Advertisement

সোমবার, ১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

আমরা জানি, গ্রহদের অন্তত দুটি গতি আছে- আবর্তন গতি ও সূর্যের চারদিকে প্রদক্ষিণ গতি। অবশ্য এরা সূর্যের সাথে সাথে আমাদের মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সিকে কেন্দ্র করেও ঘুরছে। সেটা আলাদা কথা। এখানে আমরা গ্রহদের আবর্তন নিয়ে কথা বলছি।

পৃথিবীর উত্তর মেরু থেকে পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যায়, শুক্র এবং ইউরেনাস ছাড়া সৌরজগতের সবগুলো গ্রহ ঘড়ির কাঁটার উল্টো দিকে ঘোরে। অন্য কথায়, গতিটি হচ্ছে পশ্চিম থেকে পূবে। এটা একই সাথে সূর্যের চারপাশে গ্রহদের প্রদক্ষিণেরও দিক। ধারণা করা হয়, একটি বড়সড় গ্রহাণুর আঘাতে ইউরেনাসের আবর্তন গতি খেই হারিয়ে ফেলে। ফলে, এর আবর্তনের দিক এর প্রদক্ষিণ দিকের সাথে প্রায় সমকোণে তথা ৯০ ডিগ্রি কোণে হেলে পড়ে। অন্য দিকে, অন্য গ্রহের তুলনায় শুকতারা নামে পরিচিত শুক্র গ্রহের গতি একেবারেই উল্টো দিকে। অর্থ্যাৎ, এর আবর্তন হয় পূর্ব থেকে পশ্চিমে। এ কারণে, এই গ্রহে সূর্যোদয় ঘটে পশ্চিমে!
ধারনা করা হয়, এরও উল্টো গতির পেছনে দায়ী কোন গ্রহাণু।

সূত্রঃ 
১। কর্নেল ইউনিভার্সিটি
Category: articles

বৃহস্পতিবার, ২৮ জানুয়ারী, ২০১৬

সৌরজগতের গ্রহগুলোর মধ্যে রাতের আকাশে খালি চোখে দেখা যায় ৫টি- বুধ, শুক্র (শুকতারা), মঙ্গল, বৃহস্পতি ও শনি। এই বছর এক মাস যাবত (জানুয়ারির ২০ থেকে ফেব্রুয়ারির ২০) এদের সবাইকে একত্রে ভোরের আকাশে দেখা যাচ্ছে। এটা দারুণ একটি দৃশ্য। এর আগে সর্বশেষ এই সুন্দর দৃশ্যের অবতারণা হয়েছিল ২০০৪ সালের ডিসেম্বরে। সে এক যুগ আগের কথা।
দৃশ্যমান এই গ্রহদের মধ্যে সবার আগে রাতের আকাশে হাজির হচ্ছে বৃহস্পতি। মধ্য রাতের কাছাকাছি সময়। দিন গড়াবার সাথে সাথে আগের দিনের চেয়ে আগে। মধ্য রাতের পরে হাজির হবে মঙ্গল। এর পর একে একে হাজির হবে শনি, শুক্র ও বুধ। বুধ অবশ্যই সবার শেষে। কারণ, বেচারা সব সময় সূর্যের কাছাকাছি থাকে।
কখন আবার সব গ্রহকে এক সাথে দেখা যাবে?
খুশির খবর হচ্ছে এ বছরই! সাথে দুঃখের খবর হচ্ছে, অফারটা খুবই সংক্ষিপ্ত! আগস্টের ১৩ থেকে ১৯- তাও উত্তর গোলার্ধের আকাশ সেই দৃশ্য দেখার জন্য খুব একটা সুবিধার জায়গা নয়।



