্রুবক দরকার আছে। এই ধ্রুবক আসলে ডার্ক এনার্জির বিপরীতে কাজ করে। 

ভবিষ্যতে মহাবিশ্বের ভাগ্যে মোটা দাগে বললে তিনটি ঘটনা ঘটতে পারে। হয় এটি চিরকাল প্রসারিত হতে থাকবে। মহাকর্ষ প্রসারণের গতি কমানোর চেষ্টা করবে। তবে ডার্ক এনার্জির কারণে প্রসারণের গতি ক্রমেই বাড়বে। আরেকটি হতে পারে, মহাবিশ্বের প্রসারণ এক সময় থেমে যাবে। শুরু হবে সঙ্কোচন। আরেকটি সম্ভাবনা হলো, প্রসারণ চলতে থাকবে। তবে প্রসারণের গতি ক্রমশ কমতে থাকবে। কিন্তু একেবারে বন্ধ হয়ে যাবে না। 

ভবিষ্যতে মহাবিশ্বের ভাগ্যে কী ঘটবে তার বড় একটি প্রভাবক হলো মহাবিশ্বের ঘনত্ব পরামিতি (density parameter)। একে গ্রিক বর্ণ ওমেগা (Ω) দিয়ে প্রকাশ করা হয়। এর মান পেতে মহাবিশ্বের বস্তুর গড় ঘনত্বকে ঘনত্বের একটি ক্রান্তি মান দ্বারা ভাগ করা হয়। ঘনত্বের যে মান খুব অল্পের জন্য মহাবিশ্বের প্রসারণকে থামাতে বন্ধ হবে তার নাম ক্রান্তি (critical) ঘনত্ব। 

মহাবিশ্বের ভবিষ্যতের সাথে এর আকৃতিরও সম্পর্ক আছে। ওমেগার মান ১-এর বেশি হলে মহাবিশ্বের আকৃতি হবে আবদ্ধ গোলকের পৃষ্ঠের মতো। কারণ এক্ষেত্রে মহাবিশ্বের ঘনত্ব ক্রান্তি ঘনত্বের চেয়ে বেশি। পৃথিবীর পৃষ্ঠের মতো এমন মহাবিশ্বের ত্রিভুজের তিন কোণের যোগফল ১৮০ ডিগ্রির বেশি হবে। তবে বড় মাপকাঠিতে মহাবিশ্বের আকৃতি হবে উপবৃত্তের মতো। মহাকর্ষের প্রভাবে এক সময় প্রসারণ থেমে যাবে। শেষ পর্যন্ত ঘটবে বিগ ক্রাঞ্চ (Big Crunch) বা মহাসঙ্কোচন। বিন্দু থেকে আসা মহাবিশ্ব বিন্দুতে গিয়েই আবার মিশে যাবে। 

তবে কিছু কিছু আধুনিক তত্ত্ব বলছে, ওমেগার মান ১-এর বেশি হলেও ডার্ক এনার্জির প্রভাবে মহাবিশ্ব প্রসারিত হতেই থাকবে। এ কারণে মহাসঙ্কোচন ঘটার সম্ভাবনা এখন পর্যন্ত অর্জিত জ্ঞান অনুসারে কম। তবে ঘটবেই না সেটা বলার জো নেই। 

ওমেগার মান ১-এর কম হলে মহাবিশ্ব হবে উন্মুক্ত। ত্রিভুজের তিন কোণের যোগফল ১৮০ ডিগ্রির কম হবে। মহাকর্ষ প্রসারণকে কিছুটা কমাবে। কিন্তু ডার্ক এনার্জির প্রভাবে সে বাধা উপেক্ষা করে প্রসারণের গতি বরং আরও বেড়ে যেতে থাকবে। এভাবে চলতে থাকলে একসময় মহাকর্ষ, তড়িচ্চুমকত্ব ও সবল নিউক্লীয় বলের বাঁধন ছিঁড়ে যাবে। এ অবস্থাকে বলা হয় বিগ রিপ (Big Rip) বা মহাভাঙন। 

