Advertisement

রবিবার, ২১ জানুয়ারী, ২০১৮

জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের মতে আমাদের এই মহাবিশ্ব মূলত তিন ধরণের উপাদান নিয়ে গঠিত। একটি হচ্ছে সাধারণ পদার্থ, যা দিয়ে আমরা তৈরি। টেলিস্কোপের সাহায্যে নির্ণয় করা মহাবিশ্বের সকল দৃশ্যমান বস্তু বিভিন্ন মহাজাগতিক পদার্থের সমন্বয়ে গঠিত। এছাড়াও রয়েছে ডার্ক ম্যাটার। মহাবিশ্বের মোট মহাকর্ষ বলের  প্রায় ৮৫ শতাংশের উৎস হল এই ডার্ক ম্যাটার। তবে এটার উৎপত্তি সম্পর্কে আমরা তেমন কিছুই জানি না। আরেকটি উপাদানের নাম ডার্ক এনার্জি। ধারণা করা হয়, ডার্ক এনার্জির কারণেই মহাবিশ্ব মহাকর্ষ বলকে উপেক্ষা করে ক্রমশ প্রসারিত হচ্ছে।
মহাবিশ্বের মোট ভরের বণ্টন

উপরে বর্ণিত প্রতিটি উপাদানই মহাশুন্যের স্থানকালকে বাঁকিয়ে দেয়। ঠিক যেমন আইনস্টাইনের সার্বিক আপেক্ষিক তত্ত্বে বর্ণিত ছিল। এই তিনটি উপাদানের ফলে মহাশুন্যে সৃষ্ট স্থানকালের বক্রতাকে যোগ করলে দেখা যায়, মহাবিশ্ব প্রায় সমতল আকৃতির (Flat Curvature)।

মহাবিশ্বের মোট ভরস-শক্তির বণ্টন

তবে গবেষকদের মতানুসারে সমতল ছাড়াও মহাবিশ্বের আরও অনেক আকৃতি থাকতে পারত। মহাবিশ্বের ঋণাত্মক বক্রতা (Negative Curvature) থাকতে পারত। সেক্ষেত্রে ঋণাত্মক বক্রতাবিশিষ্ট মহাবিশ্বের মোট শক্তির পরিমাণ হত ধনাত্মক। আবার মহাবিশ্ব গোলক আকৃতির বা ধনাত্মক বক্রতাসম্পন্ন (positive curvature) হলে এর নীট শক্তির পরিমাণ দাঁড়াত ঋণাত্মক।
মহাবিশ্বের সম্ভাব্য তিন আকৃতি

বিষয়টি আরও ভালভাবে বোঝার জন্য আমরা মহাবিশ্বের কোন ঘূর্ণায়মান বস্তুর কক্ষপথের শক্তির কথা চিন্তা করতে পারি। কক্ষপথে ঘূর্ণনরত কোন মহাজাগতিক বস্তু যে বস্তুকে ঘিরে আবর্তন করে তার সাথে মহাকর্ষ বল দ্বারা আবদ্ধ থাকে। এই আবদ্ধ কক্ষপথের মহাকর্ষ বল ঋণাত্মক। তখন ঘূর্ণায়মান বস্তুটির কক্ষপথ অনেকটাই বৃত্তাকার থাকে। যদি আমরা  ঘূর্ণনরত বস্তুটিকে শক্তি প্রদান করি, তবে এর বেগ বেড়ে যাবে। ফলে এর উপর মহাকর্ষ বলের প্রভাব কিছুটা কমবে। যার কারণে এর কক্ষপথের দৈর্ঘ্য বেড়ে যাবে এবং এর আকৃতি বৃত্তাকার থেকে ধীরে ধীরে উপবৃত্তাকার হতে থাকবে।

যত বেশি শক্তি প্রদান করা হবে, উপবৃত্তাকার কক্ষপথের দৈর্ঘ্য ততই বাড়তে থাকে। এভাবে শক্তি বাড়াতে থাকলে দেখা যাবে, একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ শক্তি প্রদানের ফলে ঘূর্ণায়মান বস্তুটি এত বেশি বেগ অর্জন করে ফেলে যার কারণে সেটি আর মহাকর্ষের টানে কক্ষপথে ফিরে আসে না। প্রকৃতপক্ষে বস্তুটি অসীম মহাবিশ্বে মুক্ত হয়ে যাবে। কক্ষপথ থেকে মুক্ত হবার মুহূর্তে ঘূর্ণায়মান বস্তু এবং যে বস্তুটিকে কেন্দ্র করে সেটি ঘুরছিল তাদের মোট মহাকর্ষীয় শক্তির পরিমাণ হবে শুন্য। তখন ঘূর্ণনরত বস্তুটির চলার পথের আকৃতি হবে প্যারাবলা বা পরাবৃত্ত (parabola)।

