Advertisement

সোমবার, ২৮ মার্চ, ২০১৬

[মার্চের শেষ সপ্তাহ] 

কিছু দিন সূর্যের আড়ালে থেকে আবার আবির্ভূত হতে শুরু করেছে সামার ট্রায়াঙ্গেল। একে এখন ভোরের পূবাকাশে দেখা যায়। 


ছবিতে সামার ট্র্যায়াঙ্গেল বা গ্রীষ্মের ত্রিভুজ দেখা যাচ্ছে। এখানে আছে আকাশে অন্যতম উজ্জ্বল তিনটি নক্ষত্র। এরা হল যথাক্রমে বীণামণ্ডলীর নক্ষত্র অভিজিৎ (Vega), ঈগলমণ্ডলীর শ্রবণা (Altair) এবং বকমণ্ডলীর নক্ষত্র পুচ্ছ (Deneb)।


সামার ত্রিভুজ আকাশের তারাদের একটি নকশা হলেও এটি তারামণ্ডলী নয়, বরং  তারানকশা
গরমের দিনগুলোতে (মে-জুন মাসের দিকে) এটি মধ্য রাতে মোটামুটি মাথার উপর থাকে। বসন্ত কালে (যেমন এখন) এটি থাকে ভোরের আকাশে। আস্তে আস্তে পশ্চিমে হেলতে হেলতে নভেম্বর মাসের দিকে এটি থাকে সন্ধ্যার পশ্চিমাকাশে। আগস্টের শুরুতে রাত নয়টার দিকে থাকে প্রায় মাথার সোজা উপরে। 

Category: articles

বৃহস্পতিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

এ মাসের আকাশের সেরা দৃশ্য দেখতে হলে আজকে আকাশ মিস করা উচিত হবে না।
কারণ, আজকে চাঁদ মামা বসে আছে উইন্টার সার্কেলের ভেতরে। আকাশের অন্যতম ৬টি উজ্জ্বল তারকা মিলে তৈরি এই অ্যাসটারিজমটিকে উইন্টার হেক্সাগন বা শীতের ষড়ভুজও বলে। সামার ট্রায়াঙ্গেল যেমন শীতের শুরুতেও দেখা যায়, তেমনি উইন্টার সার্কেলও শীতের পরেও আকাশে সৌন্দর্য্য বিকিরণ করা চালিয়ে যেতে থাকে।
চাঁদ ও উইন্টার সার্কেল/হেক্সাগন

উইন্টার সার্কেলের অন্যতম নক্ষত্র রিগেল আবার আদম সুরতের অংশ। আপনি আদম সুরত বা কালপুরুষ চিনে ফেললে উইন্টার সার্কেল সহজেই চিনতে পারবেন। 
রাতের আকাশের উজ্জ্বলতম নক্ষত্র লুব্ধকও আছে এখানেই। 
Category: articles

সোমবার, ৮ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

লুব্ধক (Sirius) রাতের আকাশের সবচেয়ে উজ্জ্বল নক্ষত্র। কিন্তু লুব্ধককে কীভাবে খুঁজে পাব? লুব্ধক আকাশের কোন দিকে থাকে? কোন মাসে বা ঋতুতে একে ভালো দেখা যায়?
লুব্ধককে খুঁজে পেতে হলে তার আগে খুঁজে নিতে হবে আদম সুরত বা কালপুরুষ তারামণ্ডলীটিকে। খুশির খবর হচ্ছে, আদম সুরত হচ্ছে সেই সব তারামণ্ডলীর মধ্যে অন্যতম যাদেরকে সহজেই খুঁজে পাওয়া যায়।

 তারামণ্ডলীর পরিচয়

বছরের বিভিন্ন মাসের মধ্যে মে, জুন, জুলাই- এই তিন মাস আদম সুরত ও লুব্ধক সূর্যের কাছাকাছি সময়ে অস্ত যায় বলে এ মাসগুলোতে এদেরকে দেখা যায় না। আগস্টের দিকে ভোরের পূর্ব আকাশে এরা পুনরায় দেখা দিতে শুরু করে। প্রতি দিন প্রায় চার মিনিট আগে আগে এরা উদিত হয়। ফলে জানুয়ারি থেকে এপ্রিল মাসে এদেরকে সন্ধ্যার আকাশেই খুব সহজে চোখে পড়ে। এপ্রিল মাসে সন্ধ্যায় এরা থাকে পশ্চিম আকাশে। তার একটু পরেই ডুবে যায়।

আদমসুরত ও লুব্ধক

তবে লুব্ধক খুঁজে পাবার সেরা সময় হিসেবে আপনি ফেব্রুয়ারি মাসকে বাছাই করতে পারেন। এ সময় রাত নয়টার দিকে এটি সোজা দক্ষিণ আকাশে থাকবে, মাথার খাড়া উপর থেকে কিছুটা নিচে।
কতটা নিচে?

