Advertisement

সোমবার, ১৪ জুলাই, ২০১৪

দুই মেরুতে সূর্য ৬ মাস দিগন্তের উপরে ও ছয় মাস দিগন্তের নিচে থাকে। মেরুবৃত্ত থেকে দূরের অক্ষাংশে আমরা যেমন রাত দিন অনুভব করি সেখানের রাত দিন ঠিক তেমন নয়, অনেকটা গোধূলির মত।
এর মূল কারণ হল সূর্যের সাথে পৃথিবীর ২৩.৫ ডিগ্রি নতি।
কোন মেরুতে কখনঃ
২১ মার্চ থেকে ২৩ সেপ্টেম্বর ছয় মাস উত্তর মেরুতে অবিরত দিন ও দক্ষিণ মেরুতে অবিরত রাত থাকে। ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে ২১ মার্চ ঘটে উল্টোটি মানে ৬ মাস একটানা দক্ষিণ মেরুতে দিন ও উত্তর মেরুতে রাত। তার মানে ২১ মার্চ ও ২৩ সেপ্টেম্বর হচ্ছে মেরুদ্বয়ে রাত দিন পাল্টানোর দুই প্রান্তিক তারিখ। এই দুই দিন উভয় মেরু সূর্য থেকে সমান দূরে থাকে।
উত্তর মেরুতে দিনঃ
২১ মার্চের পর উত্তর মেরু সূর্যের দিকে ঝুঁকতে থাকে। ঝুঁকতে ঝুঁকতে ২১ জুন গিয়ে ঝোঁকার পরিমান হয় সর্বোচ্চ। ২১ জুনের পর  উত্তর মেরু এবার সূর্য থেকে দূরে সরতে থাকে। সরতে সরতে ২৩ সেপ্টেম্বরে সূর্য থেকে দক্ষিণ মেরুর সমান দূরত্বে থাকে।
এই ছয় মাস উত্তর মেরুতে (প্রকৃত অর্থে মেরুবৃত্তে) সূর্য দিগন্তের উপরে অবস্থান করে। তাই তখন এখানে দিন। অপর দিকে এই সময় দক্ষিণ মেরুবৃত্ত দিগন্তের নিচে অবস্থান করায় সেখানে রাত।
দক্ষিণ মেরুতে দিনঃ
উত্তর মেরু সূর্য থেকে সরতে সরতে ২৩ সেপ্টেম্বরে এসে দক্ষিণ মেরুর সমান দূরত্বে পৌঁছেছিল। এবার সে আরো সরতে থাকে। এভাবে ২২ ডিসেম্বর উত্তর মেরু সূর্যের সবচেয়ে দূরে ও দক্ষিণ মেরু সবচেয়ে কাছে থাকে। এবার দক্ষিণ মেরুর আবার সরার পালা। দক্ষিণ মেরু সরতে থাকে আর উত্তর মেরু পুনরায় দূরত্ব কমাতে থাকে। এভাবে ২১ মার্চ আবার দুই মেরু সূর্য থেকে সমান দূরে থাকে। ফলে, এই ছয় মাস দক্ষিণ মেরুতে দিন আর উত্তর মেরুতে রাত হয়।
Category: articles
পরিক্রমণকালে পৃথিবীর মেরুরেখা ধ্রুবতারামুখি হয়ে কক্ষতলের সাথে সব সময় ৬৬.৫ ডিগ্রি কোণ করে হেলে থাকে। আবার নিরক্ষরেখা বা বিষুবরেখার সমতল কক্ষতলের সাথে ২৩.৫ ডিগ্রি হেলে থাকে।
সাধারণত ২১ মার্চ ও ২৩ সেপ্টেম্বর পৃথিবীর সব জায়গায় দিন রাত্রি সমান হয়। চিত্রে খেয়াল করুন, এই দুই দিন সূর্য থেকে উত্তর ও দক্ষিণ মেরু সমান দূরত্বে থাকে। আর তাই উত্তর বা দক্ষিণ কোন গোলার্ধই একে অপরের চেয়ে সূর্যের আলো বেশি বা কম পায় না। (চিত্রে মনোনিবেশ করুন)
এই দিন তাই ২৪ ঘন্টার অর্ধেক সময় যে কোথাও দিন  ও বাকিটা রাত থাকে।
এই দিন গুলোয় সূর্যরশ্মি নিরক্ষরেখায় ৯০ ডিগ্রি কোণে, সুমেরু ও কুমেরুবৃত্তে ৬৬.৫ ডিগ্রি ও মেরুদ্বয়ে ০ ডিগ্রি কোণে পতিত হয়।