মহাবিশ্বের সম্ভাব্য আকৃতি

একই রকম পরিস্থিতিতে আরেকটি সম্ভাব্য পরিণতির নাম বিগ ফ্রিজ (Big Freeze) বা মহাহিমায়ন। এ অবস্থায় সর্বত্র বিরাজ করবে হিমশীতল অবস্থা। হবে না কোনোরকম তাপ বিনিময়। থেমে যাব বস্তুকণার চলাচল। এ কারণে এর অপর নাম তাপীর মৃত্যু। এটা ঘটে গেলে বস্তুর মধ্যে আর কোনো প্রকার তাপ বিনিময় সম্ভব হবে না। সব যন্ত্র অচল হয়ে যাবে। এনট্রপি (শক্তি রূপান্তরের অক্ষমতা) হবে সর্বোচ্চ। 

তবে মহাবিশ্বের ঘনত্ব ক্রান্তি ঘনত্বের সমানও হয়ে যেতে পারে। সত্যি বলতে, বর্তমান পর্যবেক্ষণ এর পক্ষেই কথা বলছে। এমন মহাবিশ্বেই ত্রিভুজের তিন কোণের যোগফল ১৮০ ডিগ্রি হয়। এক্ষেত্রে মহাবিশ্ব হবে সমতল। পর্যবেক্ষণ বলছে, মহাবিশ্ব এমনই। এই ফলাফলের ত্রুটির মাত্রা মাত্র ০.৪%। এই মহাবিশ্বও চিরকাল প্রসারিত হবে, তবে প্রসারণের হার ক্রমশ কমবে। তবে কখনোই একেবারে থেমে যাবে না। কিন্তু ডার্ক এনার্জি ভূমিকা রাখলে প্রসারণ শুরুতে থামলেও আবার বেড়ে যাবে। পরিণতি হবে সেই উন্মুক্ত মহাবিশ্বের মতোই। 

আরও কিছু কমসম্ভাব্য ঘটনা ঘটতে পারে মহজাবিশ্বের ভাগ্যে। এর একটি হলো বিগ বাউন্স। এটা আসলে মহাবিশ্ব সম্পর্কে চক্রাকার মডেলের একটি অংশ। এটি অনুসারে, মহাবিশ্ব শুরু হয়েছিল সঙ্কুচিত অবস্থা থেকে। আর সেই সঙ্কুচিত অবস্থাটা এসেছিল তার পূর্ববর্তী একটি প্রসারণ থেমে গিয়ে গুটিয়ে যাওয়ার মাধ্যমে। এভাবেই মহাবিশ্ব একের পর সঙ্কুচিত ও প্রসারিত হচ্ছে। একের পর ঘটছে বিগ ব্যাং ও বিগ ক্রাঞ্চ। এ জন্যেই এই মডেলের নাম চক্রাকার মডেল। 

বিজ্ঞানীরা বলছেন আরও একটি সম্ভাবনার কথা। এর নাম বিগ স্লার্প (Big Slurp)। স্লার্প অর্থ গ্রাস করা বা গ্রাস করার সময় সৃষ্ট শব্দ। এ তত্ত্ব অনুসারে মহাবিশ্ব এখন নকল ভ্যাকুয়াম অবস্থায় আছে। যেকোনো সময় চলে যেতে পারে প্রকৃত ভ্যাকুয়ামে। 

প্রকৃতির যেকোনো ভৌত প্রক্রিয়া সবসময় সর্বিনিম্নের শক্তির অবস্থানে থাকতে চায়। আর মহাবিশ্ব সর্বনিম্ন শক্তির অবস্থায় থাকলেই কেবল প্রকৃত ভ্যাকুয়ামে থাকবে। এখন সেটা নাও হতে পারে। হয়ত মহাবিশ্ব এখন উচ্চতর শক্তির অবস্থানে আছে। তার মানে আছে নকল ভ্যাকুয়াম অবস্থায়। সেক্ষেত্রে যেকোনো সময় এটি আসল ভ্যাকুয়ামে চলে যাবে। তার সাথে সাথে আমূল পাল্টে যাবে আমাদের চিরচেনা মহাবিশ্ব। 

ভৌত ধ্রুবকদের মান বদলে যেতে পারে। পাল্টে যেতে পারে আলোর বেগের মান কিংবা অ্যাভোগেড্রো ধ্রুবক। ফলে স্থান, কাল, বস্তু ও শক্তির ধারণা একদম বদলে যেতে পারে। হয়ত আগাম কোনো সঙ্কেত না দিয়েই ধ্বংস হয়ে যাবে মহাবিশ্ব। 

লেখাটি লেখকের অনূদিত দ্য লাস্ট থ্রি মিনিটস বইয়ের পরিশিষ্ট অংশে প্রকাশিত হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে এগারশ ও তৃতীয় অধ্যায়ে। 
Category: articles