এটা বুঝতে হলে আপনাকে বিষুবলম্ব বুঝতে হবে। এটা না বুঝেও বের করা সম্ভব। তাই বেশি গভীরে যেতে না চাইলে বাকি অংশ না পড়লেও চলবে। লুব্ধকের বিষুব লম্ব হচ্ছে প্রায় (-১৭) ডিগ্রি। অর্থ্যাৎ, বাংলাদেশ থেকে দেখতে হলে মাথার খাড়া উপর থেকে (২৩+১৭) = ৪০ ডিগ্রি দক্ষিণে যেতে হবে।

উজ্জ্বল তারাদের গল্প

এছাড়াও বিভিন্ন গ্রহ ও নক্ষত্রদের খুঁজে পাবার ব্যাপারে নিয়মিত আপডেট পেতে এই দুটি লিঙ্ক ফলো করুন
Category: articles

রবিবার, ৭ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬





শীতের আকাশে উজ্জ্বল তারাদের আধিপত্য একটু বেশিই থাকে। রাতের আকাশের অন্যতম সহজে খুঁজে পাওয়া তারামণ্ডলী আদম সুরত। এর ইংরেজি নাম Orion এবং আরেকটি বাংলা নাম কালপুরুষ। এতেই আছে দুটি টপ টেনের মধ্যে থাকা উজ্জ্বল নক্ষত্র। একটি হচ্ছে উজ্জ্বলতার দৌড়ে সপ্তম রিগেল এবং অপরটি নবম স্থানে থাকা বিটলজুস (Betelgeuse) বা বাংলায় আর্দ্রা।

মজার ব্যাপার হচ্ছে, এই আদম সুরতই আপনাকে অন্য উজ্জ্বল তারকাগুলো চিনিয়ে দেবে।
আদমের কোমরের তিনটি তারাকে যোগ করে দক্ষিণে যেতে থাকলে পেয়ে যাবেন রাতের আকাশের উজ্জ্বলতম নক্ষত্র লুব্ধক (Sirius)।

অন্য দিকে তিনটি তারা যোগ করে উল্টো দিকে মানে উত্তরে গেলে পাবেন বৃষরাশির উজ্জ্বলতম নক্ষত্র আলডেবারান।

Category: articles

মঙ্গলবার, ২ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

এক সাথে পাঁচটি গ্রহ- বুধ, শুক্র, মঙ্গল, বৃহস্পতি ও শনি দেখার সবচেয়ে ভালো সুযোগ এ মাসের প্রথম সপ্তাহটি। গত মাসের ২০ তারিখে শুরু হওয়া এই সুযোগটি চলবে এ মাসেও (২০ তারিখ নাগাদ)। প্রথম সপ্তাহে এদের আশেপাশে চাঁদের অবস্থান রাতের আকাশের সৌন্দর্য্য আরো বাড়িয়েই তুলবে। চাঁদের সাথে মঙ্গলের দেখা ২ তারিখে, শনির ৪ তারিখে, শুক্রের ৬ তারিখে এবং বুধের সাথে দেখা ৭ তারিখে। চলুন বিস্তারিত দেখি!
ফেব্রুয়ারি মাসের ২ তারিখে গ্রহদের আপাত অবস্থান

বুধঃ
জানুয়ারির শেষের সপ্তাহে বুধ গ্রহ সূর্যোদয় থেকে দূরে সরে এসে অন্য দৃশ্যমান গ্রহদের মিছিলে যোগ দেয়। এ মাসের ৬, ৭ তারিখে এটি থাকবে চাঁদের খুব কাছে। মাসের ৭ তারিখের আশেপাশের দিনগুলো বুধ গ্রহ দেখার সেরা সময়। সূর্যের প্রায় ৮০ মিনিট আগেই এ সময়গুলোতে বুধ ভোরের পূবাকাশে তার অস্তিত্ব জানান দেবে। মাসের ১১ তারিখ থেকে ১৫ তারিখ এটি শুক্রের খুব কাছে থাকবে।
মার্চ মাসের ২৩ তারিখে এটি আবার চলে যাবে সন্ধ্যার আকাশে। উল্লেখ্য, এই গ্রহটিই সবচেয়ে বেশি ভোর ও সন্ধ্যার আকাশে আসা-যাওয়া করে।
বুধ ও শুকতারা