বিভিন্ন আকৃতির কক্ষপথ

ঘূর্ণনরত বস্তুটিকে আরও শক্তি প্রদান করলে সেটি মহাকাশে অসীম বিস্তৃতিতে চলতে থাকবে। তখন এর মহাকর্ষীয় শক্তি হবে ধনাত্মক। সে সময়ে বস্তুটির আবক্র পথের আকৃতি হবে হাইপারবোলা বা পরাবৃত্ত।

আমরা এই আকারগুলো বাড়িতে হরহামেশাই দেখতে পাই।  একটি টর্চলাইট বা ফ্ল্যাশলাইটের কথা আলোচনা করা যাক। এটি থেকে নিঃসরিত আলোকরশ্মি যখন কোন দেয়াল বা বস্তুর উপর পড়ে তখন আলোকরশ্মিগুলো কণিকের বিভিন্ন আকৃতি গঠন করে। যদি টর্চলাইটকে একেবারে সোজাসুজিভাবে রেখে দেয়ালে আলো ফেলা হয়,তখন আলোকরশ্মি দেয়ালে বৃত্ত তৈরি করবে।
বৃত্তাকার আলো  
টর্চলাইট থেকে দেয়ালে কিছুটা তির্যকভাবে আলো ফেললে আলো যে গঠন দেখাবে,সেটা হবে উপবৃত্ত।
(নীচের ছবি)
উপবৃত্তাকার আলো 
টর্চলাইটকে দেয়ালের সাথে সমান্তরালে রাখলে দেয়ালে যে আলোকরেখার অবয়ব দেখা যায়, সেটা হবে পরাবৃত্ত। (নীচের ছবি)
পরাবৃত্তাকার আলো 

টর্চলাইটটিকে সমান্তরালে রেখে কিছুটা তির্যকভাবে দেয়ালে আলোকরশ্মি ফেললে দেয়ালে যে আলোকচিত্র দেখা যাবে, সেটাকেই বলে হাইপারবোলা বা অধিবৃত্ত (বাসায় চেষ্টা করে দেখতে পারেন)।

অধিবৃত্তাকার আলো 
সুতরাং কণিকের এই বিভিন্ন অংশ কক্ষপথ এবং কক্ষপথ সম্পর্কিত বস্তুদ্বয়ের শক্তির সাথে জড়িত। যদি কক্ষপথের  প্যারাবোলা আকৃতির মত মহাশুন্য সমতল  হয়, তাহলে পুরো মহাবিশ্বের সর্বমোট নীট শক্তির পরিমাণ হবে শুন্য।

মহাবিশ্বের আকৃতি যদি সমতল না হয়ে অন্য কিছু (ধনাত্মক বক্রতা বা ঋণাত্মক বক্রতা বিশিষ্ট) হত, তবে এর সর্বমোট শক্তির পরিমাণ হয় ধনাত্মক অথবা ঋণাত্মক হত। কিন্তু মহাবিশ্বের মোট শক্তির পরিমাণ বাস্তবিকঅর্থে শুন্য।

এখন মনে প্রশ্ন জাগতেই পারে,মহাবিশ্বের আকৃতি সমতল হওয়া আমাদের জন্য ভালো নাকি খারাপ? আসলে সমতল মহাবিশ্বের ধারণার মাধ্যমে জ্যোতির্বিজ্ঞানের অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের সমাধান মিলেছে। সমতল মহাবিশ্বের তত্ত্ব থেকে বোঝা যায়, শুন্য থেকেই এই মহাবিশ্বের সৃষ্টি। কারণ শুন্যের মোট শক্তি শুন্য। ধনাত্মক বা ঋণাত্মক কোন শক্তির কারণে মহাবিশ্ব সৃষ্টি হলে তা অনেক বিভ্রান্তিমূলক প্রশ্নের জন্ম দিত। যেমন, সেই শক্তির উৎস কী? যদি কিছু পরিমাণ নীট শক্তি মহাবিশ্বে অবশিষ্ট থাকত, তবে সেটি কতটুকু? কেন অতটুকু শক্তি থাকবে? কেন তার বেশি বা কম নয় ?
কিন্তু মহাবিশ্বের আকৃতি সমতল হওয়ার কারণে বিজ্ঞানীদের কখনোই এই প্রশ্নগুলোর সম্মুখীন হতে হয়নি।