২৩ সেপ্টেম্বরের আগে ২১ জুন পৃথিবীর উত্তর মেরু সূর্যের দিকে সবচেয়ে ঝুঁকে থাকে ও দক্ষিণ মেরু সবচেয়ে দূরে থাকে। পরের দিন থেকে উত্তর মেরু সরতে থাকে আর দক্ষিণ মেরু কাছে আসতে থাকে। এভাবে ২৩ সেপ্টেম্বরে এসে দুই মেরু সমান দুরত্বে আসে। একে বলে শারদ বিষুব ( autumnal equinox)।
আবার ২১ মার্চের আগে ২২ ডিসেম্বরে সূর্য দক্ষিণ মেরুর দিকে সবচেয়ে হেলে থাকে আর উত্তর মেরু থেকে সবচেয়ে দূরে থাকে। এর পর থেকে আবার দক্ষিণ মেরু থেকে সরতে সরতে এবং উত্তর মেরুর দিকে আসতে ২১ মার্চে এসে দুই মেরু থেকে সমান দূরত্বে আসে। একে বলে বাসন্ত বিষুব ( Vernal equinox)।
Category: articles

সোমবার, ৭ জুলাই, ২০১৪

মহাকাশবিজ্ঞানে এক অতি প্রয়োজনীয় একক হল আলোকবর্ষ । সাবধান! শেষে 'বর্ষ' শব্দ দেখে একে সময়ের একক মনে করা যাবে না! এটি আসলে দূরত্বের একক।

এর মানে কী?
আলো এক বছরে যে দূরত্ব অতিক্রম করে তাকে বলা হয় এক আলোকবর্ষ। আলো যেখানে প্রতি সেকেন্ডেই ৩ লক্ষ কিলোমিটার (১ লক্ষ ৮৬ হাজার মাইল) পথ অতিক্রম করে, সেখানে এক বছরে কত দূর যাবে ভাবতেই নিজেকে খুব ছোট্ট ছোট্ট লাগে, তাই না? নিচে আমরা দেখবো, এই মান আসলে কত বিশাল এবং এর কিছু উদাহরণ।

আলোকবর্ষ এককটির প্রয়োজন হল কেন? 
মহাজাগতিক বস্তুসমূহ এবং তাদের মধ্যকার দূরত এত বিশাল যে আমাদের সাধারণ এসআই একক মিটার এমনকি কিলোমিটারও সেখানে কোণঠাসা। প্রয়োজন আরও অনেক বড় এককের। যেমন আমাদের প্রতিবেশি গ্যালাক্সিদের মধ্যে সবচেয়ে বড়- অ্যান্ড্রোমিডার দূরত্ব যদি আপনি এসআই একক মাপতে যান, তাহলে তা হবে 2.4×1022 মিটার। এত বড় মান এসআই এককে লিখতে গেলে অঙ্কটি যেমন বড় হয়ে যায়, তেমনি এর মানে বোঝাও হয়ে দাঁড়ায় কঠিন। তাই জ্যোতির্বিদ্যায় অন্যান্য এককের পাশাপাশি আলোকবর্ষ এককটি ব্যবহার করা হয়। সাধারণত নিকটবর্তী নক্ষত্রদের দূরত্ব বের করতে এই এককটি ব্যবহার করা হয়। 


এখন, এই এককে হিসাব করলে দেখা যায়, আমাদের সৌরজগত যে গ্যলাক্সিতে অবস্থিত (মিল্কিওয়ে) তার ব্যাস প্রায় ১ লাখ আলোকবর্ষ।  আমাদের প্রতিবেশি গ্যালাক্সি অ্যান্ড্রোমিডার দূরত্ব প্রায় ২.৫ লাখ ও ব্যাস ২ লাখ বিশ হাজার আলোকবর্ষ । ফলে, সহজে লেখাও যাচ্ছে, বিভিন্ন দূরত্বের তুলনাও করা যাচ্ছে।  আবার, সৌরজগতের বাইরে বৃহত্তম গ্রহ ট্রেস-৪ এর দূরত্ব পৃথিবী থেকে ১৪০০ আলোকবর্ষ দূরে।

আরো দেখুনঃ জ্যোতির্বিদ্যায় দূরত্বের এককেরা

আলোকবর্ষের মান কত? 
আলোকবর্ষ হল সেই পরিমাণ দূরত্ব যা আলো এক বছরে অতিক্রম করে। আমরা জানি আলোর বেগ প্রতি সেকেন্ডে 3×108 মিটার, মানে ৩ এর পরে ৮টি শুন্য দিলে যা হয়। মাইলের হিসাবে তা ১ লক্ষ ৮৬ হাজার।

গাণিতিক হিসাব তাহলে এ রকমঃ
১ আলোকবর্ষ  = ১ বছরে আলোর অতিক্রান্ত পথ
                    = ৩৬৫ দিনে আলোর অতিক্রান্ত পথ
                    = ৩৬৫ × ২৪ ঘণ্টায়  আলোর অতিক্রান্ত পথ
                    =  ৩৬৫ × ২৪ × ৩৬০০ সেকেন্ডে আলোর অতিক্রান্ত পথ
                    = 365 × 24 × 3600 ×  3×108 মিটার
                    = 9.4607×1015 মিটার। 
অর্থাৎ ৯ ৪৬০ ৮০০ ০০০ ০০০ ০০০ মিটার। 