বৃহস্পতিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৩

সৌরজগতের পাঁচ বামন গ্রহের একটি মাকিমাকি। প্লুটো, এরিস, হাউমেয়ার মতো এর অবস্থানও কাইপার বেল্ট অঞ্চলে। এলাকাটা নেপচুনের কক্ষপথের বাইরে। বরফ দিয়ে গড়া।


বামন গ্রহ মাকিমাকি। ছবিসূত্র: ইউনিভার্স টুডে 

মাকিমাকি সূর্যকে পুরো একবার ঘুরে আসতে ৩০৫ দিন সময় লাগে। আকারে প্লুটোর চেয়ে ছোট। পৃথিবী থেকে দেখতে কাইপার বেল্টের দ্বিতীয় উজ্জ্বল বস্তু মাকিমাকি। সবচেয়ে উজ্জ্বল কে জানেন? প্লুটো ছাড়া আর কেউ না। আকারের দিক থেকেও এটি কাইপার বেল্টের দ্বিতীয় বৃহত্তম।

উজ্জ্বলতার পরিমাপ
☛ একদিন কত বড়? (লেখা আসছে...)

জ্যোতির্বিদ্যার ইতিহাসে মাকিমাকি গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছে। একই রকম গুরুত্ব আছে আরেক বামন গ্রহ এরিসের। এই দুই বস্তু আবিষ্কারের ফলেই আন্তর্জাতিক জ্যোতির্বিজ্ঞান সমিতি গ্রহের সংজ্ঞা পাল্টানোর ব্যাপারে ভাবতে থাকে। তৈরি হয় বামন গ্রহ নামে নতুন এক ধারণা।

প্লুটো যেভাবে গ্রহত্ব হারাল

মাকিমাকি প্রথম জ্যোতির্বিদদের চোখে ধরা পড়ে ২০০৫ সালে। পালোমার মানমন্দিরের তিন বিজ্ঞানী মাইকেল ব্রাউন, চ্যাড ট্রুজিলো ও ডেভিড র‍্যাবিনোউইটয একে দেখেন। ২০১৬ সালে নাসার হাবল স্পেস টেলিস্কোপ বামন গ্রহটির একটি চাঁদ খুঁজে পায়। এখনও অবশ্য স্বীকৃতি পায়নি চাঁদটি।

মাকিমাকির ব্যাসার্ধ ৭১৫ কিলোমিটার। পৃথিবীর নয় ভাগের এক ভাগ। সূর্য থেকে দূরত্ব ৪৫.৭ এইউ। সূর্য থেকে আলো পৌঁছতে সময় লাগে ৬ ঘণ্টা ২০ মিনিট। সূর্য থেকে অনেক দূরত্বের কারণে বস্তুটির পৃষ্ঠ অনেক শীতল। ফলে এতে জীবনের অস্তিত্ব থাকার কথা নয়।

পৃথিবী থেকে সূর্যের দূরত্ব কত?
পৃথিবীতে সূর্যের আলো পৌঁছতে কত সময় লাগে? (লেখা আসছে...)

এর গঠন সম্পর্কে তেমন কিছু জানা নেই। নেই শনি, ইউরেনাসদের মতো বলয়। কাইপার বেল্টে এর আশেপাশে প্রচুর বরফের বস্তু আছে। এরা তৈরি হয়েছিল সৌরজগতের একেবারে শুরুর যুগে। আজ থেকে প্রায় ৪৫০ কোটি বছর আগে। এদেকে কাইপার বেল্ট্ব্র বস্তু, ট্রান্সনেপচুনিয়ান বা প্লুটোয়েড বলে ডাকা হয়।


বস্তুটার পৃষ্ঠ ঠিক কেমন তা এতদূর থেকে বোঝা যায় না। তবে যতটুকু বোঝা যায় তাতে প্লুটোর লাল-বাদামী মনে হয়। পৃষ্ঠে মিথেন ও ইথেনের অস্তিত্ব মিলেছে। খুব হালকা বায়ুমন্ডল আছে। এতে মূলত আছে নাইট্রোজেন।