সূত্রঃ
১। https://www.youtube.com/watch?v=i4UpvpHNGpM
২। https://www.youtube.com/watch?v=veU6hK3jMH4
৩। http://curious.astro.cornell.edu/about-us/103-the-universe/cosmology-and-the-big-bang/geometry-of-space-time/600-why-is-the-universe-flat-and-not-spherical-advanced
৪। https://blogs.scientificamerican.com/degrees-of-freedom/httpblogsscientificamericancomdegrees-of-freedom20110725what-do-you-mean-the-universe-is-flat-part-i/
৫। https://en.wikipedia.org/wiki/Shape_of_the_universe
Category: articles

বৃহস্পতিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭

আজ ১৬ ফেব্রুয়ারি।

১৯৫৬ সালের এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন বিখ্যাত ভারতীয় ও বাঙালি জ্যোতির্পদার্থবিজ্ঞানী মেঘনাদ সাহা। তাঁর বয়স হয়েছিল ৬২ বছর। তাপীয় আয়নীকরণ তত্ত্বের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে তিনি বিজ্ঞানজগতে খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। এছাড়াও তাকে সাহা আয়নীকরণ সমীকরণ –এর জনক বলা হয়। তাঁর আবিষ্কৃত এই সমীকরণ নক্ষত্রের ভৌত ও রাসায়নিক ধর্মাবলি ব্যাখ্যায় ব্যাবহৃত হয়।

জ্যোতির্পদার্থবিদ মেঘনাদ সাহা 

মেঘনাদ সাহার জন্ম ১৮৯৩ সালের ৬ অক্টোবর ঢাকার কাছে শ্যাওড়াতলী গ্রামে। তখন ঢাকা শহর ব্রিটিশদের শাসনাধীন ভারতবর্ষের অন্তর্ভুক্ত ছিল। গরীব ঘরে জন্ম তার। বাবা জগন্নাথ সাহা ছিলেন মুদি দোকানদার। ছেলেবেলায় এক আত্মীয়ের বাড়িতে ঝুটা কাজের বিনিময়ে থেকে সাভারের অধরচন্দ্র উচ্চবিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছিলেন। অর্থাভাবে বহু প্রতিকূলতার মাঝে তিনি ঢাকা কলেজিয়েট স্কুল থেকে স্কুল শিক্ষা সম্পন্ন করেন এবং পরে ঢাকা কলেজে অধ্যয়ন করেন।  কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজে পড়ার সময় তিনি সত্যেন্দ্রনাথ বোস ও জে এন মুখার্জির সহপাঠী ছিলেন।  আর আচার্য জগদীশ চন্দ্র বসু ও আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায় ছিলেন তাঁর শিক্ষক।

তিনি পদার্থের তাপীয় আয়নীকরণ বিষয়ে বিস্তর গবেষণা করেছিলেন। এই গবেষণার ফলস্বরূপ তিনি একটি সমীকরণ প্রদান করেন। এটিই সাহা সমীকরণ নামে পরিচিত। তারকাসমূহের বর্ণালি সম্পর্কিত গবেষণার মাধ্যমে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা কোনো তারার অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রা পরিমাপ করতে সক্ষম হন। পরবর্তীতে সাহা সমীকরণ প্রয়োগ করে কোনো তারকা বা নক্ষত্র গঠনকারী বিভিন্ন উপাদানসমূহের আয়নিত অবস্থা সম্পর্কে তারা অবগত হন।  সৌররশ্মির ওজন ও চাপ নির্ণয়ে সাহা একটি যন্ত্রও তৈরি করেছিলেন। এছাড়াও হ্যালির ধূমকেতু নিয়ে গবেষণাকারী বিজ্ঞানীদের মাঝে তিনি ছিলেন অন্যতম।

এক পরমানুক গ্যাসীয় পদার্থের জন্য সাহা সমীকরণ

শিক্ষাঙ্গনেও ছিল তার সরব উপস্থিতি। ১৯২৩ থেকে ১৯৩৮ সাল পর্যন্ত সাহা এলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেন। এরপর তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন। পরবর্তীতে বিজ্ঞান অনুষদের ডীন হিসেবে মনোনীত হন। মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত তিনি এই পদে নিযুক্ত ছিলেন। ১৯২৭ সালে তিনি রয়্যাল সোসাইটির ফেলো হন। সাহা ১৯৩৪ সালে ইন্ডিয়ান সায়েন্স কংগ্রেসের ২১ তম অধিবেশনের সভাপতিত্ব করেছিলেন।