এটি ৯ ট্রিলিয়ন কিলোমিটারের চে একটু বেশি বা প্রায় ৬ ট্রিলিয়ন কিলোমিটার। 
জ্যোতির্বিদ্যায় আরেকটি প্রয়োজনীয় একক পারসেক। এটি আলোকবর্ষের চেয়ে বড়। এর মান ৩.২৬ আলোকবর্ষের সমান। 

অপেক্ষাকৃত ছোট দূরত্বের ক্ষেত্রে আবার আলোকবর্ষের পরিবর্তে আলোকমিনিট বা আলোকসেকেন্ড জাতীয় এককগুলো ব্যবহার করা হয়। বোঝাই যাচ্ছে, আলোর এক মিনিটে অতিক্রান্ত দূরত্বই হচ্ছে আলোকমিনিট ইত্যাদি। উপরের ছবিতে এ রকম প্রয়োগগুলো দেখুন। 
Category: articles

শনিবার, ২৮ জুন, ২০১৪

পৃথিবী প্রতি ঘন্টায় ১৬৭০ কি.মি. বেগে ( সেকেন্ডে ৪৬৫ মি. বা ১০৭০ মাইল /ঘণ্টা) নিজের অক্ষের চারদিকে ঘুরছে। এই ঘুর্নণের দিক হচ্ছে পশ্চিম থেকে পূবে।  আর এই ঘূর্নণের দিকই নির্ধারণ করেছে কোন দিক মেরু হবে। এই যে ঘুর্ণন বেগ -এটি কার্যকর শুধুমাত্র বিষুব অঞ্চলের জন্য, যা দুই মেরুর ঠিক মাঝে অবস্থিত। বিষুব অঞ্চল থেকে যতই মেরুর দিকে যাওয়া হবে ততই এই বেগ হ্রাস পেতে থাকবে।

আরও পড়ুন
☛ মেরু ও বিষুব অঞ্চলের পরিচয়

বিষুব রেখা থেকে মেরুর দিকে গেলে ঘূর্নণের হ্রাসপ্রাপ্ত মান বের করতে হলে স্বাভাবিক মানের সাথে অক্ষাংশের cos এর মান গুণ করতে হবে।

পৃথিবীর দুই মেরুর ঠিক মাঝে অবস্থিত বিষুব অঞ্চল 

যেমন, ৪৫ ডিগ্রি অক্ষাংশে এই বেগ হবে 1670 *Cos 45 Km/h= 1670*.707 = 1180 Km/h।
এই মান কমতে কমতে মেরুতে গিয়ে হয় জিরো। কারণ মেরুতে অক্ষাংশ হল ৯০ ডিগ্রি।  Cos 90 = 0 বলে গুনফল হয় জিরো।

এটাতো গাণিতিক মত। তবে গণিত কখোনই অসত্য কথা বলে না। মেরুতে বেগ কেন জিরো এটা একটি উদাহরণের সাহায্যে বোঝার চেষ্টা করি। হ্যাঁ, আমরা টপিকের মধ্যেই আছি। একটু পর বোঝা যাবে।

গ্রামে আগেকার দিকে মাঠের মাঝখানে একটি খুঁটি গেঁড়ে খুঁটির সাথে গরুকে বেঁধে খুঁটির চারপাশে চক্রাকারে ঘোরানো হত। এতে করে ধান গাছে অল্প যে কিছু ধান থেকে যেত তা গরুর পায়ের চাপে ঝরে পড়ে নিচে জমা হত। আমরা যদি একটু চিন্তা করি,  রশির একেবার প্রান্ত বিন্দুতে ঘূর্নণ বেগ সর্বোচ্চ। খুঁটির দিকে কাছাকাছি হলে ক্রমেই বেগ কমতে থাকবে। কারণ, যে সময়ে বাইরের প্রান্ত বিন্দু এক চক্কর দেবে সেই সময়েই ভেতরের যে কোন বিন্দুও এক চক্কর দিয়ে দেবে। কিন্তু ভেতরের যে কোন বিন্দু চক্কর দিতে অনেক কম পথ যেতে হবে। সময় একই লাগায় ভেতরের বিন্দুর বেগ কম হতে হবে।

কল্পনায় এবার পৃথিবীকে একবার পশ্চিম থেকে পূবে চক্কর দেওয়ান। অথবা একটি আপেল/ কমলা হাতে নিয়ে একইভাবে ঘোরান। দেখবেন প্রান্তবিন্দুর দিকে ক্রমান্বয়ে বেগ কম এবং একেবারে মেরুতে জিরো।

