Advertisement

শুক্রবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

রাতের আকাশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ তারাহল ধ্রুবতারা। এটি সব সময় উত্তর দিক বরাবর অবস্থান করে। যে অঞ্চলের অক্ষাংশ যত ডিগ্রি, এটি উত্তর দিগন্ত থেকে ঠিক ততটা উপরে অবস্থান করে। অন্য তারাদের মতো পশ্চিম দিকে যেতে থাকে না। বরং, অন্য তারাদের দেখে মনে হয়, ওরা সবাই একে কেন্দ্র করে ঘুরছে। 

ধ্রুবতারা খুঁজে পাবার উপায়ঃ
উত্তর আকাশের খুবই পরিচত তারামণ্ডলী হল সপ্তর্ষীমণ্ডলী। এর প্রধান উজ্জ্বল সাতটি তারার বাইরের দিকের দুটি নির্দেশক তারাকে যুক্ত করে প্রাপ্ত রেখাকে সামনের দিকে ছয়গুণ বাড়িয়ে দিলেই পাওয়া যাবে ধ্রুবতারা। 
এর বিষুব লম্ব +৮৯ ডিগ্র ১৬ সেকেন্ড, যার অর্থ এটি প্রায় উত্তর মেরুর বরাবর উপরে অবস্থান করছে। 
আরো পড়ুনঃ 



যেহেতু এটি সব সময় উত্তর দিকেই থাকে, তাই এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ন্যাভিগেশনাল তারা। 
আরো পড়ুনঃ


এটি স্থির থাকে কেন? এটা বিস্তারিত বুঝতে হলে পড়ুনঃ

অনেকে একে শুকতারার সাথে গুলিয়ে ফেলেন। শুকতারা কিন্তু বাস্তবে কোনো তারা নয়। এটি হল শুক্র গ্রহ।ঋতুভেদে এটি থাকে পূর্ব বা পশ্চিমের যথাক্রমে ভোরের বা সন্ধ্যার আকাশে। 
আরো পড়ুনঃ 

Category: articles

শনিবার, ১৪ নভেম্বর, ২০১৫

শুকতারা আসলে সৌরজগতের ২য় এবং পৃথিবীর নিকটতম গ্রহ শুক্র। আমরা একে 'তারা' বলে ডাকলেও আসলে এটি 'তারা' নয়, গ্রহ। যাই হোক, বছরের কিছু সময় এটা থাকে সন্ধ্যার আকাশে, কিছু সময় আবার ভোরের আকাশে। এই দুই সময় একে যথাক্রমে সন্ধ্যাতারা ও শুকতারা বলা হয়। সন্ধ্যাতারা থাকে সব সময় পশ্চিম দিকে, আর শুকতারা সব সময় পূর্ব দিকে। গত কয়েক মাস এবং আগামী কিছু দিন (আগস্ট-প্রায় ডিসেম্বর, ২০১৫) এটি ভোরের আকাশে আছে।

একে চেনার উপায়ঃ 
চাঁদের পরে রাতের আকাশে এটি সবচেয়ে উজ্জ্বল বস্তু। এমনকি, রাতের আকাশের উজ্জ্বলতম নক্ষত্র 'লুব্ধক'ও এর চেয়ে অনুজ্জ্বল। গ্রহটি এতই উজ্জ্বল ও বড় দেখায় যে মাঝে মাঝে একে দূরের কোন টাওয়ারের আলো বলে মনে হয়। দেখতেও প্রায় টেনিস বলের মত বড়। তাই এমন অস্বাভাবিক বড় কোন বস্তু দেখলেই একে শুক্র গ্রহ ধরে নিলে খুব একটা ভুল হবে না। আর যেহেতু এটা পশ্চিম বা পূবাকাশেই থাকে তাই সন্ধ্যায় এটা যেদিকে থাকবে সেটাই পশ্চিম, আর ভোরে যেদিকে থাকবে সেটাই পূর্ব দিক।
আরো পড়ুন,
১। ধ্রুবতারা দেখে দিক নির্ণয়
২। সূর্য দিয়ে দিক নির্ণয় 
Category: articles

বৃহস্পতিবার, ১ অক্টোবর, ২০১৫

দিক নির্ণয়ের এই কৌশলটি আমার মতে সবচেয়ে সহজ। কারণ, বাস্তবে করতে গিয়ে কোন ঝামেলা ছাড়াই সুফল পেয়েছি।

প্রয়োজনীয় পরিবেশ: উন্মুক্ত সূর্যালোক

প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি
১। একটি খুঁটি, লাঠি বা ছড়ি (১ ফুট লম্বা হলেই যথেষ্ট)
২। (আবশ্যিক নয়) ৩-৪টি ছোট ছড়ির টুকরো (৬ ইঞ্চি উচ্চতার)