সূত্র: নাস সোলার সিস্টেম পোর্টাল 
Category: articles

বুধবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৩

আজ ১৯ এপ্রিল। ১৯৭১ সালের এই দিনে মহাকাশে প্রেরণ করা হয় সালিউট ১। এটি পৃথিবীর কক্ষপথে প্রেরিত প্রথম মহাকাশ স্টেশন। রাশিয়ার সালিউট প্রোগ্রামের শেষ মডিউলটিই আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের রুশ অংশের প্রধান অঙ্গ হয়। 

সালিউট ১ স্পেস স্টেশন। সূত্র: নাসা 

মহাশূন্যে প্রথম অ্যামেরিকান স্টেশন

স্টেশনে মানুষ পাঠানোর অংশ হিসেবে সয়ুজ ১০ যানে ৩ জন নভোচারী পাঠানো হয়। তবে সে যাত্রা সফল হয়নি। পরবর্তীতে সয়ুজ ১১ যানে অন্য ৩ জন নভোচারী সালিউটে পৌঁছেন। ২৩ দিন অবস্থান করে চালান নানান বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা।


তবে ৩ নভোচারী পৃথিবীতে ফেরার পথে শ্বাসকষ্টে মারা যান। পৃথিবীর কারমান রেখা উপরে এটাই মৃত্যুর একমাত্র ঘটনা। কারমান রেখা পৃথিবীর ১০০ কিলোমিটার উপরে। এটাকে পৃথিবী ও মহাশূন্যের একটি সীমানা হিসেবে ধরা হয়। 


☛ পৃথিবী ও মহাশূন্যের একটি সীমানা কোথায়?


১৯৭১ সালের জুলাই-আগস্ট মাসে স্টেশনটিকে আরও উপরের কক্ষপথে পাঠানো হয়। উদ্দেশ্য নির্দিষ্ট সময়ের আগেই যেন কক্ষপথ থেকে নেমে গিয়ে ধ্বংস না হয়। অন্যদিকে চলছিল সয়ুজ পুননির্মাণ। তবে তা হতে হতে সালিউটের জ্বালানি ফুরিয়ে যায়। ১১ অক্টোবর তারিখে এ অভিযান শেষ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ১৭৫ দিন মহাকাশে থেকে সালিউট ১ প্রশান মহাসাগরের উপরে জ্বলে যায়। 


অরায়ন ১ মহাকাশ মানমন্দির স্থাপন করা ছিল এ স্টেশনে। এখান থেকে সংগ্রহ করা হয় নক্ষত্রের অতিবেগুনী বর্ণালী। ভিক্টর পাতসায়েব ছিলেন টেলিস্কোপটির অপারেটির। এএ মধ্য দিয়ে তিনি পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের বাইরে টেলিস্কোপ চালানো প্রথম মানুষ হবার গৌরব অর্জন করেন৷

Category: articles

মঙ্গলবার, ১১ এপ্রিল, ২০২৩

আজ ১১ এপ্রিল। ১৮৬২ সালের এই দিনে জন্মগ্রহণ করেন অ্যামেরিকান জ্যোতির্বিদ উইলিয়াম ওয়ালেচ ক্যাম্পবেল। 

১৯০১ থেকে ১৯৩০ সাল পর্যন্ত তিনি লিক অবজারভেটরির পরিচালক ছিলেন। জ্যোতির্বিদ্যায় বর্ণালীবীক্ষণে অসামন্য অবদানের জন্য স্মরণ করা হয় তাঁকে। 




জন্ম ওহাইও অঙ্গরাজ্যে। ১৮৮৬ সালে মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি সম্পন্ন করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকা অবস্থায়ই জ্যোতির্বিদ্যায় আগ্রহী হয়ে ওঠেন৷ এতে মূলত অবদান সাইমন নিউকমের বই পপুলার অ্যাস্ট্রোনমি। 

পড়াশোনা শেষ করে কলোরাডো বিশ্ববিদ্যালয়ে গণিতের অধ্যাপনা শুরু করেন। তবে কিছুদিন বাদেই ফিরে আসেন নিজের বিশ্ববিদ্যালয়ে। পড়ানো শুরু করেন জ্যোতির্বিদ্যা। 

১৮৯১ সাল। তাঁকে ক্যালিফোর্নিয়ায় আমন্ত্রণ জানানো হয় লিক অবজারভেটরিতে। বর্ণালীবীক্ষণ নিয়ে কাজের জন্য। এখানে এসেই তিনি স্মরণীয় হয়ে ওঠার মতো কাজ শুরু করেন। 