এবার মূল আলচনায় ফিরে আসি। আসলে এই ঘূর্ণনের সাথেই মেরুর ব্যাপার জড়িত।
পৃথিবী পশ্চিম থেকে পূবে আবর্তন করায় এর দুই আবর্তন অক্ষ উত্তরে ও দক্ষিণে অবস্থিত। আসলে এই অক্ষটি হচ্ছে কেন্দ্র দিয়ে দুই মেরুর সংযোজক সরলরেখা। দুই মেরু বিন্দু পৃথিবীর আবর্তন অক্ষের দুই প্রান্ত বিন্দু। ফলে এই বিন্দু দুইটি আসলে বিশেষ দুটি বিন্দু, যেমন বিশেষ বিন্দু আর কোথাও নেই।

পৃথিবী যদি উত্তর থেকে দক্ষিণে বা দক্ষিণ থেকে উত্তরে আবর্তন করত তবে পূবে ও পশ্চিমে এই রকম বিশেষ দুটি সৃষ্টি হত।

আবার, উত্তর ও দক্ষিণ মেরু যথাক্রমে পৃথিবীর সর্ব উত্তর ও সর্ব দক্ষিণের বিন্দু। বিন্দুগুলো প্রকৃত/আক্ষরিক অর্থেই প্রান্তিক। কিন্তু একটু চিন্তা করুন পূর্ব বা পশ্চিমে কি এমন কোন প্রান্তিক অবস্থান আছে যাকে আমরা সবচেয়ে পূর্ব/ পশ্চিম বলবো?


ম্যাপে আমরা যেটাকে পূর্ব / পশ্চিম বলি সেটা শুধুই আপেক্ষিক। বেশিরভাগ ম্যাপেই আমেরিকাকে পশ্চিমে ও ওশোনিয়াকে পূর্বে দেখানো হয়। তাই বলে বলা যাবে না যে আমেরিকাই সবচেয়ে পূর্বের জায়গা।

পৃথিবীর ম্যাপকে একটু ভিন্নভাবে দেখানো হল। তাহলে আমেরিকা আসলে আমাদের থেকে পূর্ব দিকে নাকি পশ্চিম দিকে? 
ইলাস্ট্রেটেড অক্সফোর্ড ডিকশনারির পেছনে একটি ওয়ার্ল্ড ম্যাপ আছে। তাতে আমেরিকাকে দেখানো হয়েছে রাশিয়ার ডানে - মানে পূবে- একেবারে পৃষ্টার ডান পাশে। দেখানো যেতেই পারে।  তার মানে এই নয় যে আমেরিকাই এখন পূবে চলে গেছে। ঐ ম্যাপে আফ্রিকা ও ইউরোপ একেবারে বাঁয়ে- মানে পশ্চিমে। কিন্তু কোনটাই পরম পশ্চিম বা পরম পূর্ব নয়।

ধরুন, আপনি পূর্ব-পশ্চিমের কোন অবস্থান থেকে (মানে কোন একটি দ্রাঘিমাংশ বিন্দু থেকে) (ধরুন) পূবে যাচ্ছেন। যতই পূবে যান না কেন পশ্চিম সব সময় আপনার পেছনেই থাকবে।

যেমন আপনি বাংলাদেশ থেকে পূবে যেতে থাকলে ক্রমে মায়ানমার, চীন, তাইওয়ান, জাপান, প্রশান্ত মহাসাগর পেরিয়ে আমেরিকায় পৌঁছে যাবেন। আরো যেতে থাকলে মেক্সিকো, কিউবা, মরক্কো,  আলজেরিয়া, মধ্য প্রাচ্য, পাকিস্তান, ভারত হয়ে ঘরের ছেলে ঘরে ফিরে আসবেন। নাক বরাবর যদি হাঁটতে থাকেন, সব সময়ই কিন্তু আপনার পেছনে পশ্চিম থাকবে।

কিন্তু এবার আপনি যদি বলেন, না, পূর্ব-পশ্চিমে পরিধি পাড়ি না দিয়ে আমি উত্তর-দক্ষিণ বরাবর পাড়ি দেব। এই অভিযানে স্বাগতম। এবারে আপনি উত্তর দিকে যাত্রা করলেন। তাহলে ভারত, ভুটান, চীন, মঙ্গোলিয়া ও রাশিয়া পাড়ি দিয়ে আপনি চলে যাবেন সুমেরুতে, মানে উত্তর মেরুতে।
ধরুন ঠিক এই মুহূর্তে আপনি সুমেরু (উত্তর মেরু) থেকে আরেক পা বাড়ালেন (এত পথ আপনাকে হাঁটিয়েই নিচ্ছি)। একটু আগে আপনার পেছনে ছিলো দক্ষিণ। এবার? পেছনে উত্তর আর সামনে দক্ষিণ।

হায়! হায়! আপনিতো ঘোরেননি, কিন্তু দিক যে পাল্টে গেলো!
যাক, কিছু মনে না করে আপনি যখন আরো এগিয়ে আমেরিকা মহাদেশের উপর দিয়ে চলে বাংলাদেশের প্রতিপাদ স্থান চিলি পার হয়ে দক্ষিণ মেরু ক্রস করলেন, আরেকটি ধাক্কা! সামনে এতক্ষণ দক্ষিণ ছিল, তা আবার ঘুরে উত্তর হয়ে গেলো।