কার্যপ্রণালী
১। একটি মসৃণ  ও সমতল স্থানে যান। ঐ স্থানে সূর্যের আলোর উপস্থিতি থাকতে হবে। এমন জায়গা বাছাই করতে হবে যেন অন্তত ২০-৩০ মিনিটের মধ্যে জায়গাটি ছায়ার দখলে না যায়
২। ভূমির সাথে খাড়াভাবে বড় খুঁটিখানা পুঁতে দিন।
৩। খুঁটির ছায়ার একেবারে প্রান্তে একটি দাগ দিয়ে রাখুন। অথবা, ছোট একখানা খুঁটি বসিয়ে দিন।
৪। ৫-১০ মিনিট অপেক্ষা করুন। দেখবেন, ছায়ার প্রান্তভাগ আগের জায়গা থেকে সরে গেছে।
৫। ৩ ও ৪ নং ধাপ অন্তত ৩-৪ বার করুন।


৬। এবারে খেয়াল করুন, সবগুলো খুঁটি বা দাগ একটি সরল রেখা তৈরি করেছে। এই রেখাটিই পূর্ব-পশ্চিম দিক নির্দেশ করছে। তাহলে, পশ্চিম দিক হচ্ছে যেদিকে প্রথম দাগ বা ছোট খুঁটিটি ছিল। আর, যেদিকে শেষ খুটি বসিয়েছেন সেদিকেই পূর্ব দিক।

এবার যদি আপনি পূর্ব দিকে মুখ কর দাঁড়ান, তার অর্থ হবে আপনার বাঁয়ে উত্তর দিক এবং ডানে দক্ষিণ।


এর আগে আমরা দেখেছিলাম, কিভাবে ধ্রুবতারা (North Star বা Polaris) দিয়ে উত্তর বের করা যায়। তবে, ঐ কৌশল কাজ করবে মেঘমুক্ত রাতের আকাশে। আর এখনকার কৌশল কাজ করবে দিনে। তাহলে রাত দিন ২৪ ঘণ্টাই আমরা খুব সহজেই দিক নির্ণয় করতে পারবো। শর্ত একটিই, মেঘমুক্ত আকাশ।

এটা কীভাবে কাজ করে?

আমরা জানি পৃথিবী পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে নিজ অক্ষের উপর আবর্তিত হচ্ছে। এ কারণেই সূর্যকে পূর্ব থেকে পশ্চিমে যাচ্ছে বলে মনে হয়। এই জন্যে সূর্য যতই পশ্চিম দিকে যেতে থাকে তার ছায়া ততোই পূর্ব দিকে সরতে থাকে। এখানে এ তথ্যটিই কাজে লাগানো হচ্ছে। অবশ্য আমরা জানি, সূর্য সব সময় ঠিক পূর্ব দিক থেকে উদিত হয় না বা ঠিক পশ্চিম দিকে অস্তও যায় না। বছরজুড়ে নিরক্ষরেখা থেকে দক্ষিণে বা উত্তরে সূর্যাস্ত ও সূর্যোদয়ের ঘটনা ঘটে।

তবুও এ কৌশল কাজ করে, কারণ সূর্যের গতিপথ যেদিকেই থাকুক, ছায়া পূর্ব-পশ্চিম বরাবরই থাকে। 
Category: articles

শনিবার, ২১ মার্চ, ২০১৫

এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় গেলেই আমরা অনেক সময় দিক হারিয়ে ফেলি। যে দিককে পশ্চিম মনে হচ্ছিল, একটু পরই দেখা যায় তার উল্টো দিকে কোন মসজিদের মুখ। কিন্তু যদি আশেপাশে যদি মসজিদ না থাকে? নেই কম্পাসও! কম্পাস থাকলেও কম্পাসের উপর চোখ বুঁজে ভরসা করা যায় না। কম্পাস দ্বারা একেবারে নিখুঁত উত্তর জানতে হলে কম্পাসের কাঁটা দেখে আরো কিছু হিসাব নিকাশ করতে হয়।
তাহলে দিক নির্ণয় করবেন কীভাবে? আকাশে তারকা আছে না? প্রাচীন কালের মানুষ দূরের পথ কিংবা সাগর যাত্রায় অনায়াসে দিক নির্ণয় করতেন তারকা দেখে।
সন্ধ্যার পরপরই আকাশে দেখা যায় তারাদের আধিপত্য। এদের সবাই অবশ্য জ্যোতির্বিজ্ঞানের ভাষায় 'তারকা' তথা নক্ষত্র (Star) নয়। রাতের আকাশের প্রধান দুটি উজ্জ্বল তারা- যথাক্রমে শুক্র ও বৃহস্পতি তো আমাদের সৌরজগতেরই গ্রহ। যাই হোক, সন্ধ্যায় উদিত হবার পর, প্রায় সব তারাই পশ্চিম দিকে চলতে থাকে। এরা যদিও মূলত পৃথিবীকে কেন্দ্র করে প্রদক্ষিণ করে না, তবু পৃথিবীর আবর্তনের (rotation) কারণে এ রকম মনে হয়।
খেয়াল করুন, বলেছি 'প্রায় সব তারকাই পশ্চিমে যেতে থাকে'। কিন্তু একটি তারকা আছে যে সর্বদা উত্তর মেরুর উপর বসে থাকে, নড়ে চড়ে না। বরং দেখে মনে হয়, আকাশের সব তারকাই যেন ওকে ঘিরে আবর্তিত হচ্ছে। এই তারকার নাম ধ্রুবতারা। ইংরেজিতে বলে পোলারিস (Polaris) বা মেরু তারা (Pole Star)। উত্তরে থাকে বলে একে আবার নর্থ স্টার (North Star) ও বলে।