ভারতবর্ষে বিজ্ঞানশিক্ষা ও বিজ্ঞানবিষয়ক গবেষণার প্রসারে তিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। ভারতের বিভিন্ন স্থানে তিনি বৈজ্ঞানিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। এলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ গড়ে তোলেন। এছাড়াও ১৯৪৯ সালে কলকাতায় ইন্সটিটিউট অব নিউক্লিয়ার ফিজিক্স প্রতিষ্ঠাতেও তার অসামান্য অবদান ছিল। পরবর্তীতে তার সম্মানার্থে প্রতিষ্ঠানটির নামকরণ করা হয় “সাহা ইন্সটিটিউট অব নিউক্লিয়ার ফিজিক্স”।

সাহা Science and Culture নামে  একটি পত্রিকাও চালু করেন ও মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি পত্রিকাটির সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। এছাড়াও তার নেতৃত্বে বেশ কিছু বিজ্ঞান বিষয়ক সংগঠন গড়ে ওঠে।  এগুলোর মাঝে ন্যাশনাল একাডেমী অব সায়েন্স (১৯৩০), দ্যা ইন্ডিয়ান ফিজিক্যাল সোসাইটি (১৯৩৪) ও ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্যা কালটিভেশন অব সায়েন্স (১৯৪৪ ) বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। তিনি ভারতের নদী পরিকল্পনার প্রধান স্থপতি ও দামোদর উপত্যকা প্রকল্পের মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন।

এত সাফল্যের পরেও মেঘনাদ সাহার জীবনে কিছুটা অতৃপ্তি ছিল। তিনি যে কখনও নোবেল পুরষ্কার লাভ করতে পারেননি! তবে তিনি বেশ কয়েকবার নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন পেয়েছিলেন। ১৯২৯ সালে তিনি ডি এম বোস এবং শিশির কুমার মিত্র কর্তৃক পদার্থবিদ্যায় ১৯৩০ সালের নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনীত হন। নোবেল কমিটি সাহার কর্মকাণ্ডকে সাধুবাদ জানায়।  তারা তাঁর গবেষণালব্ধ ফলাফলকে “গুরুত্বপূর্ণ প্রয়োগ” হিসেবে আখ্যায়িত করলেও এটাকে “আবিষ্কার” হিসেবে স্বীকৃতি দিতে অসম্মতি প্রকাশ করে। ফলে সেবার তিনি নোবেল পুরষ্কার অর্জনে ব্যার্থ হন। এরপর ১৯৩৭ এবং ১৯৪০ সালে কম্পটন ও ১৯৩৯, ১৯৫১ ও ১৯৫৩ সালে শিশির কুমার মিত্র পুনরায় নোবেলের জন্য মেঘনাদ সাহাকে মনোনীত করেন। তবে নোবেল কমিটি তাদের সিদ্ধান্তে অটল থাকায় প্রতিবারই তাকে খালি হাতে ফিরতে হয়েছিল।

বিজ্ঞানজগতের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কারটি অধরা থাকলেও সমস্ত বাঙ্গালির গর্ব মেঘনাদ সাহা তৎকালীন খ্যাতনামা সকল বিজ্ঞানীর প্রশংসা পেয়েছিলেন। তাঁর সম্পর্কে সর্বকালের শ্রেষ্ঠ পদার্থবিদ আলবার্ট আইনস্টাইন বলেন,
Dr. M.N. Saha has won an honored name in the whole scientific world     

সূত্রঃ
১। উইকিপিডিয়াঃ Meghnad Saha
২। উইকিপিডিয়াঃ মেঘনাদ সাহা 

Category: articles

মঙ্গলবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭

আজ ১৪ ফেব্রুয়ারি।

১৮৯৮ সালের এই দিনে জন্মগ্রহণ করেন বিখ্যাত সুইস জ্যোতির্বিদ ফ্রিটজ জুইকি।  তাত্ত্বিক ও পর্যবেক্ষণ ভিত্তিক জ্যোতির্বিজ্ঞানে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্যে তিনি বিখ্যাত। বিশেষ করে সুপারনোভার  নামকরণ ও এদের নিয়ে গবেষণার ক্ষেত্রে তিনি অবদান রাখেন, যার ফলে পরবর্তীতে মহাবিশ্বের বয়স ও সাইজ পরিমাপ করা সহজ হয়ে যায়।


ফ্রিট্‌জ জুইকি

জুইকির জন্ম বুলগেরিয়ার ভারনা শহরে। বুলগেরিয়াতে জন্মালেও তার বাবা মা দুজনই ছিলেন সুইজারল্যান্ডের নাগরক। ৩ ভাই বোনের মাঝে তিনিই ছিলেন সবার বড়। ১৯০৪ সালে মাত্র ৬ বছর বয়সে তাকে তার পৈত্রিক নিবাস সুইজারল্যান্ডের গ্ল্যারাসে পাঠানো হয়। সেখানে তিনি  দাদা দাদির কাছে বড় হতে থাকেন।  প্রথমে পড়াশোনা শুরু করেনবাণিজ্য বিভাগ নিয়ে। পরবর্তীতে গণিত ও পদার্থবিজ্ঞানের প্রতি বেশি আগ্রহী হয়ে ওঠেন। এর ফলশ্রুতিতে তিনি সুইস ফেডারেল ইন্সটিটিউটে গণিত ও তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ে অধ্যয়ন করেন।