এটাই হলো উত্তর ও দক্ষিণ বিন্দুর বিশেষত্ব। কিন্তু পূর্ব বা পশ্চিমের কোন বিন্দুর এমন কোন বিশেষত্ব নেই, কোন প্রান্তিক বিন্দু নেই, তাই মেরুও নেই।

সূত্রঃ
১। image.gsfc.nasa.gov/poetry/ask/a10840.html
Category: articles

শনিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০১৪

আইন্সটাইনের আপেক্ষিক তত্ব বলছে আলোর বেগ (3×108 m/s) ই সর্বোচ্চ, কোন কিছুই এই বেগ অতিক্রম করতে পারে না। কিন্তু এটাও ঠিক গ্যালাক্সিরা আলোর চেয়ে দ্রুতগতিতে দূরে প্রসারিত হচ্ছে। তাহলে? চলুন দেখা যাক---!! 

আলোর বেগের কাছাকাছি যেতে হলে প্রয়োজন অনেক বেশি এনার্জি। মনুষ্যবাহী মহাকাশযানের সর্বোচ্চ গতির রেকর্ড হচ্ছে ঘন্টায় প্রায় ৪০ হাজার কি.মি.। এটা হল অ্যাপোলো-১০ এর গতি। 
মহাবিশ্বের সব শক্তি ব্যবহার করে ফেললেও আলোর সমান বেগ অর্জন সম্ভব নয়। আমরা জানি, বিগ ব্যাঙের পর থেকেই ডার্ক এনার্জির প্রভাবে মহাবিশ্ব প্রসারিত হচ্ছে। ছায়াপথসমূহ একে অপর থেকে দূরে সরে যাচ্ছে সেগুলো ছাড়া যারা নিজেদের মধ্যকার মহাকর্ষীয় টানে আবদ্ধ। আমাদের মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সি ও প্রতিবেশি অ্যান্ড্রোমিডা গ্যালাক্সি নিজেদের থেকে দূরে না সরে পারস্পরিক মহাকর্ষীয় ভালোবাসায় দিন দিন কাছে আসছে।
আমাদের থেকে যে গ্যালাক্সি যত দূরে দেখা যায় তারা তত বেশি বেগে দূরে প্রসারিত হচ্ছে। ফলে এটা সম্ভব হয়ে যাচ্ছে যে তাদের কেউ কেউ অনেক দূরে হওয়ায় বেগ বাড়তে বাড়তে আলোর বেগকেও ছাড়িয়ে গেছে। এ অবস্থায় সেই সব গ্যালাক্সি থেকে আলো কখোনই আমাদের পৃথিবীতে পৌঁছবে না।
এ অবস্থায় ঐ গ্যালাক্সি থেকে আসা পৃথিবীতে পৌঁছানো সর্বশেষ ফোটনটি দেখা যাবার পরই গ্যালাক্সিটি দৃষ্টিসীমা থেকে হারিয়ে যাবে।
এখানে এখন আপাতদৃষ্টিতে মনে হচ্ছে আলোর পরম বেগ বিষয়ক আইন্সটাইনের আপেক্ষিক তত্ব লংঘন হচ্ছে। কিন্তু না। প্রকৃতপক্ষে গ্যালাক্সিরা নিজেরা খুব বেশি জায়গা (Space) অতিক্রম করছে না। বরং Space বা স্থান নিজেই প্রসারিত হচ্ছে যার কারণে সাথে সাথে গ্যালাক্সিরাও প্রসারিত হচ্ছে। 
খানে মাথায় রাখতে হবে মহাবিশ্বের সম্প্রসারণ মানে মহাবিশ্বের আয়তনের প্রসারন। অর্থ্যাৎ Space বা স্থান প্রসারিত হচ্ছে। অতএব গ্যালাক্সিরা নিজেরা দূরে সরছে না বরং তারা যেই ‘স্থান’-এ আছে সেটাই প্রসারিত হচ্ছে।
মনে করুন একটি পুকুরের কেন্দ্র থেকে সব দিকেই মাছ আছে। এখন কোন এক শক্তির বলে (মহাবিশ্বের ক্ষেত্রে যেটা ডার্ক এনার্জি) পুকুর প্রসারিত হয়ে পরিধি কেন্দ্র থেকে ক্রমাগত দূরে চলে যাচ্ছে। এই প্রসারণ পানির প্রবাহজনিত বেগ নয়। এখন এর প্রভাবে স্বয়ংক্রিয়ভাবে মাছেরাও নিজেদের থেকে দূরে সরে যাবে।
অথবা ধরুণ, একটি ফূটবল অজানা কারণে আপনাতেই বড় হয়ে যাচ্ছে। তাহলে এর পরিধিতে আগে থেকেই থাকা পিঁপড়ারাও নিজেদের থেকে দূরে সরবে।
মহাবিশ্বের ক্ষেত্রে পানি বা ফুটবলের স্থলে প্রসারিত হচ্ছে ফাঁকা স্থান যা প্রসারিত হতে হতে এর ভেতরকার সবকিছুকে দূরে সরিয়ে দিচ্ছে।
আলোর বেগ যেহেতু এই প্রসারনশীল মহাবিশ্বের একটি বৈশিষ্ট্য তাই সে মহাবিশ্বের কোন বস্তুর জন্য প্রযোজ্য হলেও মহাবিশ্বের নিজের জন্য প্রযোজ্য হবে না। অর্থ্যাৎ  মহাবিশ্ব নিজে আলোর চেয়ে বেশি বেগ পেতে পারে।

