একটি গল্প দিয়েই শুরু করা যাক। দুই বন্ধু ইকরাম ও রিফাত ভ্রমন করতে খুবই পছন্দ করে। ইকরাম একজন ভালো ফটোগ্রাফার আর রিফাত বেশ সাহসী। তো, একদিন তারা আমেরিকার ইয়েলোস্টোন ন্যাশনাল পার্কে ঘুরতে গেল। ইকরাম প্রকৃতির ছবি তুলতেছিলো, তখন রিফাত পানির একটি রিজার্ভারের সামনে দাঁড়িয়ে বলল, 'দোস্ত, আমার একটা ছবি তোল।'
ইকরাম ক্যামেরা ফোকাস করে যখনি ক্যাপচারিং বাটনে ক্লিক করবে তখনি রিফাতের পাশে মাটি থেকে হঠাৎ ধোঁয়া বের হতে দেখল। আর, অমনি চিৎকার করে উঠল। রিফাত তাকে সান্তনা দিয়ে বলল, 'শোন, বাচ্চা ছেলের মত ভয় পাস না, বরং দেখি কী ঘটে?
তারপর মাটি ফেটে তীব্র বেগে উর্ধমূখে পানি বের হতে লাগল। আশ্চর্য হয়ে গেল ওরা। আর একসাথে বলে উঠল "দারুণ তো!"।
আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই। এরই নাম আসলে গেইসার।
গেইসার হল ভূ-অভ্যন্তর থেকে উৎক্ষিপ্ত গরম পানি বা বাষ্প। জলভূতাত্ত্বিক (Hydrogeological) কারণে পৃথিবীর পাতলা ভূ-ত্বক ভেদ করে এটি বেরিয়ে আসে। পিচকারি বা ফোয়ারার মতো উর্ধ্বমুখী হয়ে বিস্ফোরণের আকারে নির্দিষ্ট সময় পরপর বেরিয়ে আসে। উচ্চতা হয় সর্বোচ্চ ২০০ ফুট পর্যন্ত। স্থায়িত্ব হয় সর্বোচ্চ ১০ মিনিট।
এটি একটি বিরল ঘটনা। বর্তমানে পৃথিবীব্যাপী প্রায় ১০০০ গেইসার আছে। আমেরিকার Yellowstone National Park এ আছে প্রায় ৪৬৫ টি সক্রিয় গেইসার। এখানেই পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ওল্ড ফেইথফুল গেইসার সক্রিয়। এটি থেকে প্রতি ৩৫-১২০ মিনিট পর পর প্রায় ১.৫- ৫ মিনিট ধরে প্রস্রবণ ১০৬-১৮৫ ফুট পর্যন্ত উৎক্ষিপ্ত হয়।
এছাড়া রাশিয়ার Dolina Geiserov, চিলির El Tatio, নিউজিল্যান্ডের Taupo Volcanic Zone আইসল্যান্ডের পুরো অঞ্চলের গেইসার উল্লেখযোগ্য।
গেইসার সৃষ্টির প্রক্রিয়া :
তিনটি ভূতাত্বিক কারণে গেইসার তৈরী হয়ঃ-
১. প্রচন্ড তাপ:
ভূ-অভ্যন্তরে প্রচণ্ড তাপ সৃষ্টিকারী পদার্থ যেমন গরম শিলা, ম্যাগমা ইত্যাদির উপস্থিতি গেইসার সৃষ্টির জন্য অপরিহার্য। এজন্য আগ্নেয়গিরি প্রবণ এলাকায় এটি ঘটে থাকে।
২. পানির উপস্থিতি:
পৃথিবীর পৃষ্ঠে বড় ধরনের পানির রিজার্ভার এর উপস্থিতিতে অভিকর্ষের টানে পৃথিবীর ২০০০ মিটার পর্যন্ত পানি নিচে নেমে প্রচণ্ড তাপের সংস্পর্শে আসা অপরিহার্য।
৩. পাতলা ভূত্বক ও জলনির্গমন প্রণালী:
পানি গরম হয়ে ঊর্ধমুখী চাপে জলনির্গমন পথে (conduit) বের হওয়ার জন্য ভূত্বক পাতলা হওয়া প্রয়োজন।
গরম পানি চারটি ধাপে উৎক্ষেপিত হয় :
১. গরম পানি হতে বাষ্প বের হওয়া
২. টগবগানো পানি ঊর্ধমুখে স্ফীত হওয়া (একটি পানি বুদবুদের মতো অবস্থা, যেটির যেকোনো সময় ফেটে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে)
৩. পাতলা ভূপৃষ্ঠ ভেঙ্গে যাওয়া
৪. পানি তীব্র বেগে উর্ধমুখে স্প্রে হওয়া
সূত্র: উইকিপিডিয়া, ইউটিউব
ইকরাম ক্যামেরা ফোকাস করে যখনি ক্যাপচারিং বাটনে ক্লিক করবে তখনি রিফাতের পাশে মাটি থেকে হঠাৎ ধোঁয়া বের হতে দেখল। আর, অমনি চিৎকার করে উঠল। রিফাত তাকে সান্তনা দিয়ে বলল, 'শোন, বাচ্চা ছেলের মত ভয় পাস না, বরং দেখি কী ঘটে?