নক্ষত্রের রেডিয়াল বা অরীয় (radial) বেগ বের করা শুরু করেন। অরীয় বেগ মূলত বহির্গ্রহ খুঁজে পাওয়ার একটি পদ্ধতি। পাশাপাশি তুলতে থাকেন সূর্যগ্রহণের ছবি। ১৮৯৩ সালে আবিষ্কার করেন এইচডি ১৮৪৭৩৮ নক্ষত্র। অপর নাম ক্যাম্পবেলের হাইড্রোজেন এনভেলপ স্টার। এটি একটি উলফ রায়েট ধরনের তারা। 

১৯১৪ সালে ক্যাম্পবেল ও জার্মান জ্যোতির্বিদ ফ্রেন্ডলিখ রাশিয়া যান সূর্যগ্রহণের ছবি তুলতে। ফ্রেন্ডলিখ ছিলেন বার্লিন অবজারভেটরির পর্যবেক্ষক। দুজনের উদ্দেশ্য ছিল আইনস্টাইনের আপেক্ষিকতা তত্ত্ব পরীক্ষা করা। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলে তাঁদের যন্ত্রপাতি রুশ সেনারা কব্জা করে। সেসময় যুক্তরাষ্ট্র নিরপেক্ষ দেশ হওয়ায় ক্যাম্পবেল কাজ চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি পান। তবে আকাশে মেঘ থাকায় ছবি তোলা সম্ভব হয়নি।

১৯১৮ সালে আবার চেষ্টা চালান। তবে চার বছর আগে রাশিয়ায় ভাল যন্ত্রপাতি রেখে আসতে হয়েছিল। লিক অবজারভেটরিতে থাকা যন্ত্রপাতি দিয়েই কাজ চালিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। তবে আইনস্টাইনের পূর্বাভাস অনুসারে আলোর বাঁকের পরিমাপ এখানকার ক্যামেরা দিয়ে মাপ সম্ভব ছিল না। 

এই কাজটাই আর্থার এডিংটন করেন পরের বছর। ১৯১৯ সালে। তবে কিছু কারণে তত্ত্বের পূর্ণাঙ্গ স্বীকৃতি তখনো মেলেনি। চূড়ান্ত ও অকাট্য স্বীকৃতি মেলে ক্যাম্পবেলের ১৯২২ সালের পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে। লিক অবজারভেটরির পক্ষ থেকে অস্ট্রেলিয়ায় সূর্যগ্রহণের ছবি থেকে পাওয়া যায় এ নিশ্চয়তা। 

মহান এ বিজ্ঞানীর জীবনাবসান হয় করুণভাবে। তিনি চারতলা থেকে লাফিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করেন। বয়স হয়েছিল ৭৬। অন্ধত্ব ও বাকশক্তি লোপ পাওয়ার হতাশা থেকে এ সিদ্ধান্ত নেন তিনি। 

জীবনে অনেক পুরস্কার ও সম্মাননা পেয়েছিলেন। এর মধ্যে আছে ফ্রেঞ্চ অ্যাকাডেমি অব সায়েন্সের লাঁলা পদক। পেয়েছেন রয়েল অ্যাস্ট্রোনমিকেল সোসাইটির স্বর্ণ পদক। চাঁদ ও মঙ্গলের দুটি খাতের নামের সাথে জড়িয়ে আছে তাঁর নাম। গ্রহাণু ২৭৫১ ক্যাম্পবেল তাঁর নাম ধারণ করে আছে।
Category: articles

সোমবার, ১০ এপ্রিল, ২০২৩

মহাকর্ষের পাল্লা অসীম। মানে আপনি একটি ভারী বস্তু থেকে যত দূরেই যান, এর আকর্ষণ আপনাকে টানবেই। তবে দূরত্বের সাথে সাথে আকর্ষণ কমে আসবে। দূরত্ব দ্বিগুণ হলে আকর্ষণ হবে চার ভাগের এক ভাগ। তিন গুণ হলে হবে নয় ভাগের এক ভাগ। 





আকর্ষণ কমতে কমতে তাই একটা জায়গায় হয়ে পড়ে দুর্বল ও নগণ্য। পৃথিবী থেকেও উপরে যেতে থাকলে ঘটবে এমনটা। এমনি এক কাল্পনিক রেখার নাম কারমান লাইন। অবস্থান সমুদ্র স্তর থেকে ১০০ কিলোমিটার। সাধারণ বিমানের সাহায্যে এ রেখার ধারেকাছেও যাওয়া অসম্ভব। 