১৯২৫ সালে সুইজারল্যান্ড ছেড়ে পাড়ি জমান যুক্তরাষ্ট্রে। রকিফেলার ফাউন্ডেশন থেকে ইন্টারন্যাশনাল ফেলোশিপ অর্জনের ফলে তিনি ক্যালিফোর্নিয়া ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজিতে (ক্যালটেক) বিখ্যাত বিজ্ঞানী রবার্ট মিলিকনের সাথে কাজ করার সৌভাগ্য লাভ করেছিলেন। মহাবিশ্ব সম্পর্কে সম্যক ধারণা লাভের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন মহাজাগতিক তত্ত্ব নিয়ে  গবেষণা করতে থাকেন। জুইকি সাধারণত একাকী থাকতেই পছন্দ করতেন। এমনকি গবেষণার সময় সমস্ত গাণিতিক হিসাব নিকাশ করতেন নিজে নিজেই।

১৯৪২ সালে তিনি ক্যালটেকের জ্যোতির্বিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে নিযুক্ত হন। এছাড়াও তিনি ১৯৪৩ থেকে ১৯৬১ সাল পর্যন্ত অ্যারোজেট ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশনের গবেষক দলের পরিচালক বা পরামর্শক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছিলেন। কর্মজীবনের অধিকাংশ সময় তিনি মাউন্ট উইলসন অবজারভেটরি ও পালোমার অবজারভেটরি নামক জ্যোতির্বিদ্যার দুইটি বিখ্যাত গবেষণাগারেও কাজ করেন। তিনি বেশ কিছু জেট ইঞ্জিন তৈরি করেছিলেন। এদের মধ্যে আন্ডারওয়াটার জেট, ইনভার্টেড হাইড্রো পালস বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। সনাতন পদ্ধতির এই জেটইঞ্জিনগুলোর আবিষ্কারের ফলে তিনি ৫০টি পেটেন্ট লাভ করেছিলেন।

বিজ্ঞানী হিসেবে জুইকি প্রথমে আয়নিক ক্রিস্টাল ও তড়িৎবিশ্লেষ্য পদার্থ নিয়ে গবেষণা শুরু করেছিলেন। তবে জ্যোতির্পদার্থবিজ্ঞান নিয়ে করা অনুসন্ধানই তাকে বিখ্যাত করে তোলে।
১৯৩৪ সালে তিনি ও তাঁর সহযোগী গবেষক ওয়াল্টার বাডে সর্বপ্রথম সুপারনোভা শব্দটি ব্যাবহার করেছিলেন। একটি সাধারণ তারকা নিউট্রন তারকাতে রূপান্তরিত হবার মধ্যবর্তী অবস্থাকে তাঁরা সুপারনোভা বলে অভিহিত করেন। তাঁরা সুপারনোভাকে কসমিক রে বা মহাজাগতিক রশ্মির উৎস হিসেবে বিবেচনা করেছিলেন। এই ধারণাটিই মহাবিশ্বের আকার এবং বয়সের সাথে সম্পর্কযুক্ত ছিল।

আরও পড়ুন
 নিউট্রন তারকা কাকে বলে?

এই স্বীকার্য প্রমানের জন্য জুইকি  সুপারনোভার খোঁজ চালাতে থাকেন। তিনি তাঁর জীবদ্দশায় সর্বমোট ১২০টি সুপারনোভার সন্ধান পেয়েছিলেন। এছাড়াও ১৯৩৫ সালে তিনি ও বাডে মিলিতভাবে মাউন্টেন টপ অবজারভেটরিতে প্রথম স্মিট (Schmidt) টেলিস্কোপ ব্যাবহার করেছিলেন।

১৯৩৭ সালে জুইকি পূর্বে আবিষ্কৃত আইনস্টাইন ইফেক্টের মাধ্যমে অনুমান করেন, গ্যালাক্সিগুলো মহাকর্ষীয় লেন্স হিসেবে কাজ করতে সক্ষম। তবে আইনস্টাইন ইফেক্ট আবিষ্কার করা হলেও বিজ্ঞানীরা এটি সম্পর্কে তখন পর্যন্ত নিশ্চিত ছিলেন না। পরবর্তীতে “টুইন কোয়াসার” পর্যবেক্ষণের দ্বারা তারা আইনস্টাইন ইফেক্টের সত্যতা খুঁজে পান।

