Advertisement

বৃহস্পতিবার, ৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

এক্স-রে (নীল) ও রেডিও (লাল) ডেটার সমন্বয়ে প্রস্তুত ছবি। ছবিটি বড় করে দেখতে এখানে ক্লিক করুন। 
ছবিতে দূর মহাকাশের একটি গ্যালাক্সির কেন্দ্রে অবস্থিত ব্ল্যাক হোলের ৩ লাখ আলোকবর্ষ ব্যাপী ছড়িয়ে পড়া নিক্ষিপ্ত কণার একটি বিশাল ফোয়ারা (jet) দেখা যাচ্ছে। 
পিকটর এ (Pictor A) নামক গ্যালাক্সির কেন্দ্রে থাকা ব্ল্যাক হোলের প্রভাবে সৃষ্ট এই ফোয়ারার ছবিটি নাসা গত ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ তারিখে প্রকাশ করেছে। গ্যালাক্সিটি পৃথিবী থেকে ৫০ কোটি আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত। ব্ল্যাক হোলে পতনশীল বস্তুর প্রভাবে বাইরের দিকে কণিকার বিশাল প্রবাহ বা ফোয়ারা নিক্ষিপ্ত হচ্ছে যা প্রায় আলোর বেগে ছড়িয়ে পড়ছে আন্তঃছায়াপথীয় (Intergalactic) স্থানে। ছবিটি পেতে নাসার চন্দ্রা এক্স-রে অবজারভেটরি ১৫ বছর ধরে কাজ করে গিয়েছে। চন্দ্রার এক্স-রে ডেটার (নীল) সাথে অস্ট্রেলিয়া টেলিস্কোপ কমপ্যাক্ট অ্যারে এর রেডিও ডেটা (লাল) সমন্বয় করে প্রস্তুত করা হয় ছবিখানা। 
পিকটর এ গ্যালাক্সির কেন্দ্র থেকে এই ফোয়ারা অবিরত ছড়িয়ে পড়ছে ৩ লাখ আলোকবর্ষ পর্যন্ত। উল্লেখ্য, আমাদের মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সিরই ব্যাস মাত্র ১ লাখ আলোকবর্ষ। 
গবেষকরা বলছেন, ছবির ডান দিকে যেমন একটি ফোয়ারা দেখা যাচ্ছে, তেমনি এর বিপরীত দিকে আরেকটি ফোয়ারা কাজ করছে, যাকে বলা হচ্ছে প্রতি-ফোয়ারা (counterjet)। এর আগেও প্রতি ফোয়ারার অস্তিত্ব সম্পর্কে ধারণা করা হয়েছিল। তবে, এবারে এর নিশ্চিত প্রমাণ পাওয়া গেল। পৃথিবী থেকে উল্টো দিকে অবস্থিত হওয়াতে সম্ভবত প্রতি-ফোয়ারাকে অনুজ্জ্বল দেখাচ্ছে। 
ছবিতে আরো দেখা যাচ্ছে রেডিও লোব, যেখানে ফোয়ায়ার ধাক্কায় পাশ্ববর্তী গ্যাসে শক ওয়েভজনিত হটস্পট তৈরি হচ্ছে। ফোয়ারার মাথায় অবস্থিত এই হটস্পট অনেকটা সুপারসনিক বিমানের সনিক বুমের মত। 
চন্দ্রার ছবিতে দেখা ফোয়ারা ও প্রতি-ফোয়ারা সম্ভবত চৌম্বকক্ষেত্র রেখার চারপাশে ঘূর্ণনরত ইলেকট্রনের প্রভাবে তৈরি হচ্ছে। এই প্রক্রিয়াটির নাম সিনক্রোট্রন এমিসন (synchrotron emission)। এই ক্ষেত্রে বাইরের দিক নির্গত ইলেকট্রনকে অবশ্যই প্রতি মুহূর্তে বেগ বৃদ্ধি করতে হয়। এটা কিভাবে ঘটে তা এখনো বিজ্ঞানীদের ভালো জানা নেই। এই ফলাফলগুলোর বিবরণ দিয়ে একটি পেপার রয়েল অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটির মাসিক প্রকাশনায় স্থান পাচ্ছে।
সূত্রঃ
১। Earth Sky
Category: articles