শুক্রঃ
এ মাসে শুক্রের অবস্থান অপর দুই গ্রহ বুধ ও শনির মাঝখানে। গত মাসেই শনি এর উপরে চলে এসেছিল। রাতের আকাশের জনপ্রিয় বস্তু শুকতারা এ মাসে দ্রুত সূর্যের কাছাকাছি হচ্ছে। মাসের শুরুতে এটি সূর্যের ২ ঘণ্টা আগে উদিত হলেও মাসের শেষের দিকে পূবাকাশে দেখা দিতে দিতে সূর্যোদয়ের এক ঘণ্টা বাকি থাকবে। মাসের ৬ তারিখে এটি থাকবে চাঁদের কাছে। মাসের ১১ থেকে ১৫ তারিখে এটি বুধের এত কাছে থাকবে যে দুজনকে এক সাথে বাইনোকুলারে দেখা যাবে।
চাঁদ, বুধ ও শুক্র

বৃহস্পতিঃ
ইদানিং রাতের আকাশে সবার আগে উপস্থিত হয় বৃহস্পতি। মধ্য রাতের আগেই শুভকাজটি সেরে ফেলে গ্রহরাজ। অন্য দিকে মাসের শেষের দিকে এটি সূর্যাস্তের একটু পরেই (প্রায় দেড় ঘণ্টা) পূর্ব আকাশে দেখা দেবে। এ মাসে মঙ্গল ও বৃহস্পতি দুজনেই বেশ উর্ধ্বাকাশে (দিগন্ত থেকে অনেক উপরে) থাকবে। ২৩ ও ২৪ ফেব্রুয়ারি তারিখে বৃহস্পতি থাকবে চাঁদের খুব কাছাকাছি।
 

মঙ্গলঃ
বৃহস্পতি বা শুক্রের মত এতটা উজ্জ্বল না হলেও এ মাসে মঙ্গলকে খুব সহজে দেখা যাবে। এ মাসে এর অবস্থান শনি ও বৃহস্পতির মাঝখানে। কন্যামণ্ডলীর উজ্জ্বলতম নক্ষত্র চিত্রা (Spica) এ মাসে এর কাছাকাছি থাকলেও মঙ্গলের লাল রঙ একে চিনতে সুবিধা করে দেবে। খালি চোখে অসুবিধা হলে বাইনোকুলার ঠিকই দুইয়ে দুইয়ে চার মিলিয়ে দেবে। এ বছরে আগস্টের সন্ধ্যার আকাশে মঙ্গল ও শনি খুব কাছাকাছি থাকবে। আগামী কয়েক মাস মঙ্গল ক্রমেই উজ্জ্বল হতে থাকবে এবং মে মাসে এটি উজ্জ্বলতার শীর্ষে পৌঁছে বৃহস্পতির সাথেও টেক্কা দেবে যেখানে শুক্রের পরে ২য় উজ্জ্বল গ্রহের তিলক বৃহস্পতির কপালে। 
চাঁদ ও মঙ্গল গ্রহ

শনিঃ
পুরো মাস জুড়ে শনি থাকবে ভোরের গ্রহ। মাসের শুরুতে এটি সূর্যোদয়ের ৪ ঘণ্টা ও মাসের শেষের দিকে ৫ ঘণ্টা আগে উদিত হবে। মাসের ৪ তারিখে চাঁদের সাথে অবস্থান একে খুঁজে পেতে ভূমিকা পালন করবে। এটিই সৌরজগতের সবচেয়ে দূরের বস্তু যা আমরা খালি চোখে দেখতে পাই। 
তো! দেখতে থাকুন! 
Category: articles