১৯৩৩ সালে কোমা গ্যালাক্সি ক্লাস্টার নিয়ে গবেষণা কালে তিনিই সর্বপ্রথম অদৃশ্যমান বস্তুর অস্তিত্ব নিরূপণে ভিরিয়াল উপপাদ্য (বলবিদ্যার একটি বিশেষ সূত্র) প্রয়োগ করেছিলেন। তিনি সেই অদৃশ্য বস্তুর নাম দিয়েছিলেন Dunkle Materie। একেই বর্তমানে আমরা ডার্ক ম্যাটার বলে চিনি। তিনি ক্লাস্টারের মাঝে থাকা গ্যালাক্সিগুলোর মহাকর্ষীয় ভর পরিমাপ করেন এবং দেখেন এই ভরের মান গ্যালাক্সিগুলোর ঔজ্জ্বল্য অনুসারে অনুমিত ভরের চেয়ে প্রায় ৪০০ গুণ বেশি। এর অর্থ দাঁড়ায়, মহাবিশ্বের অধিকাংশ স্থানই ডার্কম্যাটার দ্বারা পূর্ণ। বর্তমানে দৃশ্যমান ও আলোকিত পদার্থসমূহের ভরের মান বৃহৎ বিবেচনা করে হিসাব করার ফলে এই ফলাফলের কিছুটা এদিক-ওদিক হয়েছে। তবে তার এই ধারণাটি এখন পর্যন্ত সঠিক বলেই গৃহীত হয়।

জুইকির আবিষ্কৃত গ্যালাক্সি আইজুইকি১৮এ। ছবিটি হাবল স্পেস টেলিস্কোপ দিয়ে তোলা। 


নিউট্রন স্টার আবিষ্কারের পর জুইকি নিউক্লিয়ার গব্লিনের  ধারণা প্রদান করেছিলেন। তার প্রস্তাবনা অনুসারে, গব্লিন একটি তারার মাঝে বিক্ষিপ্ত ভাবে চলাচল করতে পারে। তবে তারাটির অপেক্ষাকৃত কম ঘনত্বের অঞ্চলে পৌঁছানো মাত্রই এটি বিস্ফোরিত হয়। নক্ষত্রের বিস্তারন সহ উদ্গীরনজাত বিভিন্ন বিষয় ব্যাখ্যায় তাঁর এই অনুমান যথেষ্ট কাজে লেগেছিল। এছাড়াও তিনি কৃত্রিম উল্কাপিণ্ড তৈরি করতে সমর্থ হন।

মহাকাশ গবেষণায় অভূতপূর্ব অবদানের স্বীকৃতিসরূপ তার নামে একটি গ্রহাণু (১৮০৩ জুইকি) ও চন্দ্রপৃষ্ঠের একটি বড় গর্তের (জুইকি) নামকরণ করা হয়। এছাড়াও ২য় বিশ্বযুদ্ধের সময় রকেট পরিচালনায় অসামান্য অবদান রাখায় তাকে ১৯৪৯ সালে প্রেসিডেন্সিয়াল মেডেল অফ ফ্রিডম প্রদান করা হয়েছিল। ১৯৬৮ সালে তাকে ক্যালিফোর্নিয়া ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজির এমিরেটাস অধ্যাপক বানানো হয়। ১৯৭২ সালে তাকে রয়্যাল অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটির পক্ষ থেকে স্বর্ণপদক প্রদান করা হয়েছিল। জ্যোতির্বিদদের জন্য এটিকেই সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ পুরষ্কার হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

বিজ্ঞানী হিসেবে জুইকি সকলক্ষেত্রে সফলতার স্বাদ পেলেও পারিবারিক জীবন ততটা মসৃণ ছিল না।  ১৯৩২ সালের এপ্রিলে তিনি এগবার্ট গেটস নামে স্থানীয় এক প্রভাবশালী সিনেটরের কন্যা ডোরোথি ভারনান গেটসকে বিয়ে করেন। আমেরিকার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট থিওডোর রুজভেল্টের চাচাতো ভাই নিকোলাস রুজভেল্ট এগবার্টের আরেক মেয়ে তিরজাহ গেটসকে বিয়ে করেছিলেন। ফলে বিবাহসূত্রে জুইকি আর নিকোলাসের মাঝে সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে। অপরদিকে ডোরোথিকে বিয়ে করায় তিনি বেশ ভালো অর্থ উপঢৌকন হিসেবে লাভ করেন। ১৯৩০ সালের দিকে আর্থিক মন্দার সময় পালোমার অবজারভেটরির কার্যক্রম পরিচালনার জন্য তিনি এই অর্থ ব্যয় করেন।