আরো তিন ট্রিলিয়ন বছর পর পৃথিবীর দিগন্ত থেকে সব গ্যালাক্সির দৃশ্য মুছে যাবে। তখন পৃথিবীর কোন মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রের কস্মোলজিস্ট জানবেনই না যে মহাবিশ্ব এত বিশাল। 
সূত্রঃ
১. http://en.wikipedia.org/wiki/List_of_vehicle_speed_records
২. http://www.universetoday.com/13808/how-can-galaxies-recede-faster-than-the-speed-of-light/
Category: articles

বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪

১.প্রাক-কথা: 
বিশাল এ মহাবিশ্ব

অনেক বিশিষ্ট বিজ্ঞানিসহ পৃথিবীর মানুষের মধ্যে বৃহত্তর অংশই পৃথিবীর বাইরে প্রাণের অস্তিত্তে বিশ্বাস করে। জরিপে দেখা যায় চীনে এ বিশ্বাস সবচেয়ে বেশী-৪০%। সব মিলিয়ে বিশ্বাস পুরুষের ২২% আর নারীতে ১৭%। বৈজ্ঞানিক তত্তকথা, সাধারণ জ্ঞান ও ধর্মীয় গ্রন্থরাজি থেকে ধারণা নিয়ে এর পক্ষে- বিপক্ষে প্রচুর মত রয়েছে।
এলিয়েন বা পৃথীবির বাইরের জীব বিষয়ক গবেষণা ও স্টাডিকে বলা হয় exobiology অথবা astrobiology( এ শব্দটি পৃথিবীর ক্ষেত্রেও প্রচলিত)।

২.থাকার সম্ভাবনা যে কারণে: ১৫৪৩ সালে কোপার্নিকাস এরিষ্টটলের বিপক্ষে গিয়ে বলেন পৃথিবী মহাবিশ্বের কেন্দ্র নয় বরং সূর্যের চারদিকে ঘূর্ণায়মান সাধারণ একটি গ্রহ। হাবলের টেলিস্কোপ প্রথমবারের মত মহাবিশ্বের বিশাল পরিধি মানুষের সামনে নিয়ে আসে। জানা গেল মহাবিশ্বে রয়েছে বিলিয়ন বিলিয়ন গ্যালাক্সি বা তারকামণ্ডল।

আমাদের গ্যালাক্সিতেই রয়েছে প্রায় ২০ হাজার থেকে ৪০ হাজার কোটি নক্ষত্র যার মধ্যে আমাদের সূর্যও একটি।
এ বিশাল মহাবিশ্বে সূর্যের মত রয়েছে অসংখ্য নক্ষত্র। তাদের কোনটিতে আমাদের সৌরব্যবস্থার মত ব্যাবস্থা থাকতেই পারে।


আমাদের তারকামণ্ডল (মিল্কিওয়ে বা আকাশগঙ্গা)

মহবিশ্ব অনেক বড় হবার কারণেই স্টিফেন হকিং এবং কার্ল সেগান এর মতে প্রথিবীর বাইরে প্রাণ থাকার সম্ভাবনাটাও বেশী।
অণুজীবরা যদি পৃথিবীর অভ্যন্তরেই পাথরের ছোট ছোট ছিদ্রে থাকতে পারে তাহলে পৃথিবীর বাইরেও এরকম স্থানে থাকতেই পারে।
অনেকে প্রথিবীর বাইরে প্রাণের প্রমাণের জন্য বিভিন্ন সময়ে পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে দেখা যাওয়া UFO(=Un-identified Flying Object=অচেনা উড়ন্ত বস্তু) ’র কথা বলেন। তবে বেশিরভাগ UFO কেই পৃথিবীসৃষ্ট আকাশযান অথবা কোন মহাজাগতিক বস্তু বা দেখার ভুল হিসেবে ব্যাখ্যা করা যায়।

৩.১আমাদের সৈৗরজগতে থাকার সম্ভাবনা:

আমাদের সৌরজগত

আমাদের সৌরজগতে এ সম্ভাবনার দৌড়ে এগিয়ে আছে শুক্র, মঙ্গল, বৃহস্পতির উপগ্রহ ইউরোপা, শনির উপগ্রহসমূহ যেমন টাইটান ও Enceladus ।