সোমবার, ১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

শুক্র গ্রহের একটি অন্যতম ডাক নাম শুকতারা। অন্য দিকে একে সন্ধ্যাতারাও বলা হয়। অথচ বেচারা মোটেই তারা বা নক্ষত্র নয়, সৌরজগতের একটি গ্রহ মাত্র। ইংরেজিতেও একে ভুল করে star বলা হয়- যথাক্রমে Morning star ও Evening star। কিন্তু নক্ষত্র বা তারা না হওয়া সত্ত্বেও একে কেন তারা বলা হয়? এর তো নিজস্ব আলো নেই। এটিও চাঁদের মতই সূর্যের আলোই প্রতিফলিত করে।
ভোরের আকাশে শুকতারার ছবি 

শুক্র গ্রহ পৃথিবীর চেয়ে সূর্যের নিকটে থাকায় এর কক্ষপথ পৃথিবীর চেয়েও ভেতরের দিকে। এ কারণে, বুধের মতই এটিও সব সময় সূর্যের কাছাকাছি অবস্থান করে। পৃথিবীর আকাশে এটি যখন সূর্যের পেছনে থাকে (সূর্যের পরে উদয়-অস্ত ঘটার কারণে), তখন সূর্যাস্তের পরেই পশ্চিমাকাশে এটি উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। সবচেয়ে বেশি উজ্জ্বল থাকার সময়গুলোতে এটি সূর্য ডোবার কয়েক মিনিট পরেই দৃশ্যমান হয়ে ওঠে। এ সময় একে আমরা সন্ধ্যাতারা বলি (Evening star)।
অন্য দিকে, এটি পৃথিবীর আকাশে সূর্যের চেয়ে এগিয়ে থাকলে এটি সূর্যের আগেই অস্ত যায়। এ সময় একে সন্ধ্যার আকাশে দেখা যায় না। কিন্তু সূর্যের আগে অস্ত গিয়েছে এ কারণেই যে এটি আসলে ভোরে উদিতও হয়েছিল সূর্যের আগে। ফলে, এই সময়গুলোতে একে ভোরের আগে পূবাকশে দেখা যায়। সূর্য উদিত হয়ে এর আলোতে মিলিয়ে যায় এর আলো। এ অবস্থায় একে আমরা বলি সন্ধ্যাতারা।

প্রাচীন গ্রিকরা শুকতারা ও সন্ধ্যাতারাকে দুটি আলাদা বস্তু মনে করত। তারা এদেরকে যথাক্রমে ফসফোরস (Phosphoros) ও হেসপেরোস (Hesperos) নাম দিয়েছিল। প্রথমটির অর্থ আলো আনয়নকারী ও সন্ধ্যার তারা। কয়েকশো বছর পরে তারা বুঝতে পারে যে, এরা দুজন আসলে একই বস্তু।
সূত্রঃ
১। ইউনিভার্স টুডে
Category: articles

বৃহস্পতিবার, ২৮ জানুয়ারী, ২০১৬

সৌরজগতের গ্রহগুলোর মধ্যে রাতের আকাশে খালি চোখে দেখা যায় ৫টি- বুধ, শুক্র (শুকতারা), মঙ্গল, বৃহস্পতি ও শনি। এই বছর এক মাস যাবত (জানুয়ারির ২০ থেকে ফেব্রুয়ারির ২০) এদের সবাইকে একত্রে ভোরের আকাশে দেখা যাচ্ছে। এটা দারুণ একটি দৃশ্য। এর আগে সর্বশেষ এই সুন্দর দৃশ্যের অবতারণা হয়েছিল ২০০৪ সালের ডিসেম্বরে। সে এক যুগ আগের কথা।
দৃশ্যমান এই গ্রহদের মধ্যে সবার আগে রাতের আকাশে হাজির হচ্ছে বৃহস্পতি। মধ্য রাতের কাছাকাছি সময়। দিন গড়াবার সাথে সাথে আগের দিনের চেয়ে আগে। মধ্য রাতের পরে হাজির হবে মঙ্গল। এর পর একে একে হাজির হবে শনি, শুক্র ও বুধ। বুধ অবশ্যই সবার শেষে। কারণ, বেচারা সব সময় সূর্যের কাছাকাছি থাকে।
কখন আবার সব গ্রহকে এক সাথে দেখা যাবে?
খুশির খবর হচ্ছে এ বছরই! সাথে দুঃখের খবর হচ্ছে, অফারটা খুবই সংক্ষিপ্ত! আগস্টের ১৩ থেকে ১৯- তাও উত্তর গোলার্ধের আকাশ সেই দৃশ্য দেখার জন্য খুব একটা সুবিধার জায়গা নয়।