তবে ১৯৪১ সালে ডোরোথি ও জুইকি তাদের বৈবাহিক সম্পর্কের ইতি টানেন এবং আপোষের মাধ্যমে পরস্পর আলাদা হয়ে যান। ১৯৪৭ সালে সুইজারল্যান্ডে অবস্থানকালে জুইকি অ্যানা মারগারিটা যার্চার নামক এক মহিলাকে পুনরায় বিবাহ করেন। পরবর্তীতে জুইকি ৩ কন্যা সন্তানের বাবা হন। তার সন্তানদের নাম ছিল মারগারিট, ফ্রাঞ্জিস্কা ও বারবারিনা।

সুইজারল্যান্ডের গ্ল্যারাসে জুইকির নামে একটি জাদুঘর (জুইকি মিউজিয়াম) স্থাপন করা হয়েছে। সেখানে তার বিভিন্ন গবেষনাপত্র ও বৈজ্ঞানিক কর্মকাণ্ডের নিদর্শন সংরক্ষিত রয়েছে।

বিংশ শতাব্দীর এই প্রথিতযশা জ্যোতির্বিজ্ঞানী ১৯৭৪ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি ৭৫ বছর বয়সে ক্যালিফোর্নিয়ার পাসাডেনা শহরে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। সুইজারল্যান্ডের মলিসে তাকে সমাহিত করা হয়।

সূত্র
১।  উইকিপিডিয়া
২।  ফেমাস অ্যাস্ট্রোনোমারস ডট অরগ
Category: articles

বুধবার, ১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭

প্রাচীনকালের মানুষজন পৃথিবীকে সমতল মনে করত। এ বিশ্বাস শুরু হয়েছিল সুমেরীয়দের দিয়ে। তারাই ছিল প্রথম সভ্যতা, যারা লিখতে পারত। তারা ধরে নিয়েছিল, পৃথিবী একটি বিশাল সমতল মাঠ। তাদের ধারণার পেছনে যথেষ্ট যুক্তিও ছিল। কারণ সাধারণভাবে দেখলে মনে হবে, পৃথিবীর উঁচু ও নিচু স্থানগুলোকে মিলিয়ে সমতল করে ফেলা সম্ভব। তাছাড়া শান্ত পুকুর বা হ্রদের পানির দিকে তাকালে তা সমতল দেখায়। ভিন্নভাবে দেখলে, পৃথিবীর বক্রতা মেপেও বোঝা যায় তা আসলে সমতল নাকি গোলাকার। পরিমাপ করলে দেখা যাবে পৃথিবীর প্রতি মাইলে বক্রতার ব্যাসার্ধ শুন্য! যেখানে ১ মিটার ব্যাসার্ধের কোনো গোলকের বক্রতা প্রতি মিটারে ১ একক।

 বক্র পৃথিবী 

কিন্তু আজ আমরা সবাই জানি, পৃথিবী সমতল নয়। বরং প্রায় কমলালেবুর মতো গোলাকার। তবে প্রাচীনকালের যন্ত্রপাতি দ্বারা প্রাপ্ত পৃথিবীর সমতল তত্ত্ব প্রায় সঠিক ছিল। এ কারণে অনেক দিন ধরেই মানুষ পৃথিবীকে সমতল ভাবত।

তবে পৃথিবী সমতল হলে কিছু সমস্যা থেকেই যায়, যা ব্যাখ্যা করা অসম্ভব। যেমনঃ ৩৫০ খ্রিস্টপূর্বে বিখ্যাত বিজ্ঞানী অ্যারিস্টটল দেখলেন, পৃথিবীকে সমতল ধরলে তিনটি প্রাকৃতিক ঘটনার কারণ সঠিকভাবে বর্ণনা করা যায় না। প্রথমটি হল, যদি কেউ উত্তর দিকে ভ্রমণ করতে থাকে, তবে তার কাছে রাতের আকাশের কিছু তারা দিগন্তে মিলে যাচ্ছে বলে মনে হবে। আবার দক্ষিণ দিকে ভ্রমণ করলেও অন্য কিছু তারা দিগন্তে মিলে যায়। দ্বিতীয়টি হল, চন্দ্রগ্রহণের সময় চাঁদের গায়ে পৃথিবীর ছায়া সব সময় গোলাকার দেখায়। তৃতীয় ঘটনা, সমুদ্রে কোনো জাহাজ যেদিকেই ভ্রমণ করুক না কেন জাহাজের কোল সবার আগে অদৃশ্য হয়ে যায়। এছাড়াও তিনি মনে করতেন সব বস্তুই গোলকে রুপান্তরিত হতে চায়।