মঙ্গল গ্রহের সম্ভাবনা:


মঙ্গল গ্রহ

মঙ্গল গ্রহ আমাদের্ সৌরজগতে অবস্থানের কারণে এতে প্রণের অস্তিত্ত থাকতে পারে বলে অনেক বিজ্ঞানীর দৃঢ়বিশ্বাস। মনে করা হয় একসময় মঙ্গলের বুকে তরল পানি প্রবাহিত হত, ফলে এখনো এর অভ্যন্তরভাগে পানি থাকতে পারে। এছাড়া এর আবহাওয়ায় মিথেন গ্যাস পাওয়া গেছে।
২০০৮ সালের জুলাইয়ে ফিনিক্স মার্স ল্যান্ডার প্রমাণ করে মঙ্গলের মাটির নমুনায় পানির অস্তিত্ত বিদ্যমান। যন্ত্রটির রোবটিক হাতে সংগৃহীত মাটির নমুনায় তাপ দিয়ে প্রাপ্ত বাষ্পে পানিকণা পাওয়া যায়।
ম্যাক্স গ্লোবাল সার্ভেয়ার থেকে পাঠানো রিপোর্টে প্রমাণ পাওয়া যায় গত ১০ বছরের মধ্যে মঙ্গলে পানি প্রবাহিত হয়েছে। তবে প্রাণ আছে কিনা এ ব্যাপারে এখনও শতভাগ নিশ্চয়তা দেওয়া সম্ভব নয়।

শনির উপগ্রহ টাইটান:


শনির উপগ্রহসমূহ

সৌরজগতের সবচেয়ে বড় উপগ্রহ টাইটান। নাসার বিজ্ঞানীরা ক্যাসিনীর পাঠানো তথ্যের ভিত্তিতে বলেন একমাত্র টাইটান্ প্রাণধারণের উপযোগী এবং সেখানে জীবনের উৎপত্তিও হয়েছে।
ইকারাস সাময়িকীতে প্রকাশিত প্রবণ্ধে বলা হয় টাইটানের হাইড্রোজেন গ্যাস গ্রহপৃষ্ঠের কাছাকাছি এসে হারিয়ে যাচ্ছে, এ থেকে প্রমাণ হয় যে প্রণীরা শ্বাস নিচ্ছে এবং তারা সম্ভবত অক্সিজেনের পরিবর্তে হাইড্রোজেন গ্রহণ করছে।

তবে চলতি বছরের (২০১১) মে মাসে বিজ্ঞানীরা বলেন, ’আমাদের জানামতে পৃথিবীর বাইরে প্রাণের অস্তিত্ত থাকার ব্যাপারে শনির উপগ্রহ Enceladus সবচেয়ে সম্ভাবনাশীল।’

৩.২.সৌরজগতের বাইরের সম্ভাবনা:


মিল্কিওয়ে (আমদের ছায়াপথ) ছাড়াও মহাবিশ্বে আরো শতকোটি তারকামণ্ডল বা ছায়াপথ আবিষ্কৃত হয়েছে। সেসব তারকামণ্ডল বা নক্ষত্রমণ্ডলেও পৃথিবীসদৃশ গ্রহ আছে। আমাদের নিকটতম ছায়াপথ অ্যান্ড্রোমিডা ২০ লাখ আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত।হাবল টেলিস্কোপের আল্ট্রা ডিপ ক্যামেরার সাহায্যে ৩০ কোটি আলোকবর্ষের চেয়েও বেশি দূরত্বের আলোকবর্ষও পর্যক্ষেণ করা গেছে। অ্যান্ড্রোমিডায় সূর্য্যের মত কোন নক্ষত্রের চারপাশে গ্রহ বা উপগ্রহ থাকতে পারে যা আমাদের পৃথিবীর মত বাসযোগ্য হতে পারে।
এছাড়া এ বিশাল মহাবিশ্বে সূর্য্যের মত অসংখ্য নক্ষত্র রয়েছে। বসবাসোপযোগী নক্ষত্র থাকতে হলে তাকে নিজস্ব ছায়াপথের বাইরের দিকে থাকতে হবে এবং তার নিজস্ব গতি তার ছায়াপথের আবর্তনের সাথে সর্ম্পকযুক্ত হতে হবে। তবে গামা ও মহাজাগতিক রশ্মির আধিক্য থাকলে তা প্রাণের অস্তিত্তের পথে বাধা হবে। আবার তার গতি নিজস্ব ছায়াপথের আবর্তনের সাথে অসংগতিপূর্ণ হলে তার গ্রহব্যবস্থা কয়েক মিলিয়ন বছরেই মিলিয়ে যাবে।

তবে পানি থাকার সম্ভাবনার কারণে সম্প্রতি আবিষ্কৃত প্রায় পৃথিবীর ভরের সমান গ্রহ গ্লিস ৫৮১ সি, জি এবং ডি এক্ষেত্রে সম্ভাবনাময়ী।