Category: articles

মঙ্গলবার, ২৬ জানুয়ারী, ২০১৬

আজ রাতে চাঁদ ও বৃহস্পতি দারুণ একটি দৃশ্য উপহার দিচ্ছে। ছবিতে এই দৃশ্যের সৌন্দর্য্য তুলে ধরা কঠিন। বিশ্বাস না হলে একবার জানালা দিয়ে উঁকে মেরে দেখুন। না দেখা গেলে সম্ভব হলে ছাদে চলে যান। 
Category: articles

বৃহস্পতিবার, ২১ জানুয়ারী, ২০১৬

এ মাসে গ্রহরা দারুণ একটি প্রদর্শনী উপহার দিচ্ছে। জানুয়ারির ২০ তারিখ থেকে এক মাসের জন্যে সবাই একত্রে ভোরের পূবাকাশে থাকবে। কে কখন কোথায় থাকবে, চলুন জেনে নিই।
শুক্র, শনি ও মঙ্গলের অবস্থান (২১ জানুয়ারি, ভোর ৫ঃ৫০, পূর্ব আকাশ) 

বুধ (Mercury): মাসের শুরুর দিকে পশ্চিমাকাশে থাকবে। এ সময় একে আমাদের উত্তর গোলার্ধ থেকে দেখা যাবে। মাসের ১৪ তারিখে বুধ (Mercury) সুর্য ও পৃথিবীর সাথে একই রেখা বরাবর অবস্থান করবে। এই অবস্থানকে অন্তঃসংযোগ (Inferior Conjunction) বলে। অন্তঃসংযোগ শুধু পৃথিবী ও সূর্যের মাঝে অবস্থিত দুইটি গ্রহ- বুধ এবং শুক্রের পক্ষেই সম্ভব। অন্য গ্রহরা পৃথিবী ও সূর্যের সাথে একই রেখায় আসলে বহিঃসংযোগ (Superior Conjuction) ঘটে।
উক্ত তারিখের পর গ্রহটি পূবাকাশে পাড়ি জমাবে। এ সময় অবশ্য এটি দক্ষিণ গোলার্ধ থেকে দেখা সহজতর হবে।
শুক্র (Venus): এ মাসেরও পুরোটা সময় এটি ভোরের পূবাকাশে  থাকবে। মাসের শুরুর দিকে শনি এর খুব কাছাকাছি থাকবে। মাসের ১০ তারিখে শনি শুক্রের উপরে উঠে আসবে। মাসের শুরুর দিকে এটি সূর্যের ৩ ঘন্টা আগে ও শেষের দিকে ২ ঘণ্টা আগে ভোরের পূবাকাশে দেখা দেবে।
বৃহস্পতিঃ
ইদানিং এই গ্রহটি সবার আগে রাতের আকাশে হাজির হয়। মাসের শুরুর দিকে মধ্য রাতের আগেই উদিত হবে। দিন গড়াবার সাথে সাথে উদয়কাল নেমে আসবে ৯টার দিকে।
মঙ্গলঃ
এর অবস্থান থাকবে বৃহস্পতি ও শুক্রের মাঝে। কাছাকাছি অবস্থানে চিত্রা (Spica) নক্ষত্রও থাকবে। কিন্তু গ্রহটির লাল আলো একে আলাদাভাবে চিহ্নিত করতে সুবিধা করে দেবে। আগামী মে মাসে এটি সবচেয়ে উজ্জ্বল হবে। অবিশ্বাস্য হলেও এটি তখন বর্তমান অবস্থায় বৃহস্পতির উজ্জ্বলতার সমান হবে।
শনিঃ
মাসের শুরুতে এটি দেখা যাবে সূর্যের ২ ঘণ্টা আগে। মাস শেষ হতে হতে এই সময় হয়ে যাবে ৪ ঘণ্টা।


সূত্রঃ
১। স্পেইস ডট কম
২। Earth Sky
Category: articles

জ্যোতির্বিজ্ঞান পরিভাষা: জেনে নিন কোন শব্দের কী মানে

এখানে সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যাসহ জ্যোতির্বিদ্যায় প্রয়োজনীয় পরিভাষাগুলোর তালিকা দেওয়া হলো। সাজানো হয়েছে অক্ষরের ক্রমানুসারে। এই তালিকা নিয়মিত আপডেট...