অ্যারিস্টটল  
অ্যারিস্টটলের প্রায় ১০০ বছর পরে ইরাটোস্থেনিস নামে আরেকজন বিজ্ঞানী খেয়াল করেন, একই বস্তুর ছায়া পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে যদি একই সময়ে পরিমাপ করা যায়, তবে ছায়ার দৈর্ঘ্য বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন হয়।
 
ছায়ার এই দৈর্ঘ্যের পার্থক্য থেকে তিনি পৃথিবীর পরিধি নির্ণয় করেন ২৮ হাজার ৬৫০ মাইল। যার বক্রতার ব্যাসার্ধ দাঁড়ায় প্রতি মাইলে ০.০০০১২৬। এই মানটি শূন্যের খুব কাছাকাছি। প্রাচীনকালের যন্ত্রপাতি দিয়ে তা পরিমাপ করা ছিল প্রায় অসম্ভব। তাই সেই সময় পৃথিবীর সমতলতত্ত্ব নিয়ে কেউ তেমন দ্বিমত পোষণ করেনি।

ইরাটোস্থেনিস 

তারপরেও পৃথিবী কি সম্পূর্ণ গোলক? টেলিস্কোপ দিয়ে শনি ও বৃহস্পতি গ্রহ পর্যবেক্ষণ করা হলে দেখা গেল, তারা পুরোপুরি গোলক নয়। বরং উপবৃত্তাকার। ১৭ শতকের শেষের দিকে আইজ্যাক নিউটন দেখিয়েছিলেন, যদি বিশালাকার কোনো বস্তু ঘূর্ণায়মান থাকে, তবে একটা কেন্দ্রবিমুখী বল তৈরি হবে, যার মান বিষুবীয় অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি হবে। এই বলের কারণে পৃথিবীর অভ্যন্তরীণ বস্তুসমুহ অভিকর্ষ বলের বিরুদ্ধে পৃথিবী ছেড়ে বাইরে চলে যেতে চাইবে। যেহেতু বিষুবীয় অঞ্চলে এই বল সর্বাধিক, তাই এই অঞ্চলে পৃথিবীর ব্যাসার্ধ সর্বোচ্চ হবে। অষ্টাদশ শতকে পরিমাপ করে দেখা গেল নিউটন ঠিকই বলেছিলেন। পৃথিবী আকৃতি আসলে কমলালেবুর মত। তখন প্রতি মাইলে পৃথিবীর ব্যাসার্ধের পার্থক্য পাওয়া যায় ০.০০৩৪।

নিউটন 

তাহলে শেষ পর্যন্ত কী দাঁড়াল?
পৃথিবীর বক্রতা প্রাথমিকভাবে প্রতি মাইলে শূন্য। আরও সূক্ষ্মভাবে বললে ০.০০০১২৬ ,যা প্রতি মাইলে ৭.৯৭৩ থেকে ৮.০২৭ ইঞ্চি পর্যন্ত পরিবর্তিত হতে পারে। তাই সমতল পৃথিবীর ধারণা যেমন ভুল ছিল, গোলাকার পৃথিবীর ধারণাটিও তেমনি ভুল। কিন্তু সেই ভুলের পরিমাণ সমতল পৃথিবীর ধারনার চেয়ে অনেক অনেক কম।

ঠিক এরকমভাবেই আজ আমরা যা জানি, তা আমাদের কাছে এখন  সঠিক ও নির্ভুল মনে হচ্ছে। কিন্তু আমাদের জ্ঞান আরেকটু সমৃদ্ধ হলে নিজের জানা সঠিক বিষয়টাই হয়ত এক সময় ভুল বলে মনে হতেই পারে। এই মহাবিশ্বের অসীম জ্ঞান সমুদ্রের তুলনায় আমরা যে নিতান্তই মূর্খ!

আরও পড়ুনঃ
পৃথিবীর উত্তর-দক্ষিণ মেরু থাকলেও পূর্ব পশ্চিম মেরু নেই কেন?

তথ্যসূত্রঃ 
১। ইউটিউব
২। উইকিপিডিয়া
Category: articles

জ্যোতির্বিজ্ঞান পরিভাষা: জেনে নিন কোন শব্দের কী মানে

এখানে সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যাসহ জ্যোতির্বিদ্যায় প্রয়োজনীয় পরিভাষাগুলোর তালিকা দেওয়া হলো। সাজানো হয়েছে অক্ষরের ক্রমানুসারে। এই তালিকা নিয়মিত আপডেট...