কারমান রেখা অতিক্রমের সময় কিন্তু কোনো শারীরিক বা ভৌত পরিবর্তন অনুভূত হয় না। রেখাটার অস্তিত্ব প্রয়োজন নানান আইনী কারণে। আকাশযানের নীতিমালা এ রেখায় গিয়ে বদলে যায়।


কারমান রেখার সংজ্ঞায়ন করেছে ওয়ার্ল্ড এয়ার স্পোর্টস ফেডারেশন (এফএআই)। সুইশ প্রতিষ্ঠানটি এয়ার স্পোর্টস ও মামুষের উড্ডয়ন বিষয়ক ব্যাপারগুলো সংজ্ঞায়ন করে৷ মহাশূন্যের সীমানা নিয়ে বিভিন্ন দেশ ও প্রতিষ্ঠান ভিন্ন ভিন্ন সংজ্ঞা দিয়েছে। তবে এফএআইএর সংজ্ঞাই বহুল স্বীকৃত। মেনে নিয়েছে জাতিসংঘও। অবশ্য নাসা ও অ্যামেরিকান মিলিটারি ৫০ মাইলকে (৮০ কিলোমিটার) মহাশূন্যের শুরু হিসবে ধরে নেয়। 


সূত্র 

১। https://www.space.com/karman-line-where-does-space-begin

Category: articles

শনিবার, ৮ এপ্রিল, ২০২৩

অবজারভেটরি ইংরেজি শব্দ। বাংলা করা হয় মানমন্দির। তবে এ থেকে এর সঠিক অর্থ বোঝা কঠিন। আরেকটি বাংলা হলো পর্যবেক্ষণকেন্দ্র। এটা শুনেই আইডিয়া পাওয়া যাচ্ছে। আসলেই তাই। অবজারভেটরি মানে হলো এমন জায়গা যেখান থেকে পর্যবেক্ষণ করা হয়। 


প্যারানাল মানমন্দির, চিলি। সূত্র: উইকিপিডিয়া 

অবজারভেটরি মূলত জ্যোতির্বিদ্যায় কাজে লাগে। তবে সমুদ্র, আগ্নেয়গিরি ও আবহাওবিদ্যায়ও আছে ব্যবহার। 

অবস্থানের ভিত্তিতে জ্যোতির্বিদ্যায় অবজারভেটরি আছে চার ধরনের। এগুলো থাকে মহাকাশে, বায়ুমন্ডলে, ভূমিতে বা ভূগর্ভে। ভূমির ভাল অবজারভেটরিগুলো সাধারণত পাহাড়ের উপর স্থাপন করা হয়। এতে করে পরিষ্কার আকাশ ও বায়ু পাওয়া যায়। এছাড়াও অবস্থান হতে হয় শহর থেকে দূরে। যাতে আলোকদুষণ ক্ষতি করতে না পারে।


ইংল্যান্ডের রয়েল গ্রিনউইচ অবজারভেটরি আধুনিক সময়ের অন্যতম প্রথম মানমন্দির। এখানেই পৃথিবীর দ্রাঘিমা শূন্য ধরা হয়। এ দ্রাঘিমা শূন্য হিসেবে বাংলাদেশের অবস্থান ৮৮ ডিগ্রি থেকে ৯২ ডিগ্রি। আতাকামা লার্জ মিলিমিটার অ্যারে একটি বিশাল টেলিস্কোপ। মহাবিশ্বের শীতল জিনিসগুলো এখান থেকে দেখা হয়। পুয়ের্তো রিকোয় আছে অ্যারেসিবো মানমন্দির। পৃথিবীর বাইরে প্রাণের সন্ধানের জন্য এটি বিখ্যাত। এখানে আছ এক হাজার ফুটের রেডিও টেলিস্কোপ।  


অ্যামেরিকার মাউনা কেয়া আরেক বিখ্যাত মানমন্দির। সমুদ্র স্তর থেকে ১৪ হাজার ফুট উপরে এর অবস্থান। তবে পৃথিবীর উচ্চতম মানমন্দির এটি নয়। সে রেকর্ড দখল করে রেখেছে ইউনিভার্সিটি অব টোকিও আতাকামা অবজারভেটরি (TAO)।  সমুদ্রপৃষ্ঠ হতে এর উচ্চতা ১৮,৫০০ ফুট বা ৫,৬৪০ মিটার। চিলির আরেক বিখ্যাত মানমন্দির প্যারানাল। এটি পরিচালনা করে ইউরোপিয়ান সাউদার্ন অবজারভেটরি। 