তারপর মাটি ফেটে তীব্র বেগে উর্ধমূখে পানি বের হতে লাগল। আশ্চর্য হয়ে গেল ওরা। আর একসাথে বলে উঠল "দারুণ তো!"।
গেইসার |
আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই। এরই নাম আসলে গেইসার।
গেইসার হল ভূ-অভ্যন্তর থেকে উৎক্ষিপ্ত গরম পানি বা বাষ্প। জলভূতাত্ত্বিক (Hydrogeological) কারণে পৃথিবীর পাতলা ভূ-ত্বক ভেদ করে এটি বেরিয়ে আসে। পিচকারি বা ফোয়ারার মতো উর্ধ্বমুখী হয়ে বিস্ফোরণের আকারে নির্দিষ্ট সময় পরপর বেরিয়ে আসে। উচ্চতা হয় সর্বোচ্চ ২০০ ফুট পর্যন্ত। স্থায়িত্ব হয় সর্বোচ্চ ১০ মিনিট।
এটি একটি বিরল ঘটনা। বর্তমানে পৃথিবীব্যাপী প্রায় ১০০০ গেইসার আছে। আমেরিকার Yellowstone National Park এ আছে প্রায় ৪৬৫ টি সক্রিয় গেইসার। এখানেই পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ওল্ড ফেইথফুল গেইসার সক্রিয়। এটি থেকে প্রতি ৩৫-১২০ মিনিট পর পর প্রায় ১.৫- ৫ মিনিট ধরে প্রস্রবণ ১০৬-১৮৫ ফুট পর্যন্ত উৎক্ষিপ্ত হয়।
এছাড়া রাশিয়ার Dolina Geiserov, চিলির El Tatio, নিউজিল্যান্ডের Taupo Volcanic Zone আইসল্যান্ডের পুরো অঞ্চলের গেইসার উল্লেখযোগ্য।
পৃথিবী জুড়ে গেইসারের বিস্তৃতি
|
গেইসার সৃষ্টির প্রক্রিয়া :
তিনটি ভূতাত্বিক কারণে গেইসার তৈরী হয়ঃ-
১. প্রচন্ড তাপ:
ভূ-অভ্যন্তরে প্রচণ্ড তাপ সৃষ্টিকারী পদার্থ যেমন গরম শিলা, ম্যাগমা ইত্যাদির উপস্থিতি গেইসার সৃষ্টির জন্য অপরিহার্য। এজন্য আগ্নেয়গিরি প্রবণ এলাকায় এটি ঘটে থাকে।
২. পানির উপস্থিতি:
পৃথিবীর পৃষ্ঠে বড় ধরনের পানির রিজার্ভার এর উপস্থিতিতে অভিকর্ষের টানে পৃথিবীর ২০০০ মিটার পর্যন্ত পানি নিচে নেমে প্রচণ্ড তাপের সংস্পর্শে আসা অপরিহার্য।
৩. পাতলা ভূত্বক ও জলনির্গমন প্রণালী:
পানি গরম হয়ে ঊর্ধমুখী চাপে জলনির্গমন পথে (conduit) বের হওয়ার জন্য ভূত্বক পাতলা হওয়া প্রয়োজন।
গরম পানি চারটি ধাপে উৎক্ষেপিত হয় :
১. গরম পানি হতে বাষ্প বের হওয়া
২. টগবগানো পানি ঊর্ধমুখে স্ফীত হওয়া (একটি পানি বুদবুদের মতো অবস্থা, যেটির যেকোনো সময় ফেটে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে)
৩. পাতলা ভূপৃষ্ঠ ভেঙ্গে যাওয়া
৪. পানি তীব্র বেগে উর্ধমুখে স্প্রে হওয়া
সূত্র: উইকিপিডিয়া, ইউটিউব
[লেখাটি ইতোপূর্বে ব্যাপন ম্যাগাজিনে প্রকাশিত]