Category: articles

শনিবার, ২৩ জানুয়ারী, ২০১৬

অতীতে বিভিন্ন সময় গ্রহের (Planet) বিভিন্ন সংজ্ঞা প্রচলিত ছিল। এমনকি একই সময়েও একাধিক সংজ্ঞা বিদ্যমান ছিল। এটা নির্ভর করত কে কোথায় সংজ্ঞায়িত করছে তার উপর। বিশ্বাস করা কঠিন হলেও এখন যে সূর্যকে ভিত্তি করে আমরা গ্রহকে সংজ্ঞায়িত করি, এক সময় মানুষ সেই সূর্যকেও গ্রহ নাম দিয়েছিল। চাঁদের সাথেও করা হয়েছিল একই আচরণ। ১৮০১ সালে আবিষ্কৃত বামন গ্রহ সেরেসকেও প্রথমে গ্রহ ভাবা হয়েছিল। বিখ্যাত জ্যোতির্বিদ উইলিয়াম হার্শেল একে গ্রহাণু নাম দেবার প্রস্তাব সেটা সবার মনে ধরে।
যাই হোক, নানা বিতর্কের পরেও আমরা বহু দিন পাঠ্যে বইয়ে পড়ে আসছিলাম, সৌরজগতে নয়টি গ্রহ সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে। এর মধ্যে সর্বশেষ ও নবম গ্রহ ছিল প্লুটো। কিন্তু ২০০৩, ২০০৪ ও ২০০৫ সালে যথাক্রমে আবিষ্ক্রৃত হল বর্তমানে বামন গ্রহ নামে পরিচিত ইরিস, হোমিয়া ও মাকিমাকি। এর মধ্যে ইরিস আবার প্লুটোর চেয়েও বড়। প্লুটোর ভর আমাদের চাঁদের চেয়েও কম! এত অযোগ্যতা মাথায় বয়ে প্লুটোর পক্ষে আর গ্রহ হিসেবে জীনব ধারণ করা সম্ভব হলো না। আন্তর্জাতিক জ্যোতির্বিজ্ঞান সমিতি ঘোষণা দিল- প্লুটো এখন থেকে ইরিস, হোমিয়া, মাকিমাকি ও সেরেসের সাথে সাথে ৫টি বামন গ্রহের একটি।
আরো পড়ুনঃ প্লুটো যেভাবে গ্রহত্ব হারালো

তাহলে গ্রহ বলা হয় কাকে? শর্ত হলো তিনটি।
১।  সূর্যের চারদিকে কক্ষপথে থেকে প্রদক্ষিণ করে চলছে।
২। নিজের অভিকর্ষ এতটা শক্তিশালী যে এতে করে এর আকৃতি গোলাকার হতে পেরেছে।
৩। এর কক্ষপথ  অন্য কোন বস্তুর হস্তক্ষেপ থেকে মুক্ত।
আচ্ছা, তাহলে সৌরজগতের বাইরে গ্রহ থাকবে কিভাবে যদি এখানে প্রথম শর্ত পূরণ করতেই হয়? আসলে সূর্য যেহেতু নিজেই একটি নক্ষত্র তাই অন্য যেকোন নক্ষত্রও গ্রহের মালিক হতে পারে- অসুবিধা নেই। অবশ্য তাদেরকে আমরা গ্রহ না বলে বহির্গ্রহ (Exoplanet) বলি।

পৃথিবীর রাতের আকাশে খালি চোখে ৫টি গ্রহ দেখা যায়- বুধ, শুক্র, মঙ্গল, বৃহস্পতি ও শনি। এদের মধ্যে শুক্র (শুকতারা) ও বৃহস্পতি যথাক্রমে রাতের আকাশের ২য় ও ৩য় উজ্জ্বল বস্তু। প্রতি মাসে শখের জ্যোতির্বিদ ফেসবুক গ্রুপে ও মহাবিশ্ব সাইটে গ্রহদের নিয়মিত আপডেট দেওয়া হয়। নিয়মিত খোঁজ রাখতে হলে আপনি এই লিংক বা এই লিংক অনুসরন করতে পারেন।
সূত্রঃ
১। ইউনিভার্স টুডে
২। ইংরেজি উইকিপিডিয়াঃ গ্রহের সংজ্ঞা
৩। আন্তর্জাতিক জ্যোতির্বিজ্ঞান সমিতি
৪। উইকিপিডিয়াঃ বহির্গ্রহ
Category: articles

শনিবার, ১৪ নভেম্বর, ২০১৫

শুকতারা আসলে সৌরজগতের ২য় এবং পৃথিবীর নিকটতম গ্রহ শুক্র। আমরা একে 'তারা' বলে ডাকলেও আসলে এটি 'তারা' নয়, গ্রহ। যাই হোক, বছরের কিছু সময় এটা থাকে সন্ধ্যার আকাশে, কিছু সময় আবার ভোরের আকাশে। এই দুই সময় একে যথাক্রমে সন্ধ্যাতারা ও শুকতারা বলা হয়। সন্ধ্যাতারা থাকে সব সময় পশ্চিম দিকে, আর শুকতারা সব সময় পূর্ব দিকে। গত কয়েক মাস এবং আগামী কিছু দিন (আগস্ট-প্রায় ডিসেম্বর, ২০১৫) এটি ভোরের আকাশে আছে।