শুক্রবার, ২২ জানুয়ারী, ২০১৬

সূর্যের নিকটতম নক্ষত্র প্রক্সিমা সেন্টোরি 

সূর্যের নিকটতম নক্ষত্রের কি গ্রহ আছে? কেউ জানে না। তবে খোঁজ চলছে পুরোদমে। আপনি চাইলে ইউরোপিয়ান সাউদার্ন অবজারভেটরির (ESO) এই অনুসন্ধানের নিয়মিত খোঁজ রাখতে পারেন। আলফা সেন্টোরি গ্রুপের নক্ষত্রদের মধ্যে প্রক্সিমা সেন্টোরি আমাদের সবচেয়ে কাছাকাছি। এই নক্ষত্র থেকে পৃথিবীতে আলো আসতে মাত্র ৪.২৪ বছর লাগে। 

ছোট্ট এই লাল তারকাটি অনেক অনুজ্জ্বল৷ আবিষ্কৃত হয়েছে মাত্র ১৯১৫ সালে৷ তাও খালি চোখে নয়,  টেলিস্কোপের চোখে। মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সিতে থাকা আরও বহু দূরের তারকাও খালি চোখে দেখা যায়। একই গ্রুপের নক্ষত্র আলফা সেন্টোরি কিন্তু রাতের আকাশের ৩য় উজ্জ্বল তারকা। এর সাথে সূর্যের ভালো মিলও আছে বটে। এই বছরের শুরু থেকে ইএসও এই নক্ষত্রে গ্রহের সন্ধান করছে। দেখা যাক!

সূত্র
১। নাসা: আজকের মহাকাশ ছবি
Category: articles

মঙ্গলবার, ১ ডিসেম্বর, ২০১৫

আজকের ছবিঃ এনজিসি ৩৫২১ (NGC 3521) নামক সর্পিল গ্যালাক্সির কেন্দ্র
বিবরণঃ চিত্রে প্রদর্শিত বিপুল পরিমাণ তারকা, গ্যাস ও ধূলিকণার বাস একটি প্রতিবেশী গ্যালাক্সিতে। গ্যালাক্সিটির অবস্থান সিংহ তারামণ্ডলীতে এবং দূরত্ব সাড়ে তিন কোটি আলোকবর্ষ। ৫০ হাজার আলোকবর্ষ অঞ্চল জুড়ে অবস্থান করা গ্যালাক্সিটির কেন্দ্রীয় অংশই শুধু চিত্রে দেখা যাচ্ছে। পৃথিবীর আকাশে অপেক্ষাকৃত উজ্জ্বল এই গ্যালাক্সিটি ছোটখাট টেলিস্কোপের লেন্সেও ধরা পড়ে।
সূত্রঃ
১। নাসা
Category: articles

রবিবার, ২৯ নভেম্বর, ২০১৫

আজকের ছবিঃ মঙ্গলের বালির পাহাড়
বিবরণঃ দেখতে হয়ত গাছের মত লাগছে, কিন্তু আসলে তা নয়। মঙ্গল গ্রহের উত্তর মেরু থেকে ২০০৮ সালের এপ্রিলে এই ছবিটি তুলেছে মার্স রিকনয়সেন্স অরবিটার (MRO)। উল্লেখিত তারিখে মঙ্গলের বসন্তের সূর্য কার্বন ডাই অক্সাইডের বরফ গলিয়ে বালির পাহাড়কে অবমুক্ত করে দিয়েছে।

সূত্রঃ
১। নাসা এ্যাপড
Category: articles

জ্যোতির্বিজ্ঞান পরিভাষা: জেনে নিন কোন শব্দের কী মানে

এখানে সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যাসহ জ্যোতির্বিদ্যায় প্রয়োজনীয় পরিভাষাগুলোর তালিকা দেওয়া হলো। সাজানো হয়েছে অক্ষরের ক্রমানুসারে। এই তালিকা নিয়মিত আপডেট...