সূত্র

১। https://thetraveltester.com/famous-observatories

২। https://wowtravel.me/the-12-best-astronomical-observatories-around-the-world/

Category: articles

বৃহস্পতিবার, ৬ অক্টোবর, ২০২২

পৃথিবী থেকে এত দূরের একটা জিনিস খালি চোখেই দেখা যায়! কী অসাধারণ ও অকল্পনীয় ব্যাপার। ভাবতেই শিরদাঁড়া বেয়ে শিহরণ নেমে যায়। তাই তো অ্যানড্রোমিডা হয়ে ওঠেছে গল্প-কবিতার উপদান।


বলা হয়ে থাকে, খালি চোখে দেখা সম্ভব সবচেয়ে দূরের বস্তু এই অ্যানড্রোমিডা। যদিও আকাশ ও দৃষ্টি ভাল থাকলে ট্রায়াংগুলাম গ্যালাক্সিও দেখা যায়। অ্যানড্রোমিডার দূরত্ব পৃথিবী থেকে ২৫ লাখ আলোকবর্ষ। আর ট্রায়াংগুলামের ২৭ লাখ।

প্রতিবেশী ছায়াপথ অ্যান্ড্রোমিডা

চলুন দেখে নেই, রাতের আকাশে কখন কীভাবে খুঁজে পাব অ্যানড্রোমিডাকে

দেখার জন্যে প্রথমেই লাগবে একটি অন্ধকার আকাশ। কৃত্রিম আলোর ঝলক যেখানে থাকবে না। দেখার সবচেয়ে ভালো সময় হলো সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাস। এ সময় উত্তর গোলার্ধের সন্ধ্যার পূর্ব আকাশেই দেখা দেয় ছায়াপথটা। মধ্যরাতের দিকে প্রায় মাথার উপরের দিকে চলে আসে।
 
ছায়াপথটা খুঁজে পাওয়ার দুটি পথ আছে। একটি হলো ক্যাসিওপিয়ার মাধ্যমে। আরেকটি পেগাসাস বা পঙখীরাজ তারানকশার মাধ্যমে।

অক্টোবর মাসের দিকে উত্তর আকাশে ইংরেজি এম বা ডাব্লিউ (W) আকৃতির ক্যাসিওপিয়া খুব সহজেই দেখা যায়। এটা একটা তারামণ্ডল। সবচেয়ে উজ্জ্বল তারার নাম শেডার। এই তারাটিই আপনাকে অ্যানড্রোমিডার দিকে নিয়ে যাবে। ছায়াপথটা আছে একই নামের তারামণ্ডলের মধ্যেই।

পেতে অসুবিধা হলে শেডার নক্ষত্রের সাথে পাশের দুটি নক্ষত্র নিয়ে একটা ত্রিভুজ বানান। এবার শেডার ত্রিভুজের যে শীর্ষে আছে সেদিকে ত্রিভুজের দৈর্ঘ্যের তিনগুণ যান।


ক্যাসিওপিয়া থেকে অ্যানড্রোমিডা
তারা পরিচিতি: শেডার

অ্যানড্রোমিডাকে আরেকভাবেও খুঁজে নেওয়া যায়। এজন্য আপনাকে বের করতে পেগাসাস ঘোড়ার বিশাল বর্গচিত্রটি। এর আলফেরাজ তারাটি পেগাসাসের সাথে অ্যানড্রোমিডাকে যুক্ত করেছে। এবার খুঁজে নিন মাইরাক ও মিউ অ্যানড্রোমিডা তারা দুটি। মাইরাক থেকে মিউর দিকে দাগ টেনে এদের দূরত্বের সমান গেলেই পেয়ে যাবেন অ্যানড্রোমিডা


পেগাসাস থেকে অ্যানড্রোমিডা

Category: articles

জ্যোতির্বিজ্ঞান পরিভাষা: জেনে নিন কোন শব্দের কী মানে

এখানে সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যাসহ জ্যোতির্বিদ্যায় প্রয়োজনীয় পরিভাষাগুলোর তালিকা দেওয়া হলো। সাজানো হয়েছে অক্ষরের ক্রমানুসারে। এই তালিকা নিয়মিত আপডেট...