৪.পরোক্ষ প্রমাণ:
আর্জেন্টিনার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে সাগরপৃষ্ঠ থেকে ৪ হাজার ৭০০ মিটার (১৫হাজার ৪০০ ফুট) উপরে লেক ডায়মান্ট নামক হ্রদে ব্যাকটেরিয়া পাওয়া গেছে। এ আবিষ্কার থেকে ভিনগ্রহে প্রাণের ব্যাপারে সূত্র পাওয়া যেতে পারে।কেননা হ্রদটির কাছেই রয়েছে মাইপো আগ্নেয়গিরি। এখানে কোটি কোটি ব্যাকটেরিয়া অক্সিজেনের প্রকট অভাবেও বেঁচে আছে। এর আগে বিরুপ পারবেশে টিকে থাকা ‘এক্সট্রিমোফিলস’ নামক ব্যাকটেরিয়া আবিষ্কৃত হয়। কিন্তু ’পলিএক্সট্রিমোফিলস’ নামক ব্যাকটেরিয়া চরম বৈরি পরিবেশে টিকে থাকতে সক্ষম। ওই হ্রদে আর্সেনিকের নিরাপদ মাত্রার চেয়ে ২০ হাজার গুণ বেশি মাত্রা রয়েছে। তাপমাত্রা প্রায়ই শূণ্যের নিচে নামে। কিন্তু অতিরিক্ত লবণক্ততার কারণে বরফ জমাট বাঁধেনা।
এ আবিষ্কার নিঃসন্দেহে ভিনগ্রহের বৈরি পরিবেশেও প্রাণের অস্তিত্তের পক্ষে রায় দেয়।

৫.অভিযান-অনুসন্ধান:

ভিনগ্রহের প্রাণের খোঁজে অনুসন্ধান চলতে থাকলেও স্টিফেন হকিং বলছেন ভিনগ্রহে প্রাণীর খোঁজ পেলেও তাদের সাথে যোগাযোগ করা ঠিক হবেনা । যা হোক এ সতর্কবাণীতো আর মানুষের কৌতূহল দমাতে পারবেনা।
USSR এর কৃত্রিম উপগ্রহ স্ফুটনিকের মাধ্যমে মহাশূন্যে অভিযান শুরু।
গবেষকরা ভিনগ্রহের প্রাণের খোঁজ করছেন পৃথিবীতে বসেই পুরানো নথিপত্র ঘেঁটে। হয়তো অতীতে্ এলিয়েনরা পৃথিবীতে এসেছিল আর তখনকার মানুষ তা দেখে নথিভুক্ত করে রেখেছে। এরিক ভন দানিকেন পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ ঘুরে প্রাচীন পাণ্ডুলিপি, দেয়ালচিত্র ও দেয়াল-লিখনে খুঁজে দেখেছেন এলিয়েনদের বিভিন্ন প্রামাণ্য দলিল। তবে অনেকেই এ দলিলগুলোকে প্রমাণ হিসেবে মানতে নারাজ।

পৃথিবীর বাইরে খোঁজার জন্য ফ্রাংক ড্রেক ১৯৬০ সালে SETI(search for extra-terrestial intelligence) প্রতিষ্ঠা করেন। এটা পৃথিবীতে বসেই বেতার তরঙ্গের মাধ্যমে এলিয়েন অনুসন্ধান করে। ১০টিরও বেশি দেশে এর কার্যক্রম চলছে। এ ব্যাপারে বিজ্ঞানী ড্রেক একটি সমীকরণ দেন দেন যা অবশ্য বিজ্ঞানী ফার্মির মতে নিছক হেঁয়ালি।
চিলির আতাকামা মরুভূমিতে গড়ে তোলা হচ্ছে পৃথিবীর বৃহত্তম টেলিস্কোপ যার ব্যাস হবে প্রায় ৪২ মিটার।



সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিম ভার্জিনিয়ায় একটি বিশাল টেলিস্কোপ বসানো হয়েছে যা পৃথিবীর মত সম্ভাব্য ৮৬টি গ্রহে প্রাণের অস্তিত্ত খুঁজবে। SETI প্রকল্প বাজেট ঘাটতির কারণে বন্ধ হবার উপক্রম হলে ২০০৭ সালে SETI এর প্রকল্পের অংশ ATA, ইউসি বার্কলে রেডিও অ্যস্ট্রোনমি ল্যাবের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ শুরু করে।
তদুপরি নাসার (NASA=National Aeronautics and Space Administration) বহুমুখি কার্যক্রমতো চলছেই।
Category: articles

জ্যোতির্বিজ্ঞান পরিভাষা: জেনে নিন কোন শব্দের কী মানে

এখানে সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যাসহ জ্যোতির্বিদ্যায় প্রয়োজনীয় পরিভাষাগুলোর তালিকা দেওয়া হলো। সাজানো হয়েছে অক্ষরের ক্রমানুসারে। এই তালিকা নিয়মিত আপডেট...