একে চেনার উপায়ঃ 
চাঁদের পরে রাতের আকাশে এটি সবচেয়ে উজ্জ্বল বস্তু। এমনকি, রাতের আকাশের উজ্জ্বলতম নক্ষত্র 'লুব্ধক'ও এর চেয়ে অনুজ্জ্বল। গ্রহটি এতই উজ্জ্বল ও বড় দেখায় যে মাঝে মাঝে একে দূরের কোন টাওয়ারের আলো বলে মনে হয়। দেখতেও প্রায় টেনিস বলের মত বড়। তাই এমন অস্বাভাবিক বড় কোন বস্তু দেখলেই একে শুক্র গ্রহ ধরে নিলে খুব একটা ভুল হবে না। আর যেহেতু এটা পশ্চিম বা পূবাকাশেই থাকে তাই সন্ধ্যায় এটা যেদিকে থাকবে সেটাই পশ্চিম, আর ভোরে যেদিকে থাকবে সেটাই পূর্ব দিক।
আরো পড়ুন,
১। ধ্রুবতারা দেখে দিক নির্ণয়
২। সূর্য দিয়ে দিক নির্ণয় 
Category: articles

রবিবার, ১ নভেম্বর, ২০১৫

এ মাসে সংক্ষেপে জানাচ্ছি। আমরা জানি, রাতের আকাশে ৫টি গ্রহ খালি চোখে দেখা যায়- শুক্র, বৃহস্পতি, শনি, মঙ্গল ও বুধ। চলুন দেখি, এ মাসে কাদেরকে কোথায় দেখা যাবে।
নভেম্বরের ১২ তারিখের দৃশ্য
এ মাসের সন্ধ্যার একমাত্র গ্রহ শনি।
দীর্ঘ প্রায় এক বছর ধরে রাতের আকাশ উজ্জ্বল করে শনি গ্রহ এই মাসে হারিয়ে যেতে বসেছে রাতের আকাশ থেকে। বিদায় শনি! এর কারণ এ মাসের মাঝামাঝিতে এটি পৃথিবী ও সূর্যের সাথে একই রেখা বরাবর অবস্থানে চলে আসবে। ফলে এটি অস্ত যাবে সূর্যের সাথে সাথেই, এবং ক্রমান্বয়ে আগেই। এরপরে ডিসেম্বরের শেষের দিকে হাজির হবে পূবাকাশে, ভোরে সূর্যের আগেই উদিত হয়ে। এখানে একটি সহজ বিষয় মাথায় রাখা দরকার- সন্ধ্যার পশ্চিমাকাশ থেকে কোন গ্রহ হারিয়ে যাবার কিছু দিন পরেই এটি ভোরের পূবাকাশে হাজির হয়। কারণ, সন্ধ্যার আকাশ থেকে হারায় তখনি যখন ভোরে এটি সূর্যের সাথে বা আগেই উদিত হয় এবং পরিণামে যুগপৎ বা আগেই অস্ত যায়।
তবে শনির উল্টো ঘটনা ঘটবে বুধের ক্ষেত্রে- এটি ১৭ তারিখে ভোরের আকাশ থেকে সন্ধ্যার আকাশে ফিরে আসবে। অবশ্য এটি খুবই অনুজ্জ্বল। অন্য দিকে শুক্র, বৃহস্পতি ও মঙ্গল থাকবে ভোরের আকাশেই।
মাসের শুরুর দিকে ভোরের ২/৩ ঘণ্টা আগে বৃহস্পতির উদয় ঘটলেও দিন গড়াতে গড়াতে মাসের শেষের দিকে এর উদয় ঘটবে মধ্য রাতের পরেই। আর এক্ষেত্রে অন্য সবার চেয়ে এই গ্রহটি এগিয়ে থাকবে।
সূত্রঃ
১। আর্থ স্কাই
Category: articles

জ্যোতির্বিজ্ঞান পরিভাষা: জেনে নিন কোন শব্দের কী মানে

এখানে সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যাসহ জ্যোতির্বিদ্যায় প্রয়োজনীয় পরিভাষাগুলোর তালিকা দেওয়া হলো। সাজানো হয়েছে অক্ষরের ক্রমানুসারে। এই তালিকা নিয়মিত আপডেট...