সময় বাঁচাতে চাইলে শর্টকাটে পড়ে নিনঃ
» তারার সন্ধানেঃ ধ্রুবতারা 

এই তারকা যেহেতু ঠিক উত্তর দিকে থাকে, তাই একে বের করে ফেলতে পারলেই কেল্লা ফতে! এর দিকে তাকিয়ে থাকা মানে আপনার ডানে পূর্ব, বাঁয়ে পশ্চিম আর পেছনে দক্ষিণ। যদি মনে হয়ে থাকে, ধ্রুবতারা চিনে নেওয়া অনেক ঝামেলার কাজ, তবে ভুল ধারণায় আছেন। চলুন, দেখে নেই।
ধাপ-১: সপ্তর্ষিমণ্ডলী খুঁজে বের করুন 
সপ্তর্ষীমণ্ডলী (Ursa Major) মূলত একটি তারামণ্ডলী (Constellation)। এর মধ্যে প্রধান সাতটি তারকা একটি চামচের মত আকৃতি তৈরি করেছে। এই সাতটি তারকাকে উত্তর আমেরিকায় বলে বিগ ডিপার (The Big Dipper) আর ইউরোপে বলে লাঙল (Plough)। এই সাতটি তারকা খুঁজে পাওয়া মোটামুটি বেশ সহজ। সাতটি তারকার ৩টি মিলে চামচের বাঁট আর বাকি চারটি তৈরি করেছে মাথা। ছবিতে দেখুন।। প্রথম ছবিতে খুঁজে নেবার চেষ্টা করে ২য় ছবি থেকে মিলিয়ে নিন।

আরো পড়ুনঃ
» সপ্তর্ষীমণ্ডলী খুজে পাবার উপায়



ধাপ-২: ধ্রুবতারার দিকে একটি রেখা টানুন
বিগ ডিপারের একেবারে সামনের দুটি তারকাকে মনে মনে যোগ করে বর্ধিত করুন। রেখাটিকে টেনে লম্বা করে নাক বরাবর সোজা প্রথম যে উজ্জ্বল তারকা পাবেন- সেটিই হলো আমাদের কাঙ্ক্ষিত ধ্রুবতারা। বিগ ডিপারের সামনের দুই  তারকা মিলে যে দৈর্ঘ্য হয় (লাল দাগ টেনে দেখানো হল), ধ্রুব তারার দূরত্ব তার ছয় গুণ।


আরো দেখুনঃ দিক নির্ণয়ে হাত ঘড়ি

ধাপ-৩: মিলিয়ে নিন
সন্দেহ লাগছে? আকাশে এত তারার মাঝে সন্দেহ দানা বাঁধতেই পারে- আসলেই এটা ধ্রুবতারা কিনা। আসলে ধ্রুবতারাকে আমরা বড় চামচ বিগ ডিপার দিয়ে চিনলেও এটা কিন্তু বিগ ডিপারের অংশ নয়। চামচ আছে আরেকটি। তার নাম ছোটি চামচ বা আসল নাম লিটল ডিপার (Little Dipper)। এটি অবস্থিত অন্য আরেকটি তারামণ্ডলী লঘুসপ্তর্ষী তে। বড় চামচের মত ছোত চামচও সাতটি তারায় গঠিত। অবস্থান বড় ভাইয়ের মাথার উপরে। এর বাঁটের একেবারে প্রান্তভাগের তারকাটিই হচ্ছে ধ্রুবতারা।

সূত্রঃ
[১] জ্যোতির্বিজ্ঞান পরিভাষা- উইকিপিডিয়া
[২] How to find 'Polaris' - the North Star
[৩] ভিডিও 
 [৪] ভিডিও
Category: articles

জ্যোতির্বিজ্ঞান পরিভাষা: জেনে নিন কোন শব্দের কী মানে

এখানে সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যাসহ জ্যোতির্বিদ্যায় প্রয়োজনীয় পরিভাষাগুলোর তালিকা দেওয়া হলো। সাজানো হয়েছে অক্ষরের ক্রমানুসারে। এই তালিকা নিয়মিত আপডেট...